এই প্রসঙ্গে প্রথম প্রশ্ন হবে নিঃসন্দেহে এটাই , আপনি মুক্তিযুদ্ধ সমর্থন করেন কিনা ?
আমার কাছে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধ বলি আর যাই বলি ’৭১ এর এই সংগ্রামটা অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। এটা একদিকে ছিল পূর্ব পাকিস্তানের অবহেলিত, অপমানিত, উপেক্ষিত মানুষের সংগ্রাম, অন্যদিকে তাত্ত্বিকভাবেও পাকিস্তান রাষ্ট্র তার অখন্ডতার বৈধতা হারিয়েছিল।
নিখিল ভারত ভেঙ্গে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মূল প্রেরণা ছিল মুসলমানদের জন্য একটি আলাদা আবাসভূমি এবং একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র গঠন করা। ইসলামী বিধানের আলোকে একটি ইনসাফ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করা। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ২৫ বছরেও এই লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল এই রাষ্ট্র। বরং ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলায় শাসকগোষ্ঠি বিশ্বের একজন সেরা ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মওদুদীকে ফাসিকাষ্ঠে পর্যন্ত নিয়েছিল।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সময়ে মাওলানা মওদুদী বলেছিলেন, এই রাষ্ট্র ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে তা টিকতে পারবে না এবং বাস্তবেও তাই হয়েছে। শাসকরা বারবার জনগণের সাথে বেঈমানী করেছে। বারবার ওয়াদা ভঙ্গ করেছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা বাংলাকে তারা স্বীকৃতি দিতে চায়নি। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভোটে নির্বাচিত নেতা শেখ মুজিবের কাছে তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। এগুলো হলো স্রেফ বেঈমানী।
সর্বশেষ ২৫শে মার্চের গণহত্যা। নিরীহ মানুষের উপর গুলি চালানো। এটা স্পষ্ট ও বড় জুলুম ।
এরপর এই রাষ্ট্র কোনভাবেই টিকতে পারেনা। আমি শুরুতেই বলেছি , পাকিস্তান তার অখণ্ডতার বৈধতা হারিয়েছিল।
অনেকে বলেন যে, মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের সংকীর্ণ আঞ্চলিকতাবাদের ফসল। হ্যাঁ, হতে পারে, কিন্তু এর দায় তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীরই। তারাই পূর্ব পাকিস্তানী, পশ্চিম পাকিস্তানী, বাংলাভাষী, উর্দুভাষী পার্থক্য করেছিলো এবং এর মাধ্যমে আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদ উস্কে দিয়েছিলো।
ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য না হলেও, শেষ পর্যন্ত সংগ্রামটা হয়ে উঠেছিল ইনসাফ প্রতিষ্ঠার, জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের।
আর আল্লাহ সবসময় মজলুমের পক্ষে থাকেন।
( মুক্তিযুদ্ধ বিষয়টি অনেক বেশি আলোচিত ও বিতর্কিত । এ নিয়ে গত চল্লিশ বছরে অনেক কথা হয়েছে । নানা আঙ্গিকে অনেক বই লেখা হয়েছে । হয়েছে অনেক নাটক, চলচ্চিত্র । হয়েছে রাজনীতি । চর্চা হয়েছে ইতিহাসের , ইতিহাস বিকৃতিরও । তথ্য গোপন এবং অতিরঞ্জিত করা হয়েছে অনেক । মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মানুষের আবেগকে ব্যবহার করা হয়েছে স্বার্থসিদ্ধির জন্য । আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি আমাদের দায়িত্ব এই সবকিছুর ভেতর থেকে সঠিক ইতিহাস বের করে আনা । একটি খোলা মনে নির্মোহভাবে পর্যালোচনা করা । এই অনুভুতি থেকেই আমার পড়াশোনা ও অন্যান্য উপায়ে অর্জিত জ্ঞানের ভিত্তিতে আমি আমার অবস্থান গ্রহন করেছি । আমার অবস্থানের ব্যাপারে আমি স্পষ্ট ও দৃঢ় ।)
আমার কাছে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধ বলি আর যাই বলি ’৭১ এর এই সংগ্রামটা অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। এটা একদিকে ছিল পূর্ব পাকিস্তানের অবহেলিত, অপমানিত, উপেক্ষিত মানুষের সংগ্রাম, অন্যদিকে তাত্ত্বিকভাবেও পাকিস্তান রাষ্ট্র তার অখন্ডতার বৈধতা হারিয়েছিল।
নিখিল ভারত ভেঙ্গে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মূল প্রেরণা ছিল মুসলমানদের জন্য একটি আলাদা আবাসভূমি এবং একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র গঠন করা। ইসলামী বিধানের আলোকে একটি ইনসাফ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করা। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ২৫ বছরেও এই লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল এই রাষ্ট্র। বরং ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলায় শাসকগোষ্ঠি বিশ্বের একজন সেরা ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মওদুদীকে ফাসিকাষ্ঠে পর্যন্ত নিয়েছিল।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সময়ে মাওলানা মওদুদী বলেছিলেন, এই রাষ্ট্র ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে তা টিকতে পারবে না এবং বাস্তবেও তাই হয়েছে। শাসকরা বারবার জনগণের সাথে বেঈমানী করেছে। বারবার ওয়াদা ভঙ্গ করেছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা বাংলাকে তারা স্বীকৃতি দিতে চায়নি। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভোটে নির্বাচিত নেতা শেখ মুজিবের কাছে তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। এগুলো হলো স্রেফ বেঈমানী।
সর্বশেষ ২৫শে মার্চের গণহত্যা। নিরীহ মানুষের উপর গুলি চালানো। এটা স্পষ্ট ও বড় জুলুম ।
এরপর এই রাষ্ট্র কোনভাবেই টিকতে পারেনা। আমি শুরুতেই বলেছি , পাকিস্তান তার অখণ্ডতার বৈধতা হারিয়েছিল।
অনেকে বলেন যে, মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের সংকীর্ণ আঞ্চলিকতাবাদের ফসল। হ্যাঁ, হতে পারে, কিন্তু এর দায় তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীরই। তারাই পূর্ব পাকিস্তানী, পশ্চিম পাকিস্তানী, বাংলাভাষী, উর্দুভাষী পার্থক্য করেছিলো এবং এর মাধ্যমে আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদ উস্কে দিয়েছিলো।
ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য না হলেও, শেষ পর্যন্ত সংগ্রামটা হয়ে উঠেছিল ইনসাফ প্রতিষ্ঠার, জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের।
আর আল্লাহ সবসময় মজলুমের পক্ষে থাকেন।
( মুক্তিযুদ্ধ বিষয়টি অনেক বেশি আলোচিত ও বিতর্কিত । এ নিয়ে গত চল্লিশ বছরে অনেক কথা হয়েছে । নানা আঙ্গিকে অনেক বই লেখা হয়েছে । হয়েছে অনেক নাটক, চলচ্চিত্র । হয়েছে রাজনীতি । চর্চা হয়েছে ইতিহাসের , ইতিহাস বিকৃতিরও । তথ্য গোপন এবং অতিরঞ্জিত করা হয়েছে অনেক । মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মানুষের আবেগকে ব্যবহার করা হয়েছে স্বার্থসিদ্ধির জন্য । আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি আমাদের দায়িত্ব এই সবকিছুর ভেতর থেকে সঠিক ইতিহাস বের করে আনা । একটি খোলা মনে নির্মোহভাবে পর্যালোচনা করা । এই অনুভুতি থেকেই আমার পড়াশোনা ও অন্যান্য উপায়ে অর্জিত জ্ঞানের ভিত্তিতে আমি আমার অবস্থান গ্রহন করেছি । আমার অবস্থানের ব্যাপারে আমি স্পষ্ট ও দৃঢ় ।)
রাসূল (সা) বলেছেনঃ “যে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) উদ্দেশ্যে কাউকে ভালোবাসলো এবং আল্লাহর (সন্তুষ্টির) উদ্দেশ্যে কাউকে ঘৃণা করলো, আল্লাহর (সন্তুষ্টির) উদ্দেশ্যে দান করলো এবং আল্লাহর (সন্তুষ্টির) উদ্দেশ্যে দান করা থেকে বিরত থাকলো, সে যেন তার ঈমানকে পূর্ণ করে নিল।” (আবু দাউদ)শুক্রবার, মে 18, 2012
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন