এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৩

বিচারপতি মানিককে আপিল বিভাগে নেয়ার রহস্য




আওয়ামী লীগের দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক একজন চরম বিতর্কিত বিচারপতি । তার নামে আছে নানান অভিযোগ । মানি লণ্ডারিং, প্রতারণা, দুর্নীতি, সংবিধান ও শপথ লংঘন ইত্যাদি ।  মাহমুদুর রহমান তার বিরুদ্ধে এনেছেন ২৯ টি অভিযোগ  জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের এমপিরা তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠণ করে অভিশংসনের দাবি করেছেন । স্পিকার তার বিরুদ্ধে রুলিং দিয়েছেন ।
এমন একজন দলকানা চরম বিতর্কিত বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেয়া হলো এমন সময় যখন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলা আপিল বিভাগে আসছে । 

ইতোমধ্যে এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে , আল্লামা সাঈদীর মামলা শুনানির জন্যই তাকে আপিল বিভাগে নেয়া হয়েছে । কারণ, আল্লামা সাঈদীর আপিল শুনানির জন্য গঠিত বেঞ্চে রাখা হয়েছে এই বিতর্কিত বিচারপতি শামসুদ্দিনকে ।

আপিল শুনানির বেঞ্চে আরো আছেন বিচারপতি এস কে সিনহাতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম প্রভাবিত করার । স্কাইপে কেলেংকারির একটা ডায়লগ ছিল- ‘সিনহা বাবু কইছে, এক-দুইডা রায় দিয়া লন । 
আমরা আপনারে এইখানে নিয়া আসি’ । 

যাহোক, প্রশ্ন হচ্ছে – এমনিতেই যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম দেশে বিদেশে চরমভাবে বিতর্কিত হয়েছে এবং হচ্ছে । বিশেষ করে আল্লামা সাঈদীর বিষয়ে জনগনের সেন্টিমেন্ট চরম অবস্থায় । এই সময়ে দুইজন বিতর্কিত বিচারপতিকে দিয়ে আপিল শুনানির উদ্দেশ্য কী ? 

এর উদ্দেশ্য স্পষ্ট । আওয়ামী লীগ কোন স্বচ্ছ বিচার চায়না । তারা চায় বিচার কার্যক্রম বিতর্কিত করতে । এবং দেশে সংঘাত জিইয়ে রাখতে । সংঘাত বাড়াতে ।
গৃহযুদ্ধের যে আশংকা বোদ্ধামহল করে আসছেন , আওয়ামী লীগ আসলে সেটাই চায় । অস্বচ্ছ ও বিতর্কিত বিচারের আয়োজন করছে যাতে মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নামেআবার পুলিশ দিয়ে নির্বিচার গুলি করে গনহত্যা করছে যাতে মানুষ আরো ক্ষুব্ধ হয় । হাতে অস্ত্র তুলে নেয় । একসময় ভাইয়ে ভাইয়ে সংঘাত শুরু করে ।
আরেকটা উদ্দেশ্য হতে পারে । ন্যায়বিচারের আশা তিরোহিত করে জামায়াতের সাথে রাজনৈতিক দরকষাকষির চেষ্টা । 

যেটাই হোক , ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ । দেশের সাধারণ মানুষ । আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতা কর্মিরা । আসল এবং বড় বড় নেতারাতো বিদেশ পালিয়ে যাবে । সব ব্যবস্থা করাই আছে । রক্ত ঝরবে আওয়ামী লীগের যদু, জামায়াতের মধু, বিএনপির কদুর । অথবা কোন দল না করা ইসলামপ্রিয় আব্দুর রহিমের । 
   

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন