এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

শনিবার, ৪ জুন, ২০১১

বদনা শাহর কেরামতি !

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রী বা শিক্ষক কিংবা কর্মচারিদের মধ্যে বদনা শাহর মাজার চেনেনা এমন দুর্লভ প্রাণী সম্ভবত নাই । ক্যাম্পাসের পশ্চিম গেটের সাথে লাগোয়া বিশেষভাবে খ্যাত বদনা শাহর মাজার । সেখানে গেলেই আপনি দেখবেন শত শত বদনা ঝুলানো আছে । হরেক রকম বদনা । আপনার প্রয়োজন হলে আপনি এখান থেকে কিনতে পারেন । শুনেছি ভক্তরা মাজারে বদনা দান করেন । বদনা শাহর জীবনবৃত্তান্ত জানা না গেলেও তার কেরামতির আশায় অনেকেই লালসালুর ওপর তোহফা ঢালেন । এহেন মহান ব্যক্তির কেরামতি সম্পর্কে চমেকের সবার জানা দরকার বৈকি !
যাহোক আসল কথায় আসি । একদিন বদনা শাহর এক ভক্তের সাথে দেখা । মাজার নিয়ে কথা ওঠায় তিনি আমাকে বদনা শাহর কেরামতির এক চমকপ্রদ কাহিনী শোনালেন ।
সে অনেকদিন আগের কথা । চট্টগ্রামে একজন বুজুর্গ দরবেশ এলেন । তার নাম কেউ মুখে উচ্চারণ করতো না । পাছে আবার বেআদবি না হয়ে যায় এই ভয়ে । ফলে সাধারন মানুষ তাকে শুধু হুজুর বলেই ডাকতো । বহুদিন ধরে তিনি চট্টগ্রামে ধর্ম প্রচার করলেন । এরপর তিনি তার কিছু শিষ্যকে খুলনা অঞ্চলে পাঠালেন ধর্ম প্রচারের জন্য । শিষ্যরা নৌকায় রওয়ানা হলেন । কয়েকদিন পরে তারা খুলনায় পৌছলেন । তখনো ওই অঞ্চলে খুব বেশি বসতি ছিল না । সুন্দরবনের বাঘসহ অন্যান্য প্রাণীগুলো নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করতো । হুজুরের শিষ্যরা ফাঁকা জায়গা দেখে তাঁবু খাটালেন । ভ্রমনের ক্লান্তিতে সবাই বেঘোরে ঘুমাচ্ছিলেন । শেষ রাতে হঠাত্‍ বাঘের চিত্‍কারে ঘুম ভেঙ্গে গেল তাদের । তাঁবুর সামনেই চলে এসেছে বাঘ । এখন কী হবে ? সবাই প্রাণভয়ে আল্লাহর নাম জপতে লাগলো । এমন সময়ে হঠাত্‍ একটা আর্তচিত্‍কার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো বাঘ । সাহস করে বাইরে এসে শিষ্যরা তো হতবাক । একি ! হুজুরের বদনা এখানে ! হুজুরের বদনার আঘাতেই প্রাণ হারিয়েছে বাঘটা !
হুজুর ওইসময় চট্টগ্রামে বদনা হাতে ওজু করছিলেন । এমন সময় তিনি বুঝতে পারলেন যে তার শিষ্যরা বিপদগ্রস্ত । তখন তিনি তার হাতের বদনা ছুড়ে মারেন । সেই বদনার আঘাতে মারা যায় বাঘ ! আর বিপদ মুক্ত হন শিষ্যরা । শিষ্যরা পরে বদনাটি নিয়ে ফিরে আসেন ।
এই হলো বদনা শাহর কেরামতি !

পাদটীকা : এধরনের কাহিনী ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক । দয়া করে কেউ এসবে বিশ্বাস করবেন না ।


 শনিবার, জুন 4, 2011

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন