কনকনে ঠান্ডায় ফজরের নামাজ পড়ে আবারো কম্বলের নিচে ঢুকলাম ।উম-ম
।আবারো ঘুম ।বন্ধের দিন, ক্লাসে যাওয়ার তাড়া নেই ।ঘুম থেকে জেগে দেখি বয়স
বেড়েছে পৃথিবীর ।সাড়ে নয়টা বাজে ।দাত ব্রাশ করে নাস্তা করতে বের হলাম
।হোস্টেলের করিডোরেই একঝলক মিষ্টি আলো আদর বুলিয়ে দিলো আমার ঠান্ডা মুখে
।দু মিনিট দাঁড়ালাম ।এই রোদ আমাকে ভেদ করে ঢুকে গেলো সময়ের গভীরে ।যেখানে
শীতের আমেজে সকালের স্নিগ্ধ রোদে বসে আমি পড়ছিলাম আম পাতা জোড়া জোড়া
।আমাদের উঠানের সামনে নিমগাছগুলোর ফাঁক দিয়ে আসা ঝিরিঝিরি রোদ আমার
হাফপ্যান্ট পরা পায়ে খোলা শুভ্র উরুতে চিকচিক করতো ।মাদুরে বড় ভাইকে অংক
কষাতেন আব্বা ,আর আমি নতুন 'আমার বই' প্রথম ভাগ পড়তাম মাথা দুলিয়ে ।পিচ্চি
ছোটবোনটা আমার বই ,স্লেট ,চক ,কলম নিয়ে টানাটানি করত ।
একটু পরেই আসতো পিঠা ভাজা আর মুড়ি ।খাঁটি সরিষার তেলের সেই ঝাঁঝ ।তারপর নয়টার পরে সবাই উঠে যেতাম আমরা ।গরম ভাত খেয়ে যে যার কাজে ।
মনে পড়ে ।খুব মনে পড়ে ।নীরবে হাহাকার করে মন ।
সেইযে আমার রোদ পোহানোর দিনগুলি....
শনিবার, ডিসেম্বর 25, 2010
একটু পরেই আসতো পিঠা ভাজা আর মুড়ি ।খাঁটি সরিষার তেলের সেই ঝাঁঝ ।তারপর নয়টার পরে সবাই উঠে যেতাম আমরা ।গরম ভাত খেয়ে যে যার কাজে ।
মনে পড়ে ।খুব মনে পড়ে ।নীরবে হাহাকার করে মন ।
সেইযে আমার রোদ পোহানোর দিনগুলি....
শনিবার, ডিসেম্বর 25, 2010
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন