এই ভিড়ের মধ্যেও মেয়েটা এক প্রকার জোর করেই বাসে উঠে পড়লো । নারীদের
জন্য নির্ধারিত কোন সিট খালি ছিল না । দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই ।
কিন্তু তার সম্ভবত খুব জরুরি কোন কাজ আছে, যার কাছে এইসব ভিড়ভাট্টা কোন
ব্যাপার না ।
সারাদিন নানান কাজে দৌড়াদৌড়ি করে বেশ কাহিল হয়ে পড়েছিল মুনির । বাসে উঠে কোনমতে একটা সিট পাওয়ায় আরামে চোখ বুজে আসছিল তার । কিন্তু একটা মেয়ে মানুষকে এই ধাক্কাধাক্কির মধ্যে দাঁড় করিয়ে রেখে আর বসে থাকা সম্ভব নয় । সুতরাং সিটটা ছাড়তেই হলো তাকে । ‘এই যে আপু এখানে বসেন’ বলে উঠে দাঁড়ালো সে ।
মেয়েটাও কিছু না বলে টুপ করে বসে পড়লো ।
পেছন থেকে অবশ্য কেউ একজন মন্তব্য ছুঁড়তে ছাড়লো না । ‘বইবো ক্যান? মাইয়ারা না সমানাধিকার চায়? অরাও দাড়ায়া যাইবো, এইডাই সমানাধিকার’!
ভাই ভিত্রে যান, পেছনে খালি আছে । কন্ডাকটরের ক্রমাগত আহ্বান আর মানুষের ঠেলাঠেলিতে ধীরে ধীরে বাসের একেবারে পেছনে ঠাঁই হয়েছিল মুনিরের । সারাটা পথ দাঁড়িয়েই ছিল । তার ছেড়ে দেওয়া সিটটাও আর পুনর্দখল করার সুযোগ হয়নি । কখন যে ওটা খালি হয়েছিল সে খেয়ালও রাখা হয়নি ।
বাসায় ফিরেই ব্যাগসহ বিছানায় লুটিয়ে পড়লো মুনির ।
মুনিরের মত একজন পুরোদস্তুর ব্যাচেলরের জীবনে এরকম সময়ে ফেসবুক একটা গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী । পকেট থেকে মোবাইল বের করে ফেসবুকে লগইন করলো সে । আনমনে হোমপেজ স্ক্রল করতে করতে একজনের শেয়ার করা একটা পোস্টে চোখ আটকে গেল তার । নামটা অপরিচিত, আগে কখনো চোখে পড়েছে বলে মনে হয় না । তবুও ক্লিক করে পড়তে লাগলো।
''নীল নয়না
1 hour ago
‘হঠাৎ খবর পেলাম দাদুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । দাদু স্ট্রোক করেছেন । কোনকিছু মাথায় আসছিল না । রাস্তায় নেমে দুএকটা সিএনজি ডাকলাম, কিন্তু কেউ যাবে না । সব নবাবের পুত ।
প্রথম বাসটাতেই উঠে পড়লাম । খুব ভিড় ছিল, কিন্তু এছাড়া আর উপায় কী? কেউ একজন আমাকে তার সিটটা ছেড়ে দিল । অজানা সেই মানুষটাকে একটা ধন্যবাদও দেয়া হয়নি । হয়তো কোনদিন হবেও না । লোকটা হয়তো আমাকে অকৃতজ্ঞ ভাবতে পারে । আমার নিজেরও কেমন অকৃতজ্ঞ বোধ হচ্ছে । ফেসবুকে একটা ধন্যবাদ লিখে দিলে কি কিছুটা হালকা বোধ হবে? হতে পারে। তখনই কৃতজ্ঞতা না জানানোটা ভুল হয়ে গেছে । ভালো কাজের অনুপ্রেরণা জোগানোর জন্য মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাতে হয়’।
Odvut prithibi and 11 others like this''
সারাদিন নানান কাজে দৌড়াদৌড়ি করে বেশ কাহিল হয়ে পড়েছিল মুনির । বাসে উঠে কোনমতে একটা সিট পাওয়ায় আরামে চোখ বুজে আসছিল তার । কিন্তু একটা মেয়ে মানুষকে এই ধাক্কাধাক্কির মধ্যে দাঁড় করিয়ে রেখে আর বসে থাকা সম্ভব নয় । সুতরাং সিটটা ছাড়তেই হলো তাকে । ‘এই যে আপু এখানে বসেন’ বলে উঠে দাঁড়ালো সে ।
মেয়েটাও কিছু না বলে টুপ করে বসে পড়লো ।
পেছন থেকে অবশ্য কেউ একজন মন্তব্য ছুঁড়তে ছাড়লো না । ‘বইবো ক্যান? মাইয়ারা না সমানাধিকার চায়? অরাও দাড়ায়া যাইবো, এইডাই সমানাধিকার’!
ভাই ভিত্রে যান, পেছনে খালি আছে । কন্ডাকটরের ক্রমাগত আহ্বান আর মানুষের ঠেলাঠেলিতে ধীরে ধীরে বাসের একেবারে পেছনে ঠাঁই হয়েছিল মুনিরের । সারাটা পথ দাঁড়িয়েই ছিল । তার ছেড়ে দেওয়া সিটটাও আর পুনর্দখল করার সুযোগ হয়নি । কখন যে ওটা খালি হয়েছিল সে খেয়ালও রাখা হয়নি ।
বাসায় ফিরেই ব্যাগসহ বিছানায় লুটিয়ে পড়লো মুনির ।
মুনিরের মত একজন পুরোদস্তুর ব্যাচেলরের জীবনে এরকম সময়ে ফেসবুক একটা গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী । পকেট থেকে মোবাইল বের করে ফেসবুকে লগইন করলো সে । আনমনে হোমপেজ স্ক্রল করতে করতে একজনের শেয়ার করা একটা পোস্টে চোখ আটকে গেল তার । নামটা অপরিচিত, আগে কখনো চোখে পড়েছে বলে মনে হয় না । তবুও ক্লিক করে পড়তে লাগলো।
''নীল নয়না
1 hour ago
‘হঠাৎ খবর পেলাম দাদুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । দাদু স্ট্রোক করেছেন । কোনকিছু মাথায় আসছিল না । রাস্তায় নেমে দুএকটা সিএনজি ডাকলাম, কিন্তু কেউ যাবে না । সব নবাবের পুত ।
প্রথম বাসটাতেই উঠে পড়লাম । খুব ভিড় ছিল, কিন্তু এছাড়া আর উপায় কী? কেউ একজন আমাকে তার সিটটা ছেড়ে দিল । অজানা সেই মানুষটাকে একটা ধন্যবাদও দেয়া হয়নি । হয়তো কোনদিন হবেও না । লোকটা হয়তো আমাকে অকৃতজ্ঞ ভাবতে পারে । আমার নিজেরও কেমন অকৃতজ্ঞ বোধ হচ্ছে । ফেসবুকে একটা ধন্যবাদ লিখে দিলে কি কিছুটা হালকা বোধ হবে? হতে পারে। তখনই কৃতজ্ঞতা না জানানোটা ভুল হয়ে গেছে । ভালো কাজের অনুপ্রেরণা জোগানোর জন্য মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাতে হয়’।
Odvut prithibi and 11 others like this''
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন