ইদানিং অনেক ডাক্তারকে দেখি ফেসবুকে রোগীর ছবি পোস্ট করেন । এটা করা
কোনভাবেই ঠিক নয় । মেডিকেল ইথিক্স অনুযায়ী রোগীর সকল তথ্য গোপন রাখা
ডাক্তারের অবশ্য কর্তব্য, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া । যেমন ইনফেকশাস ডিজিজ বা
পুলিশ কেস সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয় । একাডেমিক আলোচনা ও
গবেষণার প্রয়োজনে রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে তাঁর তথ্য ব্যবহার করা যায় । এসব
ক্ষেত্র ছাড়া নিজের খেয়ালখুশিমত কারো ছবি, বা রোগ সম্পর্কিত অন্য কোন তথ্য
সামাজিক মিডিয়া তো দূরের কথা, রোগীর নিকটাত্মীয় নন অথবা রোগী চান না এমন কারো কাছে প্রকাশ করার সুযোগ নেই । এটা মেডিকেল এথিক্সের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ।
ডাক্তারের কাছে রোগীর অবস্থা জানার জন্য অনেকেই আসেন । দেখা যায়-
হাসপাতালে রোগী দেখতে এলে সবাই একবার ডাক্তারের কাছে গিয়ে রোগীর অবস্থা
জানতে চান। কিন্তু রোগীর স্বজনদের বুঝতে হবে- সবকিছু জানার অধিকার আপনার
নেই । অনেক সময়ই ডাক্তাররা আপনাদের সাথে কথা বলতে চান না । অনেক সময় বিরক্ত
হন । কারণ, এখানে ডাক্তারের ওপর অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় চাপের বাইরে নীতির
প্রশ্নও জড়িত আছে ।
ডাক্তারদেরও সচেতন থাকতে হবে । রোগীর কোন তথ্য কেউ জানতে চাইলে অবশ্যই রোগীর সাথে তাঁর সম্পর্ক যাচাই করে নিতে হবে । সম্ভব হলে রোগীর অনুমতি নিতে হবে । কাকে কতটুকু বলা যাবে তা ভেবে নিয়ে তাকে ততটুকুই বলতে হবে । তার বেশি কখনোই নয় ।
রোগী হয়তো চিকিৎসায় শারীরিক সুস্থতা লাভ করবেন, কিন্তু রোগীর অনুমতি ছাড়া কোন কোন তথ্য অন্য কারো হস্তগত হলে পরবর্তীতে রোগীর সামাজিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে । মেডিকেল ইথিক্স তা কখনোই হতে দিতে পারে না ।
ডাক্তারদেরও সচেতন থাকতে হবে । রোগীর কোন তথ্য কেউ জানতে চাইলে অবশ্যই রোগীর সাথে তাঁর সম্পর্ক যাচাই করে নিতে হবে । সম্ভব হলে রোগীর অনুমতি নিতে হবে । কাকে কতটুকু বলা যাবে তা ভেবে নিয়ে তাকে ততটুকুই বলতে হবে । তার বেশি কখনোই নয় ।
রোগী হয়তো চিকিৎসায় শারীরিক সুস্থতা লাভ করবেন, কিন্তু রোগীর অনুমতি ছাড়া কোন কোন তথ্য অন্য কারো হস্তগত হলে পরবর্তীতে রোগীর সামাজিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে । মেডিকেল ইথিক্স তা কখনোই হতে দিতে পারে না ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন