এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১২

ছাত্ররাজনীতি প্রসঙ্গে কিছু ধারনার অসারতা

ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করলেই দেশ ‘রাজনীতিশুন্য’ হয়ে পড়বে , অনেকের কথাবার্তায় এমন হাহাকার দেখা যায় । এই ধারণাটি ভুল । রাজনীতি এমন একটা বিষয় যা পৃথিবীর আদিকাল থেকেই ছিল এবং থাকবে। এটা মরুভুমিতেও গজায় । কেউ কেউ বলেন “মাথা ব্যথা হয়েছে তো মাথা কেটে ফেলতে হবে কেন?” আমি বলি এই উদাহরণটা অযৌক্তিক । ছাত্ররাজনীতিকে মাথার সমতুল্য বলাটাই অযৌক্তিক। বরং ছাত্ররাজনীতি রাজনীতির একটা অঙ্গমাত্র । এটাতে এখন পচন ধরেছে । কোনও অঙ্গে যখন পচন ধরে তখন তাকে Amputation (কেটে ফেলা) করতে হয়। নইলে তা ধীরে ধীরে পুরো শরীরকেই অকার্যকর করে ফেলে । ছাত্ররাজনীতি একটা অঙ্গ যা এখন পচনের ধারায় চলছে । এটাকে কেটে ফেললে বৃহত্তর রাজনীতির জন্য কল্যাণ হবে বলেই আমার মনে হয় ।
অন্ততঃ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে । গতকালের (১৫/০১/১২) প্রথম আলোতে প্রথম পৃষ্ঠায় একজন ছাত্রের ছবি ছাপানো হয়েছে । রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তিনি । ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে পঙ্গু হয়ে এখন ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । এভাবে আর কতকাল ? কতজনের শিক্ষাজীবন এভাবে নষ্ট হবে ? তিনি কিন্তু কোন সংগঠনের নেতা বা কর্মী নন । ( অন্য ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মী হলেই বা কেন পঙ্গু হতে হবে ? ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেন এক একটা কারাগার । বিভিন্ন লেজুড়বৃত্তিক ছাত্রসংগঠনের  হাতে বন্দী । কেউ ‘নিজের মত’ চিন্তা লালন করতে পারে না । প্রকাশ  করতে পারে না । একটা রাজনৈতিক  ব্যাক-আপ থাকতেই হয় । এটা কেন  হবে? এ কেমন স্বাধীনতা?  শিক্ষক রাজনীতির বিষয়েও অনেক  কথা আছে। ছাত্ররাজনীতির একটা বড়  অনুষঙ্গ কিংবা প্রভাবক হলো শিক্ষক  রাজনীতি। এটা নিয়ে পরে কথা বলব  ইনশাআল্লাহ্।


 সোমবার, জানুয়ারি 16, 2012

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন