এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০১০

কেন ইসলাম ধর্মে কোন নারী নবী আসেনি?-ডা: জাকির নায়েক

কেন ইসলাম ধর্মে কোন নারী নবী আসেনি?উত্তরঃ আমার বোন প্রশ্ন করেছেন, কেন ইসলামে নারী নবী আসেনি? যদি নবী বলতে আপনি বোঝেন যে, এমন এক ব্যক্তি যিনি আল্লাহর পক্ষ হতে বাণী গ্রহণ করেন এবং যিনি মানব জাতির নেতা হিসেবে কাজ করেন। সেই অর্থে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, ইসলামে আমরা কোন নারী নবী পাইনি এবং আমি মনে করি এটি সঠিক। কারণ যদি নারীকে নবী হতে হয় তবে সে সম্পর্কে কুরআনে স্পষ্ট করে বলা আছে পুরুষ হলো পরিবার প্রধান। সুতরাং যদি পুরুষ পরিবারের প্রধান হয়ে থাকে তবে কিভাবে নারী সমগ্র মানুষের নেতৃত্ব দিবে? এবার দ্বিতীয় অংশে আসি- একজন নবীকে সমাজের জামায়াতে নেতৃত্ব দিতে হয়। আমি পূর্বেই বলেছি নামাজে বেশ কিছু শারীরিক কসরত রয়েছে যেমন- কিয়াম, রুকু, সেজদা ইত্যাদি। যদি একজন নারী নবী নামাজে নেতৃত্ব দিত তবে জামায়াতের পিছনে যে সকল পুরুষ নামাজ পড়ে- তারা এবং ইমাম উভয়ের পক্ষে এটি বেশ বিব্রতকর হত।
এখানে আরো কিছু ব্যাপার রয়েছে। যেমন একজন নবীকে সকল সাধারণ মানুষের সাথে সর্বদা দেখা সাক্ষাৎ করতে হয়, এটা একজন মহিলা নবীর পক্ষে অসম্ভব। কারণ ইসলাম নারী-পুরুষ পরস্পরের মেলামেশার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে।
যদি মহিলা নবী হতো এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সে যদি গর্ভবতী হতো, তবে তার পক্ষে কয়েক মাস নবুওয়াতের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হতো না। যদি তার সন্তান হয় তবে তার পক্ষে এটা খুব কঠিন হয়ে যাবে সন্তান পালন করা এবং নবুওয়াতের দায়িত্ব যথার্থভাবে পালন করা।
কিন্তু একজন পুরুষের পক্ষে পিতৃত্ব এবং নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করা একজন মহিলার মাতৃত্ব এবং নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করা থেকে তুলনামূলক সহজ। কিন্তু যদি নবী বলতে আপনি বোঝেন যে, এমন একজন ব্যক্তি যিনি আল্লাহর পছন্দের এবং যিনি পবিত্র ও খাঁটি ব্যক্তি, তবে সেখানে কিছু নারীর উদাহরণ রয়েছে আমি এখানে উত্তম উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করব বিবি মরিয়াম (আ)- এর নাম। এটি সূরা মরিয়মে উল্লেখ রয়েছে। সূরা আল ইমরানের ৪২নং আয়াতে উল্লেখ রয়েছে।


অর্থ: যখন ফেরেশতা মরিয়মকে বললেন, ‘আল্লাহ আপনাকে মনোনীত করেছেন, পবিত্র করেছেন এবং নির্বাচিত করেছেন বিশ্বজগতের নারীদের উপর’। (সূরা আলে-ইমরানঃ ৪২)
যদি আপনি মনে করেন নবী হলেন এমন ব্যক্তি যিনি মনোনীত এবং পরিশুদ্ধ, তবে আমরা বিবি মরিয়মকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করতে পারি। যিনি ছিলেন যিশু খ্রিষ্ট বা ঈশা (আ)-এর মাতা। আমাদের আরো উদাহরণ রয়েছে সূরা তাহরীমে।
এখানে বলা হয়েছে,

অর্থ: আল্লাহ বিশ্বাসীদের জন্য ফেরআওনের স্ত্রী (আছিয়া)- এর অবস্থা বর্ণনা করেছেন (সূরা তাহরীমঃ ১১)
তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন-


অর্থ: হে আমার রব আমার জন্য বেহেশতের মধ্যে আপনার সন্নিকটে গৃহ নির্মাণ করে দিন, আর আমাকে ফেরআউন হতে এবং তার (কুফুরী) আচরণ হতে রক্ষা করুন, আর আমাকে সমস্ত অত্যাচারী লোকজন হতে হেফাজত করুন। (সূরা তাহ্রীম- ১১)
একটু কল্পনা করুন, তিনি ছিলেন তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী সম্রাট ফারাও-এর স্ত্রী এবং তিনি আল্লাহর ভালবাসার জন্য স্বীয় সব আরাম-আয়েশ ও বিলাসিতা ত্যাগ করতে চেয়েছেন।
উপরে উল্লিখিত দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলাম চার জন মহিলা নবী এসেছেন। তারা হলেন, বিবি মরিয়ম (আ), বিবি আছিয়া (আ), বিবি ফাতেমা (রা) ও বিবি খাদিজা (রা)। আশা করি প্রশ্নের উত্তর পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার, জুলাই 29, 2010

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন