১.
হাঁটতে
শেখার পর থেকেই দেখছি-
একটা
সর্বনাশা স্রোত আমায় ঠেলে দিতে চায়
আমার পথ
হতে । টেনে নিতে চায়, ভাসিয়ে নিতে চায় –
পেছনের
দিকে । অসুন্দর , পংকিলতা আর ক্রুরতার ভয়ংকর স্রোত ।
সেই
স্রোতে চলছে হাজারো মানুষ ।
লাখো
মানুষ ।
কোটি
মানুষ ।
খড়কুটোর
সাথে মিলেমিশে একাকার !
আমার
ভেতর থেকেও এক বিশ্বাসঘাতক প্রেরণা জাগায়-
সেই
স্রোতে ভাসাতে শরীর । নিষ্ঠুর জল্লাদের মত সে ক্রমাগত ছুরি চালায়
আমার
বিশ্বাসের শ্বাসমূলে ।
২.
সবাইকে
ঠেলে সামনে এগোনো বড্ড কঠিন, বড় কষ্ট
অনেক
শক্তি আর সাহসের কাজও বটে !
দুর্বল
আমি তাই- আমার পথের ওপর থমকে দাঁড়াই । ভাবি
নাইবা
পারলাম হাঁটতে স্রোতের বিপরীতে
দাঁড়িয়ে
তো থাকি –
সেটাই
বা কম কিসে ?
পায়ের
পাতা ফুঁড়ে শিকড় গজাক
বটগাছের
ঝুরির মত হাতগুলোও নেমে আসুক মাটির পরে
চুলগুলো
হোক মায়ের ভালোবাসার মত অচ্ছেদ্য শেকল
প্রোথিত
হোক সময়ের আঙ্গিনায় ; আঁকড়ে রাখুক অনন্তকাল
আমার
বিশ্বাসের এঁটেল মৃত্তিকায় ।
স্রোতের
বিপরীতে নাইবা পারলাম হাঁটতে
দাঁড়িয়ে
তো থাকি –
সেটাই
বা কম কিসে ?
[স্রোতের
বিপরীতে / ১৪-০৩-২০১৪]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন