কয়েকদিন আগে ডাঃ Muhibbur Rafe
ভাই একটা পোস্ট দিলেন ডাক্তারদের ঔষধ লেখার ক্ষেত্রে Rational practice
নিয়ে । রেশনাল প্রাক্টিসের একটা গুরুত্বপুর্ণ অংশ হচ্ছে- ঔষধের দামকে
রোগীর নাগালের মধ্যে রাখা । কিন্তু ডাক্তাররা এখন কমদামী ঔষধ লেখা কমিয়ে
দিয়েছেন । এর কারণ কী ? আমি মনে করি, জনগনের মানসিকতা এর একটা বড় কারণ ।
Diarrhoea আক্রান্ত একজন রোগী যখন Some Dehydration নিয়ে প্রেজেন্ট করেন ,
তখন গাইডলাইন অনুযায়ী ওরস্যালাইন দিয়েই চিকিৎসা করার কথা । কিন্তু
Intravenous fluid না দিলে বেশিরভাগ রোগীরই পরাণ ভরে না । তারা বলে - এ
কেমন ডাক্তার ? স্যালাইনই দিলনা ! তারা ডাক্তারের বদনাম করেন । কে হায় কষ্ট
করে বদনাম কুড়াতে ভালবাসে ? ফলে বাধ্য হয়ে অনেক সময় No dehydration এর
পেশেন্টকেও IV fluid দিতে হয় । আমি নিজেই এই অবস্থায় পড়েছিলাম । একবার আমি
'ছোট স্যার' নো ডিহাইড্রেশনের পেশেন্টকে ওরস্যালাইন দিলাম । রোগী বেজার ।
এরপর 'বড় স্যার' এসে তার কথা শুনে সেই রোগীকে কলেরা স্যালাইন দিলেন । এইবার
সে খুশি ।
একই কথা প্রযোজ্য এন্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে । এমোক্সিসিলিন দিয়েই হয়তো কাজ হবে । কিন্তু সেক্ষেত্রে রোগীরা বলে - দুই টাকা দামী ঔষধ দিছে ডাক্তারে । এইগুলা খাইয়া কি রোগ সারবো ? এই ভেবে তারা এমোক্সিসিলিনের ডোজটাও কমপ্লিট করেনা । তারা অন্য ডাক্তারের সন্ধান করেন- যেন দামী ঔষধ দেয় । যদি এমক্সিসিলিনে রোগ সারে তাহলে বলে - অসুখ তো এমনিই সারছে । আরে দুইটাকা দামী ঔষধে কি কোন কাজ করছে নি ?
কিছু হতভাগা আছে, যাদের ঔষধ কেনার সামর্থ্য নেই । তারা আসলে ডাক্তারের চেম্বারে আসেও না । তারা রাস্তার মোড়ে ঔষধের দোকানদারের কাছে গিয়ে যা পারে কিনে খায় । মাঝে মাঝে হয়তো সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে যায়, যেখানে সরকার একজন ডাক্তারকে ভাঙ্গা চেয়ারে বসিয়ে রেখেছে । আর কিছু নাই । ডাক্তারের হাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা P/C, B/C, T/C,F/S, H/S । মানে paracetamol, B complex, Tetracycline, Ferous sulphate আর Histacin. তাও আবার এক ঘন্টার মধ্যে সাপ্লাই শেষ হয়ে যায় ।
নাথিং টু ডু । এই দেশে মানুষের যে মানসিকতা, তাতে র্যাশনাল প্রাক্টিস করতে গেলে ডাক্তারকে না খেয়ে মরতে হবে , অথবা খাবার হিসেবে কপালে জুটবে মাইর !!
একই কথা প্রযোজ্য এন্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে । এমোক্সিসিলিন দিয়েই হয়তো কাজ হবে । কিন্তু সেক্ষেত্রে রোগীরা বলে - দুই টাকা দামী ঔষধ দিছে ডাক্তারে । এইগুলা খাইয়া কি রোগ সারবো ? এই ভেবে তারা এমোক্সিসিলিনের ডোজটাও কমপ্লিট করেনা । তারা অন্য ডাক্তারের সন্ধান করেন- যেন দামী ঔষধ দেয় । যদি এমক্সিসিলিনে রোগ সারে তাহলে বলে - অসুখ তো এমনিই সারছে । আরে দুইটাকা দামী ঔষধে কি কোন কাজ করছে নি ?
কিছু হতভাগা আছে, যাদের ঔষধ কেনার সামর্থ্য নেই । তারা আসলে ডাক্তারের চেম্বারে আসেও না । তারা রাস্তার মোড়ে ঔষধের দোকানদারের কাছে গিয়ে যা পারে কিনে খায় । মাঝে মাঝে হয়তো সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে যায়, যেখানে সরকার একজন ডাক্তারকে ভাঙ্গা চেয়ারে বসিয়ে রেখেছে । আর কিছু নাই । ডাক্তারের হাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা P/C, B/C, T/C,F/S, H/S । মানে paracetamol, B complex, Tetracycline, Ferous sulphate আর Histacin. তাও আবার এক ঘন্টার মধ্যে সাপ্লাই শেষ হয়ে যায় ।
নাথিং টু ডু । এই দেশে মানুষের যে মানসিকতা, তাতে র্যাশনাল প্রাক্টিস করতে গেলে ডাক্তারকে না খেয়ে মরতে হবে , অথবা খাবার হিসেবে কপালে জুটবে মাইর !!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন