আমি স্তম্ভিত। হতবাক। ভাবতেও ভয় হয়, কীরকম অসভ্য অমানবিক সমাজে বাস করছি আমরা?
....
উত্তরার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দগ্ধ সুমাইয়া জানিয়েছেন, ঘটনার পরে শরীরে আগুন নিয়ে সাত তলা থেকে নিচে নেমে আসার সময় কেউ তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে নি। সুমাইয়া বলেন, "আমি আর সারলিনের আব্বু নাইমা আসছি। পিচ্চিটা কোলে। দৌড়ায় নামছি আর চিৎকার করতেছি। আগুন জ্বলতেছে। ওইসময় ঘরে পুরা আগুন। তিন নাম্বার ফ্লোর, চার নাম্বার ফ্লোর দরজা খুলছে। খুইলা আমাদের দেইখা দরজা আটকায় দিছে। স্পষ্ট মনে আছে। দরজা খুইলা দেখে আগুন লাগা মানুষ নামতেছে আর দরজা আটকায় দেয়, কতটা অমানবিক চিন্তা করেন।
তিনতলার মানুষটাতো একটু তোষক দিয়ে জড়ায় ধরতে পারতো। নাইলে একটা তোষকই যাইতো। আমার বাচ্চাগুলাতো বাঁচতো।”
....
উত্তরার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দগ্ধ সুমাইয়া জানিয়েছেন, ঘটনার পরে শরীরে আগুন নিয়ে সাত তলা থেকে নিচে নেমে আসার সময় কেউ তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে নি। সুমাইয়া বলেন, "আমি আর সারলিনের আব্বু নাইমা আসছি। পিচ্চিটা কোলে। দৌড়ায় নামছি আর চিৎকার করতেছি। আগুন জ্বলতেছে। ওইসময় ঘরে পুরা আগুন। তিন নাম্বার ফ্লোর, চার নাম্বার ফ্লোর দরজা খুলছে। খুইলা আমাদের দেইখা দরজা আটকায় দিছে। স্পষ্ট মনে আছে। দরজা খুইলা দেখে আগুন লাগা মানুষ নামতেছে আর দরজা আটকায় দেয়, কতটা অমানবিক চিন্তা করেন।
তিনতলার মানুষটাতো একটু তোষক দিয়ে জড়ায় ধরতে পারতো। নাইলে একটা তোষকই যাইতো। আমার বাচ্চাগুলাতো বাঁচতো।”
নিচে নামতে নামতে সুমাইয়ার গায়ের কাপড় সম্পূর্ণ জ্বলে যায়। নিচে নেমে পরে
থাকা ছালার চট গায়ে জড়ান তিনি। সেই সময়টিতেও একটি চাদরও কেউ এগিয়ে দেননি।
সুমাইয়া বলেন, 'কত মানুষ, সবাই তাকায় রইছে। কেউ আগায় না। বলি কি একটা চাদর
দেন আমাদের গায়ে। আমি মহিলা মানুষ। আমার গায়ে একটা চাদর দেন। কেউ দেয় না।
বিল্ডিংয়ের মহিলারা কেউ দেয় না।'
সারলিন এবং জারিফও একা একা সাত তলা থেকে দৌড়ে নিচে নামে । তাদেরও সাহায্য করার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি।
...................
কী অদ্ভুত! অকল্পনীয়। ভাবা যায়? কতটা বর্বর আর অমানবিক হয়ে গেছি আমরা?
সারলিন এবং জারিফও একা একা সাত তলা থেকে দৌড়ে নিচে নামে । তাদেরও সাহায্য করার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি।
...................
কী অদ্ভুত! অকল্পনীয়। ভাবা যায়? কতটা বর্বর আর অমানবিক হয়ে গেছি আমরা?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন