এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬

আল্লাহ রাসুল নিয়ে কটুক্তি করা ফ্যাশন হয়ে গেছে

শিক্ষক অবশ্যই শ্রদ্ধেয়। কিন্তু শিক্ষক যদি নিজেই তার মর্যাদা নষ্ট করেন তাহলেও কি তাঁকে শ্রদ্ধা করার বাধ্যবাধকতা থাকে? পরিমল বাবুও একজন শিক্ষক ছিলেন, তাঁকেও কি শ্রদ্ধা করা জরুরী?
নারায়ণগঞ্জে প্রধান শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় আমি এমপি সেলিম ওসমানকে সমর্থন করতে বাধ্য হচ্ছি। বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি ঘটনার শুরুতে না, শেষে এসেছেন। তাকে ডেকে আনা হয়েছে। তিনি জনগনের ক্ষোভ থেকে রক্ষা করার জন্য, বড় ধরণের সংঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে কান ধরাতে বাধ্য হয়েছেন।
একজন শিক্ষকের ক্লাসে শিক্ষার্থীরা হট্টগোল করছিল। সে ক্লাসের পাশ দিয়ে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত যাচ্ছিলেন।
ছাত্র মৃদুলের বর্ণনায়, “হেড স্যার আইয়া ক্লাসের ভিতরে দাঁড়াইছে। তারপর বলতাছে তোগো আর শিক্ষা হবে না। তোরা অনেক কথা বলছ। শিক্ষকদের কথা শুনছ না। শুনবি কিভাবে? তোগো আল্লাহও নাপাক তোরাও নাপাক। ” (বিবিসি)
এটা কী ধরনের কথা? ছাত্রদের হট্টগোল করার সাথে আল্লাহর সম্পর্ক কি? "তোগো আল্লাহও নাপাক তোরাও নাপাক।” এইটা কী একজন প্রধান শিক্ষকের মন্তব্য হতে পারে?
ইসলাম, আল্লাহ, রাসুল, দাড়ি টুপি হিজাব নিকাব নিয়ে কটুক্তি করা এখন অনেকেরই ফ্যাশন হয়ে গেছে। এটা চলতে দেয়ার সুযোগ নেই। এর ফলে দেশে সন্ত্রাস বাড়ছে, অসহিষ্ণুতা বাড়ছে, অস্থিরতা বাড়ছে, উগ্রবাদীরা সুযোগ পাচ্ছে।
এটা হতে দেয়া যায় না। এটা সমর্থন করা যায় না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন