এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

সোমবার, ৩০ মে, ২০১৬

খেলা দেখে সময় নষ্ট !

বাসা অফিস রাস্তাঘাট দোকানে প্রচুর মানুষকে দেখি বসে বসে ক্রিকেট খেলা দেখছে।
কেউ নিজে খেললে তাও মেনে নেয়া যায়, কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা শুয়ে বসে খেলা দেখা মেনে নেয়া যায় না। এক দেড় ঘন্টার ফুটবল খেলা দেখাও হয়তো সমর্থন করা যায়, কিন্তু ক্রিকেট? মিনিমাম একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে বসলেও তো চার পাঁচ ঘন্টার ব্যাপার।

নিজে খেললে তবু শরীরের ব্যায়াম হয়, যাদের সাথে খেলা হয় তাদের সাথে হৃদ্যতা বাড়ে। সামাজিকতা তৈরি হয়। কিন্তু বসে বসে খেলা দেখে কী হয়? শরীরের ক্ষতি। সংসারের ক্ষতি। সমাজের ক্ষতি। রাষ্ট্র বা দেশেরও ক্ষতি হয়। 

অনেকেই দেখি ঘন্টার পর ঘন্টা খেলা দেখছে। এমনকি কারো কারো তো 'নেশা' হয়ে গেছে। ছাত্ররা ক্লাস মিস করছে, পড়ালেখায় ফাঁকি দিচ্ছে। কেউ কেউ অফিসের কাজে ফাকি দিচ্ছে। আবার কাজের মাঝে মাঝে স্কোর দেখে মনোযোগ নষ্ট করছেন।
এভাবে আমাদের হাজার হাজার কর্মঘন্টা স্রেফ নষ্ট হচ্ছে। আপনি বসে বসে খেলা দেখছেন, কিন্তু এর আর্থিক লাভ তুলছে টেলিভিশিন আর ফ্র‍্যাঞ্চাইজিরা।
আজ এই ওয়ার্ল্ড কাপ, কাল সেই ওয়ার্ল্ড কাপ, এরপর বিপিএল,তারপর পিসিএল, তারপর এই লীগ সেই লীগ। সারা বছর খেলা চলছেই । বিরাট ব্যবসা ফেঁদে বসেছে তারা। আর আপনি আমি হলাম সেই ব্যবসার ঘুটি।

আপনি নিজে অলস সময় কাটাচ্ছেন, টেরও পাচ্ছেন না, আপনার এই অলস সময়কেই কেউ কেউ টাকা বানানোর উপায় হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে।
সারাদিন বা ঘন্টার পর ঘন্টা খেলা দেখাকে কোন যুক্তিতেই ভালো বলার সুযোগ নাই। ধর্মীয় দৃষ্টিতে এটা স্রেফ বেহুদা সময় নষ্ট। আর যেকোন বেহুদা কাজে সময় নষ্ট করা চরম নিন্দনীয় ব্যাপার (সুরা মু'মিনুন)।

এটাকে কোন সুস্থ বিনোদনও বলা যায় না। বিনোদন চাইলে বরং বই পড়ুন, অন্তত ভালো কোন সিনেমা নাটক বা ডকুমেন্টারি দেখুন। পরিবারকে সময় দিন, বাচ্চাকাচ্চাকে নিয়ে ঘুরতে যান। সামাজিক কাজ করুন। সবচেয়ে ভালো হয়, নিজেই খেলতে নেমে যান। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেন, তাও ভালো। কিন্তু এইভাবে দিনের পর দিন, ঘন্টার পর ঘন্টা খেলা দেখে আপনার প্রাণশক্তি এবং কর্মঘন্টা নষ্ট করবেন না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন