এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬

ডাক্তারের ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে !

দৃশ্যপট-১ঃ
মোবাইলটা ক'দিন ধরেই 'ঝামেলা' করছে হাফিজ সাহেবের। ঠিকমত কথা শোনা যায় না। কেমন ঘরর ঘরর করে। নাহ! এইভাবে আর চলে না। মোবাইল নিয়ে তিনি গেলেন মেকানিকের কাছে। মেকানিক মোবাইলটা হাতে নিয়ে বললোঃ কী সমস্যা?
-ঠিকমত শোনা যায় না। ঘড়ঘড় ঘড়ঘড় করে।
-পনেরশ টাকা লাগবে।
-অত ক্যান? ৫০০ রাখেন।
-তাইলে নিয়া যান।
-আচ্ছা ঠিকাছে, এক হাজার রাইখেন!

মিনিট দশেক পরে এক হাজার টাকা দিয়ে হাসিমুখে মোবাইল হাতে নিয়ে ফিরছিলেন হাফিজ সাহেব। পঞ্চাশ হাজার টাকা দামের মোবাইল তার। এক হাজার টাকায় আবার ঠিকঠাক হয়ে গেল, মন্দ কী?

দৃশ্যপট-২ঃ
কী অদ্ভুত সমস্যা হয়ে গেল, মেজাজটা তিরিক্ষি হয়ে ওঠে হাফিজ সাহেবের। গতকাল থেকে কানের ভেতর ভোঁ ভোঁ করছে। মাথাটাও মনে হয় সিলিং ফ্যানের মত ঘুরছে। নিজে নিজে ডাক্তারি করে পাড়ার ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খেয়েছেন। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। ডাক্তারের কাছে না গিয়ে বোধহয় আর থাকা যাচ্ছে না।

অবশেষে তিনি গেলেন নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ শাহরিয়ারের কাছে। ডাক্তার তাকে বেশ কিছুক্ষণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন। তারপর সমস্যাটা বুঝিয়ে দিয়ে ওষুধ ও পরামর্শ দিলেন। হাফিজ সাহেবকে এ যাত্রায় ডাক্তারের কন্সালটেন্সি ফি হিসেবে পাঁচশ টাকা গুনতে হলো।
একে তো কান ভোঁ ভোঁ আর মাথা শো শো করছে, তার ওপর নগদ পাঁচশ টাকা খসলো! চেম্বার থেকে বের হয়ে হাফিজ সাহেব বলেই ফেললেনঃ কসাই একটা। পাঁচ-দশ মিনিট কথা বইলাই পাঁচশ টাকা রাইখা দিল। এরা জনগনকে জিম্মি কইরা টাকা নিতাছে। আইন কইরা ডাক্তারের ফি দেড়শ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া উচিৎ!
দৃশ্যপট-৩ঃ 'আইন করে ডাক্তারের ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে'
-সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন