এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আমলা বনাম কামলা ?

নতুন পে স্কেলের মাধ্যমে সরকার তার কর্মচারিদের দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছে । আমলা এবং কামলা । এডমিন ক্যাডার হইলো আমলা, আর বাদবাকি সবাই হবে কামলা !
আমলারা নির্দেশ দিবে, আর কামলারা সে নির্দেশ পালন করবে ! আমলারা ফাইলপত্র নাড়াচাড়া করবে, আর কামলারা তাদের নিজের চাকরির ফাইলখানা ঠিক রাখার জন্যে কিছুমিছু হাতে নিয়ে হুজুর হুজুর করবে ! তা সে কামলা যতবড় জ্ঞানীই হোক, যতবড় প্রফেসর হোক, যতবড় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদ বা দার্শনিক হোক ।
.
যতবড় ডিগ্রী থাকুক, চাকরির বয়স যতই হোক, কামলাদের দৌড় হবে সর্বোচ্চ গ্রেড-৩ পর্যন্ত । বাসে যেরকম নারী শিশু বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সিট সংরক্ষিত থাকে, তেমনিভাবে গ্রেড-১ এবং ২ আমলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ।
প্রফেসর সাব, ডাক্তার সাব, ইঞ্জিনিয়ার সাব- আপনারা গ্রেড -১, ২ চান? তাইলে আপনাদের ওপর 'আমলা'দের ব্রাহ্মণগিরি থাকে? এইটুকু জ্ঞানও আপনাদের নাই? এই জন্যেই তো আবুল মাল বলেছেন, আসলে 'জ্ঞানের অভাবে'ই আপনারা এই পে-স্কেলের সমালোচনা করছেন ! ঠিকই কইছে । আরে স্যার, আপনারা হইলেন কামলা । কামলাদের আবার কিসের গ্রেড-১,২ হা? আবুল মাল সাব তো বলেছেন, এখন থেকে উনারা মানে আমলারা আপনাদের, মানে কামলাদের কন্ট্রোল করবেন । ঠিকই কইছে ! আসলেই আপনাদেরকে কন্ট্রোল করা খুবই জরুরি হয়া পড়ছে।
.
প্রফেসর সাহেব, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-কৃষিবিদ সাহেব, কী ভেবেছেন? এমনিই পার পাবেন? জেনারেল সাবজেক্টে লেখাপড়া না কইরা আর বিসিএস এ এডমিন ক্যাডার চয়েস না দিয়া যে মহাপাপ করছিলেন, এখন তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে না?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন