স্মার্টফোন এখন সবার হাতে হাতে। আর স্মার্টফোনে ইন্সটল করা হচ্ছে
'স্মার্ট' গেমস। অনলাইনে বা অফলাইনে যতগুলো গেমস আছে, এর একটা বিরাট অংশ
তৈরি হয়েছে সহিংসতাকে ভিত্তি করে। গেমস মানেই সংঘাত, সংঘর্ষ। নায়কের হাতে
বন্দুক, গ্রেনেড। শত্রুর হাতে বন্দুক, গ্রেনেড। যুদ্ধ, আক্রমণ, আত্মরক্ষা-
এইসব হয়ে দাঁড়িয়েছে গেমসের মূল বিষয়। নিরীহ স্নেক বা মোটো রেসের গেম এখন
নিতান্তই সেকেলে।
এতে সমস্যা কী? সমস্যাটা হচ্ছে, এইসব সহিংসতা নির্ভর গেম এখন শিশুরাও খেলছে। বাবার মোবাইল কিংবা মামা চাচা ভাইয়া আপুদের মোবাইল হাতে নিয়ে শিশুরাও নিমগ্ন হয়ে যাচ্ছে এইসব গেমসে।
এতে সমস্যা কী? সমস্যাটা হচ্ছে, এইসব সহিংসতা নির্ভর গেম এখন শিশুরাও খেলছে। বাবার মোবাইল কিংবা মামা চাচা ভাইয়া আপুদের মোবাইল হাতে নিয়ে শিশুরাও নিমগ্ন হয়ে যাচ্ছে এইসব গেমসে।
এটা কোন নির্মল আনন্দ নয়। আসলে অর্থহীন খেলাধুলাতেই শুধু আছে নির্মল
আনন্দ। এইসব জটিল গেমস শিশুদেরকে স্মার্ট বানানোর চেয়ে অনেক বেশি জটিল
বানাচ্ছে। যতটা জটিলতা থাকার কথা নয় তার চেয়ে বেশি জটিল হয়ে পড়ছে বাচ্চাদের
চিন্তাভাবনা। তাদের বেড়ে ওঠাটা হচ্ছে না ধারাবাহিক, হচ্ছে না ক্রমান্বয়ী।
এমনকি বাচ্চাদের হাতে এইসব গেমস ভেতরে ভেতরে হয়তো অজান্তেই উগ্র করে তুলছে
তাদেরকে! তাদের কাছে মনে হতে পারে, এইসব গোলাগুলি এটাক পাল্টা এটাক বোধহয়
খুবই স্বাভাবিক! সবচেয়ে ভয়ংকর দিকটা হচ্ছে- বড় হতে হতে একসময় তারা বাস্তবে
এইসব এডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে আগ্রহী হতে পারে। আর তাদেরকে এই এডভেঞ্চারের
স্বাদ দিতে বর্তমান পৃথিবীতে অনেক গোষ্ঠী তো প্রস্তুত আছেই।
সতর্ক না হলে এইসব গেমসের শেষটা হয়তো ভবিষ্যতে আমাদের অনেক খারাপ কিছুর মুখোমুখি করবে।
সতর্ক না হলে এইসব গেমসের শেষটা হয়তো ভবিষ্যতে আমাদের অনেক খারাপ কিছুর মুখোমুখি করবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন