ভাইভা বোর্ড।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন ট্রেইনি ডাক্তাররা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং এ যোগ দিতে এসেছেন। বলা বাহুল্য, সম্পূর্ণ বিনা বেতনে। পেট চালানোর জন্য তাদের অন্য কোথাও অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। এই মুহূর্তে ভাইভার টেবিলে আছে তরুণ ডাক্তার মুনীর।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন ট্রেইনি ডাক্তাররা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং এ যোগ দিতে এসেছেন। বলা বাহুল্য, সম্পূর্ণ বিনা বেতনে। পেট চালানোর জন্য তাদের অন্য কোথাও অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। এই মুহূর্তে ভাইভার টেবিলে আছে তরুণ ডাক্তার মুনীর।
প্রফেসরঃ
দেখো, আমার এখানে প্রতিদিন সকাল ৮ টায় আসতে হবে। এক মিনিট যেন এদিক ওদিক
না হয়! আর তিনটার আগে কোনভাবেই যাওয়া চলবে না। সপ্তাহে দুইদিন এভেনিং ও
নাইট ডিউটি করতে হবে।
মুনীরঃ স্যার সপ্তাহে এক দিন যদি অফ দিতেন স্যার...
প্রফেসরঃ না, এইখানে কোন অফ টফ চলবে না। ঠিকমত রোগী দেখবা। তুমি ডিগ্রী করতে আসছো না?
জ্বি স্যার।
মুনীরঃ স্যার সপ্তাহে এক দিন যদি অফ দিতেন স্যার...
প্রফেসরঃ না, এইখানে কোন অফ টফ চলবে না। ঠিকমত রোগী দেখবা। তুমি ডিগ্রী করতে আসছো না?
জ্বি স্যার।
মুনীরের
একবার মনে হলো মুখ ফুটে বলে দেয়, যে তার মত জুনিয়র ডাক্তাররা হাওয়া
খেয়ে বাঁচে না। তারাও রক্তমাংসের মানুষ, তাদেরও ক্ষুধা আছে, তাদেরও পরিবার
পরিজন আছে। এমবিবিএস পাস করে এসে একজন ডাক্তারের পক্ষে বিনা পারিশ্রমিকে
এইভাবে কাজ করা সম্ভব নয়।
কিন্তু মুনীর কিছুই বলতে পারে না। এইসব বলা যায় না। পাছে যদি বেয়াদবি হয়ে যায়! প্রফেসরের কুনজরে পড়লে যে পরবর্তীতে পরীক্ষার ভাইভায় কোনভাবেই উতরানো যাবে না।
কিন্তু মুনীর কিছুই বলতে পারে না। এইসব বলা যায় না। পাছে যদি বেয়াদবি হয়ে যায়! প্রফেসরের কুনজরে পড়লে যে পরবর্তীতে পরীক্ষার ভাইভায় কোনভাবেই উতরানো যাবে না।
(এভাবেই দিনের পর দিন টিকে থাকে অবৈতনিক/ অনারারী
চিকিৎসা কর্মকর্তা নামের অমানবিক প্রথা.. হাজার কোটি টাকা ঠিকাদাররা
লুটেপুটে খায়, কিন্তু প্রফেসররা তার অধীনে প্রশিক্ষণরত ডাক্তারদের জন্য
মাত্র কয়েক'শ কোটি টাকা বরাদ্দ নিতে পারেন না।)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন