ভাইভা বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ আব্দুল করিম সাহেব। তিনি এই শহরের একজন
সিনিয়র, নামকরা, প্রথিতযশা ডাক্তার। সম্প্রতি কয়েকজন বন্ধুর সাথে
শেয়ারে একটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজকে সেই ক্লিনিকের ডাক্তার
নিয়োগের জন্য ভাইভা আহবান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শুরুও হয়ে গেছে। প্রফেসর
সাহেবের সামনে এই মুহূর্তে বসে আছে তরুণ ডাক্তার মুনীর।
- স্যার বেতন সম্পর্কে যদি একটু ধারণা দিতেন।
- বেতন আমরা ঠিক করেছি মাসিক ২০০০০ টাকা দেব।
- স্যার এটাতো খুব কম হয়ে যায়।
- বলো কী! তুমি জানো আমি কত টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেছিলাম? বলো, আন্দাজ করে বলো দেখি।
- জানি না স্যার।
- মাত্র ৫০০ টাকা! বুঝলা, মাত্র ৫০০ টাকা।
- স্যার বেতন সম্পর্কে যদি একটু ধারণা দিতেন।
- বেতন আমরা ঠিক করেছি মাসিক ২০০০০ টাকা দেব।
- স্যার এটাতো খুব কম হয়ে যায়।
- বলো কী! তুমি জানো আমি কত টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেছিলাম? বলো, আন্দাজ করে বলো দেখি।
- জানি না স্যার।
- মাত্র ৫০০ টাকা! বুঝলা, মাত্র ৫০০ টাকা।
প্রফেসর সাহেব কিছুটা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লেন। সেসময় ৫০০ টাকায় কী কী
করেছিলেন তার হিসাব দিতে শুরু করলেন। কীভাবে ৮০ টাকায় একটা মোটাতাজা গরু
কিনেছিলেন তার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ বুজে এলো প্রফেসর সাহেবের!
তারপর তিনি বললেন- দেখো বাবা, ২০০০০ টাকা অনেক বেশি টাকা। এর বেশি আমরা দিতে পারবো না!
মুনীর বের হয়ে এলো। তার বলতে ইচ্ছে হয়ঃ স্যারগো স্যার, এইটা ২০১৬ সাল। ২০০০০ টাকায় এখন ষাঁড় নয়, বড়জোর একটা বকনা বাছুর কেনা যায়। যেকোন একটা ব্যাংকের প্রবেশনারি অফিসার যেখানে এট লিস্ট চল্লিশ হাজার টাকা বেতন পায়, সেখানে কীকরে আপনি একজন পূর্ণকালীন ডাক্তারের বেতন বিশ হাজার টাকা প্রস্তাব করেন?
কিন্তু মুনীর ভদ্র ছেলে, সে কিছুই বলতে পারে নি। বড়দের সামনে বেশি কথা বলতে নেই, এতে নাকি বেয়াদবি হয়ে যায়!
।।।এভাবেই সিনিয়র ডাক্তারদের ইচ্ছায় অথবা তাদের নির্লিপ্ত চোখের সামনে নিষ্পেষিত হয় জুনিয়র ডাক্তাররা। কারণ, সিনিয়রদের চোখের সামনে আজও ভাসে ষাটের দশকের সেই ৫০০ টাকা, যখন ৮০ টাকায় পাওয়া যেত একটা মোটাতাজা গরু...।।।
তারপর তিনি বললেন- দেখো বাবা, ২০০০০ টাকা অনেক বেশি টাকা। এর বেশি আমরা দিতে পারবো না!
মুনীর বের হয়ে এলো। তার বলতে ইচ্ছে হয়ঃ স্যারগো স্যার, এইটা ২০১৬ সাল। ২০০০০ টাকায় এখন ষাঁড় নয়, বড়জোর একটা বকনা বাছুর কেনা যায়। যেকোন একটা ব্যাংকের প্রবেশনারি অফিসার যেখানে এট লিস্ট চল্লিশ হাজার টাকা বেতন পায়, সেখানে কীকরে আপনি একজন পূর্ণকালীন ডাক্তারের বেতন বিশ হাজার টাকা প্রস্তাব করেন?
কিন্তু মুনীর ভদ্র ছেলে, সে কিছুই বলতে পারে নি। বড়দের সামনে বেশি কথা বলতে নেই, এতে নাকি বেয়াদবি হয়ে যায়!
।।।এভাবেই সিনিয়র ডাক্তারদের ইচ্ছায় অথবা তাদের নির্লিপ্ত চোখের সামনে নিষ্পেষিত হয় জুনিয়র ডাক্তাররা। কারণ, সিনিয়রদের চোখের সামনে আজও ভাসে ষাটের দশকের সেই ৫০০ টাকা, যখন ৮০ টাকায় পাওয়া যেত একটা মোটাতাজা গরু...।।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন