এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৬

অপরাধ দমনে নাগরিক ভূমিকা

সিলেটের ঘটনায় যে মেয়েটা ভিডিও করেছে, তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। এর বেশি কিছু করা ঐসময় তার পক্ষে মোটেও সম্ভব ছিলনা। সুতরাং সে যা করেছে একদম ঠিক কাজটাই করেছে। ভিডিও দেখে আমার মনে হয়েছে, অন্য কেউ এগিয়ে গেলেও সেসময় খুব বেশি কিছু করতে পারতো না। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বদরুল খুব বেশি সময় নেয় নাই নার্গিসকে কোপানোর জন্য। সে পুরোপুরি উন্মাদ ছিল। মনে হয়, এইরকম প্রকাশ্যে কোপানোর ফলে তার নিজের পরিণতিও যে খারাপ হবে, এটা জেনেবুঝেই সে কোপাতে এসেছিল।
ধারালো অস্ত্রের মুখে নিজের বাপ-মা ভাইবোন ছাড়া অন্য কেউ খালি হাতে এগিয়ে যাবে, এই নষ্ট সময়ের নষ্ট সমাজে আপনি আমি কেউই তা আশা করতে পারিনা। আপনি নিজেও হয়তো কারো সাহায্যের জন্য হুট করে এমন ধারালো অস্ত্রের সামনে গিয়ে দাঁড়াবেন না।
পরে কিন্তু ঠিকই বদরুলকে ধরে গনপিটুনি দিয়েছে। এরকম সময়ে এমন একটা অতর্কিত নৃশংস হামলার মোকাবেলায় মানসিক ও শারিরীক প্রস্তুতির জন্য উপস্থিত লোকজনকে ওটুকু সময় দিতেই হবে।
কেউ পানিতে ডুবে যাচ্ছে, অথবা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছে এমন সময় ভিডিও করার সুযোগ নেই, কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। কিন্ত অপরাধমূলক কোন ঘটনা সংঘটিত হতে দেখলে সুযোগ থাকলে অবশ্যই ভিডিও করতে হবে। সবাই ভিডিও করবে তা নয়, কিন্তু কাউকে না কাউকে ভিডিও বা অডিও নিতে হবে। নিজে হেল্প করতে গেলেও অন্য কাউকে ভিডিও নিতে বলে যাওয়া দরকার। অতি রাজনৈতিক বিভাজন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে পক্ষপাতদুষ্ট প্রশাসন আর চরম মিথ্যাচারী বায়াসড মিডিয়ার এই যুগে ভিডিওর মত অকাট্য প্রমাণ অত্যন্ত জরুরী। এপর্যন্ত বেশ কিছু ঘটনায় শুধুমাত্র ভিডিও থাকার কারণে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। ভিডিও না থাকলে তা কতটুকু সম্ভব হত জানিনা।
দীর্ঘদিন পরিকল্পনা নিয়ে যখন কেউ অপরাধ করতে আসে, তখন তাকে প্রতিরোধ করা যায় না। এটা সহজ না। কিন্তু ডকুমেন্ট রাখতে পারলে তাকে খুঁজে বের করা যায়। শাস্তি দেয়া যায়। অপরাধীদের জন্য এটা কম ভয়ের বিষয় নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন