ব্লগের মাধ্যমে ছাগু (ছাগল) , ভাকু (ভারতীয় কুত্তা) , এই শব্দগুলোর সাথে আমার পরিচয় । পুরনো ব্লগার নতুন ব্লগার কিংবা ব্লগ পাঠক সবাই এখন এই শব্দগুলোরসাথে পরিচিত । এখন ফেসবুকেও এগুলোর ব্যবহার বেড়েছে । মনে হয় পুরো মানবগোষ্ঠি ,অন্তত বাংলাদেশের ব্লগার ফেসবুকাররা এখন দুই ভাগে বিভক্ত । ছাগল প্রজাতি এবং কুত্তা প্রজাতি । আরেকটা প্রজাতি ছিল আগে - বানর প্রজাতি(নাস্তিক ) , তবে বিবর্তনের মাধ্যমে তারা এখন কুত্তা প্রজাতির ভেতর ঢুকে গেছে ।
(পুরাতন ব্লগার-পাঠকরা এ অংশটুকু না পড়লেও চলবে ।)
নতুন পাঠকদের জন্য একটু পুনরাবৃত্তি করি । কুত্তা বলা হয় (কখনো কখনো নেকড়েও বলা হয়) ছাত্রলীগ , নাস্তিক , বামদেরকে । এদের মধ্যে ছাত্রলীগকে বলা হয় ভারতীয় কুত্তা ।
অপরদিকে ছাগু বা ছাগল বলা হয় ছাত্রশিবির এবং অন্যান্য ডানপন্থি ইসলামপন্থিদের । এই বিভাজনরেখায় আমি ছাগল কাতারেই পড়েছি । বলে রাখি , এজন্য আমি অনেক খুশি । কারণ কুত্তা বা নেকড়ের চেয়ে ছাগল অবশ্যই ভালো !
মূলত এই ব্লগীয় বিভাজনটা চিন্তাধারা ভিত্তিক । কিন্তু ইদানিং অনেক কমবখ্ত-নবিশ-কুত্তা বিষয়টাকে ব্লগের বাইরেও নিয়ে এসেছে । তারা দাড়ি-টুপি বা টাখনুর ওপর প্যান্ট পাজামা দেখলেই ছাগু আখ্যা দিচ্ছে । এমনকি চে গুয়েভারার দাড়ি দেখে তাকেও নাকি ছাগু বলেছে , একদিন একবন্ধু জানালো । তবে রবীন্দ্রনাথ বা নির্মলেন্দু গুণ সবার পরিচিত হওয়াতে ছাগু খেতাব পাওয়া থেকে বেঁচে গেছেন । অবশ্য নেড়ি কুত্তার স্বভাব অনুযায়ী এটা ঠিক আছে । অন্ধকারে চিনতে না পারলে কুত্তা অনেক সময় মনিবকে দেখেও ঘেউ ঘেউ করে !
এখন আমরা এইসব নামকরণের স্বার্থকতা বিচার করবো ।
ছাগল শব্দটা শিবির এবং ডানপন্থি ইসলামপন্থিদের জন্য ব্যবহার করা হলেও এখানে একটা বিষয়ে অসংগতি রয়েছে । ছাগল লিখতে যে কয়টি বর্ণপ্রয়োজন অর্থাত্ ছ , গ , ল এই সবগুলি আছে 'ছাত্রলীগ' শব্দের মধ্যে । তবে আচার আচরণগত দিক থেকে ছাত্রলীগ ও নাস্তিক বামদের জন্য কুত্তা বা নেকড়ে শব্দটা ঠিক আছে । কুত্তা যেমন প্রভূভক্ত , মাংসখেকো , রক্তখেকো , ঘেউ ঘেউ করে , মানুষকে কামড়ায় , নিজেদের মধ্যেও কামড়াকামড়ি করে , মাদী কুকুরের পেছনে পেছনে ঘোরে , দিনের বেলা ঘুমায় রাতে জেগে থাকে, আর পাগলা হলে তো মানুষের জন্য খুবই ভয়ংকর হয় এই সবগুলো বৈশিষ্ট্যই খুঁজে পাওয়া যায় ছাত্রলীগ ও বামদের মাঝে । তবে প্রকৃত বামদের মধ্যে শৃঙ্খলাটা একটু ভালো । আমরা যারা ৭২-৭৫ বা আওয়ামী লীগের আগের টার্মে নাবালক ছিলাম তারা এবার মোটামুটিভাবে এদের কুত্তা ও নেকড়ে রুপটা দেখতে পেয়েছি । খুন ধর্ষণ রাহাজানি টেন্ডারবাজি...নাহ্ এগুলো লিখে আর লাভ নেই- আপনারা সবাই সবকিছু জানেন ।
অপরদিকে ছাগল একটি নিরীহ তৃণভোজী প্রাণী । ছাগলের কিছু ছাগলামি স্বভাব আছে যা ডানপন্থি ইসলামপন্থিদের ভেতর পাওয়া যায় । তবে সংখ্যাটা খুব বেশি নয় । কুত্তার কুত্তামি স্বভাব থেকে ছাগলের ছাগলামি ভালো ।
আর সার্বিক বিচারেই পাগলা কুত্তার চেয়ে ছাগল অবশ্যই ভালো ।
ঈশপের গল্পটা তো আপনারা সবাই জানেন । তবু শুনুন আরেকবার । নেকড়ে ও মেষশাবকের গল্প ।
একদা এক মেষশাবক নদীতে পানি পান করছিল। একটি নেকড়ে পানি পান করতে এসে তাকে দেখল এবং মেষশাবকটির সুস্বাদু গোশত খেতে চাইল । কিন্তু আক্রমনের জন্য কোন কারন খুঁজে পাচ্ছিল না । নেকড়েটি ছিল নদীর উজানে ।
নেকড়ে বলল,
- তুই পানি ঘোলা করছিস কেন ? দেখছিস না আমার সমস্যা হচ্ছে ?
- পানি তো আপনার দিক থেকে প্রবাহিত হচ্ছে মশাই । কীভাবে আমি আপনার পানি ঘোলা করলাম ? বিনয়ের সাথে জবাব দিল শাবক ।
এবার নেকড়ে বললো- তাহলে তুই গত বছর ঘোলা করেছিলি?
- আমার জন্মই তো মাত্র ৬ মাস আগে জনাব, গতবছর আমি কিভাবে পানি ঘোলা করলাম ?
- তাহলে নিশ্চয় তোর বাপ ঘোলা করেছিল !
এই বলে নেকড়ে মেষশাবকটির উপর চড়াও হল এবং ঘাড় মটকে তাকে খেয়ে ফেলল ।
এই হলো নেকড়ের রুপ । ব্লগে এবং বাস্তবের (কুত্তা) নেকড়েদেরও আসলে একই অবস্থা । বেশিরভাগ সময় তারা গালাগালিতে (ঘেউ ঘেউ) মত্ত থাকে । ডানপন্থি ইসলামপন্থি দের ব্যাপারে ওদের প্রথম কথা হয় -আপনি যুদ্ধাপরাধী । নাহলে আপনার বাপ । নাহলে আপনার দাদা যুদ্ধাপরাধী । নাহলে আপনার শ্বশুর । নাহলে আপনার শ্বশুরের শ্বশুর । নাহলে আপনি 'চেতনায় যুদ্ধাপরাধী' !! হা হা হা ...এরপর কুমিরের লেজ খাঁজকাটা খাঁজকাটা খাঁজকাটা (গালাগালি)...
বুধবার, আগস্ট 29, 2012
http://goo.gl/qkGp4
(পুরাতন ব্লগার-পাঠকরা এ অংশটুকু না পড়লেও চলবে ।)
নতুন পাঠকদের জন্য একটু পুনরাবৃত্তি করি । কুত্তা বলা হয় (কখনো কখনো নেকড়েও বলা হয়) ছাত্রলীগ , নাস্তিক , বামদেরকে । এদের মধ্যে ছাত্রলীগকে বলা হয় ভারতীয় কুত্তা ।
অপরদিকে ছাগু বা ছাগল বলা হয় ছাত্রশিবির এবং অন্যান্য ডানপন্থি ইসলামপন্থিদের । এই বিভাজনরেখায় আমি ছাগল কাতারেই পড়েছি । বলে রাখি , এজন্য আমি অনেক খুশি । কারণ কুত্তা বা নেকড়ের চেয়ে ছাগল অবশ্যই ভালো !
মূলত এই ব্লগীয় বিভাজনটা চিন্তাধারা ভিত্তিক । কিন্তু ইদানিং অনেক কমবখ্ত-নবিশ-কুত্তা বিষয়টাকে ব্লগের বাইরেও নিয়ে এসেছে । তারা দাড়ি-টুপি বা টাখনুর ওপর প্যান্ট পাজামা দেখলেই ছাগু আখ্যা দিচ্ছে । এমনকি চে গুয়েভারার দাড়ি দেখে তাকেও নাকি ছাগু বলেছে , একদিন একবন্ধু জানালো । তবে রবীন্দ্রনাথ বা নির্মলেন্দু গুণ সবার পরিচিত হওয়াতে ছাগু খেতাব পাওয়া থেকে বেঁচে গেছেন । অবশ্য নেড়ি কুত্তার স্বভাব অনুযায়ী এটা ঠিক আছে । অন্ধকারে চিনতে না পারলে কুত্তা অনেক সময় মনিবকে দেখেও ঘেউ ঘেউ করে !
এখন আমরা এইসব নামকরণের স্বার্থকতা বিচার করবো ।
ছাগল শব্দটা শিবির এবং ডানপন্থি ইসলামপন্থিদের জন্য ব্যবহার করা হলেও এখানে একটা বিষয়ে অসংগতি রয়েছে । ছাগল লিখতে যে কয়টি বর্ণপ্রয়োজন অর্থাত্ ছ , গ , ল এই সবগুলি আছে 'ছাত্রলীগ' শব্দের মধ্যে । তবে আচার আচরণগত দিক থেকে ছাত্রলীগ ও নাস্তিক বামদের জন্য কুত্তা বা নেকড়ে শব্দটা ঠিক আছে । কুত্তা যেমন প্রভূভক্ত , মাংসখেকো , রক্তখেকো , ঘেউ ঘেউ করে , মানুষকে কামড়ায় , নিজেদের মধ্যেও কামড়াকামড়ি করে , মাদী কুকুরের পেছনে পেছনে ঘোরে , দিনের বেলা ঘুমায় রাতে জেগে থাকে, আর পাগলা হলে তো মানুষের জন্য খুবই ভয়ংকর হয় এই সবগুলো বৈশিষ্ট্যই খুঁজে পাওয়া যায় ছাত্রলীগ ও বামদের মাঝে । তবে প্রকৃত বামদের মধ্যে শৃঙ্খলাটা একটু ভালো । আমরা যারা ৭২-৭৫ বা আওয়ামী লীগের আগের টার্মে নাবালক ছিলাম তারা এবার মোটামুটিভাবে এদের কুত্তা ও নেকড়ে রুপটা দেখতে পেয়েছি । খুন ধর্ষণ রাহাজানি টেন্ডারবাজি...নাহ্ এগুলো লিখে আর লাভ নেই- আপনারা সবাই সবকিছু জানেন ।
অপরদিকে ছাগল একটি নিরীহ তৃণভোজী প্রাণী । ছাগলের কিছু ছাগলামি স্বভাব আছে যা ডানপন্থি ইসলামপন্থিদের ভেতর পাওয়া যায় । তবে সংখ্যাটা খুব বেশি নয় । কুত্তার কুত্তামি স্বভাব থেকে ছাগলের ছাগলামি ভালো ।
আর সার্বিক বিচারেই পাগলা কুত্তার চেয়ে ছাগল অবশ্যই ভালো ।
ঈশপের গল্পটা তো আপনারা সবাই জানেন । তবু শুনুন আরেকবার । নেকড়ে ও মেষশাবকের গল্প ।
একদা এক মেষশাবক নদীতে পানি পান করছিল। একটি নেকড়ে পানি পান করতে এসে তাকে দেখল এবং মেষশাবকটির সুস্বাদু গোশত খেতে চাইল । কিন্তু আক্রমনের জন্য কোন কারন খুঁজে পাচ্ছিল না । নেকড়েটি ছিল নদীর উজানে ।
নেকড়ে বলল,
- তুই পানি ঘোলা করছিস কেন ? দেখছিস না আমার সমস্যা হচ্ছে ?
- পানি তো আপনার দিক থেকে প্রবাহিত হচ্ছে মশাই । কীভাবে আমি আপনার পানি ঘোলা করলাম ? বিনয়ের সাথে জবাব দিল শাবক ।
এবার নেকড়ে বললো- তাহলে তুই গত বছর ঘোলা করেছিলি?
- আমার জন্মই তো মাত্র ৬ মাস আগে জনাব, গতবছর আমি কিভাবে পানি ঘোলা করলাম ?
- তাহলে নিশ্চয় তোর বাপ ঘোলা করেছিল !
এই বলে নেকড়ে মেষশাবকটির উপর চড়াও হল এবং ঘাড় মটকে তাকে খেয়ে ফেলল ।
এই হলো নেকড়ের রুপ । ব্লগে এবং বাস্তবের (কুত্তা) নেকড়েদেরও আসলে একই অবস্থা । বেশিরভাগ সময় তারা গালাগালিতে (ঘেউ ঘেউ) মত্ত থাকে । ডানপন্থি ইসলামপন্থি দের ব্যাপারে ওদের প্রথম কথা হয় -আপনি যুদ্ধাপরাধী । নাহলে আপনার বাপ । নাহলে আপনার দাদা যুদ্ধাপরাধী । নাহলে আপনার শ্বশুর । নাহলে আপনার শ্বশুরের শ্বশুর । নাহলে আপনি 'চেতনায় যুদ্ধাপরাধী' !! হা হা হা ...এরপর কুমিরের লেজ খাঁজকাটা খাঁজকাটা খাঁজকাটা (গালাগালি)...
বুধবার, আগস্ট 29, 2012
http://goo.gl/qkGp4
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন