এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

পৈশাচিক আনন্দ !

ভেতরে ভেতরে চাপা উত্তেজনা কাজ করছে কলিমউদ্দিনের । নামাজে মন বসছে না । বহুদিন পরে একটা উপলক্ষ পাওয়া যাবে । এসব কাজে সে সবসময় সামনের সারিতে থাকে । একধরণের পৈশাচিক আনন্দ তার মাথায় কিলবিল করতে থাকে ।

তিনমাস আগে সর্বশেষ এই গ্রামে একজন চোর ধরা পড়েছিল । চোরটাকে বটগাছের গোড়ায় বেঁধে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পালা করে পিটিয়েছে সে । পেটাতে পেটাতে নিজের হাতে ফোস্কা পরে গিয়েছিল

আজ মনে হয় আরেকটা উপলক্ষ পাওয়া যাবে । এটাতো চোর নয়, তাঁর ওপর মেয়ে । এরে পিটানোর স্বাদটা নিশ্চয়ই ভিন্ন রকম হবে !


মসজিদের সামনের দিকে দ্বিতীয় কাতারেই বসেছে কলিমউদ্দিন । পাঁচ অয়াক্ত নামাজ পড়ে এমনটা বলা যাবে না, তবে জুমার নামাজ, ঈদের নামাজ কিংবা কোন প্রোগ্রাম-মাহফিলে সে ঠিকঠাকমত হাজির থাকে । এবং তাঁর উপস্থিতি জানান দেয় হম্বিতম্বি করে ।

ঈমাম সাহেব খুতবা দিচ্ছেন । নামাজ শুরুর আগেই ঈমাম সাহেবের সাথে কথা বলেছে কলিম ও তাঁর সাথের দুই-তিনজন । ঈমাম সাহেব ঘটনা শুনে খুবই রেগে আছেন । তিনি বার কয়েক নাউযুবিল্লাহ পড়েছেন । নামাজ শেষ হলেই মুসল্লীদের সামনে রহস্যভেদ করা হবে । গ্রামের ভেতর এরকম বেলেল্লাপনা ঢুকে পড়েছে , অথচ কেউ জানেই না ! যুবকদের চরিত্র ধ্বংসের উপক্রম । এর একটা বিহিত আজকে করতেই হবে । ঈমাম সাহেব আজকের খুতবায় চরিত্র সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপুর্ণ কথা বললেন । যেকোন রকম চরিত্র বিধ্বংসী কার্যকলাপ যেন গ্রামে হতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানালেন ।


কলিম বুঝলো , ঘটনা ঠিকভাবেই আগাচ্ছে । সিদ্ধান্ত হবে নামাজের পর । ঈমাম সাহেবের বক্তব্যে এলাকার লোকজন আগে থেকেই একটা প্রেরণা পেয়ে থাকলো । আজকের সিদ্ধান্তটা কী হতে যাচ্ছে কলিম যেন টের পাচ্ছে । সে ও তাঁর দুই সহযোগী সামনের দিকেই বসেছে । সিদ্ধান্ত যেন তাদের মনমত হয় সেজন্য তারা চেষ্টা করবে ।


নামাজ শেষ হলো । ঈমাম সাহেব মিম্বরে দাঁড়ালেন । ভাইসব , একটা গুরুত্বপুর্ণ বিষয় আমাদের সামনে এসেছে ।

আমার কাছে খবর এসেছে যে , পুবপাড়ার সাহাবুদ্দিন চোরা তার বাড়িতে এক নষ্ট মেয়ে এনেছে । রাত বিরাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবক ছেলেরা তার বাড়িতে আসছে , সেখানে ব্যভিচার হচ্ছে । আমাদের গ্রামে এইটা চলতে দেয়া যায় না । এর একটা বিহিত ব্যবস্থা করা দরকার । আপনারাই বলেন, কী করা যায় ?

তড়াক করে লাফিয়ে উঠলো কলিম । কী এত বড় সাহস ? চলেন সবায় । ঐ শাবুদ্দিনের ঘর ভাঙ্গি ফেলা লাইগবে । আর ঐ মাগীর চুলের মুটি ধরি মারতে মারতে গেরাম থাকি বাইর করি দিবার লাইগবে । কী কন সবায় ?

কলিমউদ্দিনের দুই সঙ্গীসহ বেশ কিছু অতিউতসাহী লোক এবার চিৎকার চেচামেচি শুরু করলো । হা হা , কলিম ঠিক কতা কইছে । ঐ মাগীর চুলের মুটি ধরি গ্রাম থাকি বাইর করা লাগবে । চলেন সবায় একসাথে ।

ঈমাম সাহেব অনেক কষ্টে লোকজনের চিৎকার চেচামেচি থামালেন । তিনি বললেন , ঠিক আছে । আমরা সবাই মসজিদে থাকবো । আমাদের মধ্যে দুইজন মুরুব্বী যাবেন , গিয়ে তাকে এই মুহুর্তে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলবেন । তাকে এলাকার বাইরে বের করে একটা বাসে তুলে দিয়ে তারা ফিরে আসবেন । ঐ মেয়ের আশ্রয়দাতা চোরা শাবুদ্দিন বা অন্য কেউ কোনরকম বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে আমরা সবাই মিলে যাব ।

ঠিক হলো মনছুর সাহেব এবং গফুর সাহেব যাবেন । তারা চলে গেলেন । ঈমাম সাহেব গেলেন টয়লেটে । ঈমাম সাহেব টয়লেট থেকে ফিরে দেখেন- মসজিদ ফাকা । এতবড় উত্তেজনাকর একটা বিষয়, কেউ কি ঘরে বসে থাকতে পারে ? সবাই গেছে ঐ নষ্ট মেয়েকে গ্রামছাড়া করতে ! সবার চেয়ে বেশি উৎসাহ কলিমের ।

ঈমাম সাহেব কুরআন তেলাওয়াত করতে বসলেন ।

কিছুক্ষণের মধ্যে হৈ হৈ রব তুলে কলিম তার দলবল নিয়ে হামলে পড়লো চোরা শাবুদ্দিনের ঘরে । দরজা ভেঙ্গে চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচড়ে বের করে আনল একটা মেয়েকে । বয়স কত হবে ? ২৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে হয়তো ! তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বড় রাস্তার দিকে নিয়ে যেতে লাগলো ছেলেরা । শরীরের বিভিন্ন স্থানে পেটাতে লাগলো তারা । এ যেন এক অন্যরকম পৈশাচিক আনন্দ ! কাপড় ইতোমধ্যেই এলোমেলো হয়ে গেছে । যে যেখানে পারে  কে যে কোথায় হাত দিল ঠাওর করা গেল না ।

বড় রাস্তায় নিতে নিতে মেয়ে আধামরা হয়ে গেল, প্রায় লুটিয়ে পড়ছিল সে । একটা বাসে তুলে দেয়া হলো তাকে । কলিম ফিরে এলো বিজয়ির বেশে , ঠোটের কোণে এক চিলতে হাসি । হ্যা, মনের মত হয়েছে । যা যা ছিল মনে, গোলমালের সুযোগে সবই করেছে সে !
……………………

বাসের পেছনের একটা সিটে কোনরকমে গা এলিয়ে রইলো রেশমা । সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে । এরকম পরিস্থিতিতে তাকে কখনো পড়তে হয়নি এর আগে । শহরের ভেতর এক মালকিনের অধীনে সে এই পেশায় ভালোই কাটাচ্ছিল দিনগুলি । প্রথম প্রথম বাবা-মা, ছোট ভাইটার কথা মনে আসতো । অনেক কষ্ট, অনেক লজ্জা, অনেক অপমানে বুকটা হাহাকার করে উঠতো । ধীরে ধীরে কমে আসতে লাগলো লজ্জা । নতুন নতুন পুরুষ আসে , কাচা টাকা হাতে আসে । ভালোই লাগা শুরু করলো একসময় । ধীরে ধীরে বাবা মার কথা ভুলে যেতে লাগলো সে । কী লাভ পেছনে তাকিয়ে ? এই ছিল হয়তো কপালে । মাঝে মাঝে রাতে খুব কান্না পেত তার ।   অনেক কেঁদেছেও । তারপর ধীরে ধীরে সময় বয়ে যায় । একসময় আর কান্না আসে না । সবকিছুতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল সে ।

বাসের সিটে বসে আজ অনেক দিন পর চোখ ফেটে কান্না আসছে । এই বাসটা কোথায় যাবে সে জানেনা । ঝাপসা চোখে বাবা –মার কথা মনে পড়ছে । কেমন আছে ওরা ?  কেমন আছে আদরের ছোট ভাইটা ? কোথায় আছে ওরা ?

এমন জীবন তো চায়নি রেশমা কোনদিন । ছোটবেলা থেকেই সে খুব সেজেগুজে থাকতো । গরীবের মেয়ের জন্য যতটুকু সম্ভব ।  খুব ভালো করে রান্নাবান্না শিখেছিল । মা মাঝে মাঝে বলতেন, স্বামীর বাড়িতে গিয়ে আমার বদনাম করবি না । ও বাড়ির লোকেরা যেন বলতে না পারে- বাপ মা কিছু শেখায় নাই । স্বামীর বাড়ির কথা শুনে লজ্জাও পেত, কিন্তু ঘরে একলা বসে চুলে বেণী করার সময় কত কথাই  মনে আসত তার ! স্বামীর কথা কল্পনা করতে কত ভালো যে লাগত ! একা হলেই চিন্তা করতো-  কেমন হবে স্বামীটা ? সে কি খুব আদর করবে ওকে ?
স্বপ্ন ছিল একটা সুন্দর সংসারের । একঝাক বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকবে- জানালায় দাঁড়িয়ে কত কিছুই কল্পনা করতো রেশমা ।

সেবার রেশমা কেবল ক্লাস নাইনে  উঠেছে । পাশের গ্রামেই একটা বালিকা বিদ্যালয় তৈরি হয়েছিল নতুন, সেখানেই ভর্তি হয়েছিল সে ।

মেম্বারের ছেলে মিন্টুর নজরটা যে তার দিকে আছে- এটা সে কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছিল । বেশ কয়েকদিন মিন্টু রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে রেশমার সাথে আলাপ জমানোর চেষ্টা করেছে । বড় ভাই মনে করে রেশমাও টুকটাক উত্তর দিত কথার । মিন্টু মাঝে মাঝে সিনেমা দেখতে যাবার জন্য প্রস্তাব দিত । রেশমা যায়নি । সে জানতো, মেম্বারের ছেলে যতই মিষ্টি মিষ্টি কথা বলুক, তার সাথে কোনদিন রেশমার বিয়ে হবে না । মিন্টুর বাবা টাকাপয়সা ওয়ালা লোক, অনেক বছর ধরে এলাকার মেম্বার তিনি । রাজনীতি করেন । তার দল নাকি দেশের সবচেয়ে প্রাচীন দল, বাংলাদেশ নাকি ওনারাই স্বাধীন করেছেন এইসব কথা বলেন । ভোটের সময় যেসব সভা সমাবেশ হয়, সেখান থেকে রেশমা শুনেছে এসব ।

বালিকা মন তবু ধীরে ধীরে কিছুটা যেন বিশ্বাস করা শুরু করেছিল মিন্টুকে । মিন্টু অনেকবারই বলেছে- রেশমা, তুই রাজী থাকলে আমি তোরেই বিয়া করুম । দরকার হইলে তোরে নিয়া পলায় যামু । বিশ্বাস করতে চায়নি সে । তবু কেন যেন মনে হয়েছিল- হতেও তো পারে, মেম্বারের ছেলে আমাকে সত্যিই বিয়ে করবে ! আমার তো রুপ আছে !

একদিন স্কুল ছুটি ছিল । রেশমা তবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় । আজ সে মিন্টুর সাথে সিনেমা দেখতে যাবে । বাড়িতে বলে যায়- কাজ আছে স্কুলে, স্যার ডেকেছেঅশিক্ষিত বাবা-মা সরল মনে তাকে যেতে দেন । রেশমা চলে যায় সিনেমা হলে । মিন্টুর সাথে বসে সিনেমা দেখে সে । সিনেমা দেখে বের হয়ে তারা হাটতে থাকে । মিন্টু মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে । সে বলে, চল রেশমা- আইজকা তোরে বিয়া করুম !

মিন্টুর দুই বন্ধু একটা গাড়ি নিয়ে এসেছিলরেশমাকে গাড়িতে উঠিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে তারা । এরপর কোথায় নিয়ে গেল- সে জানেনা ।
একটা তালাবদ্ধ বাসায় তাকে আটকে রেখেছিল ওরা ।
তারপরের দুইদিন রেশমার ওপর দিয়ে যে কী ঝড় বয়ে গেল, সেকথা সে এখনো ভাবতে পারেনা । সে বিভীষিকার কথা মনে এলে এখনো গা শিউরে ওঠে ।

কতক্ষণ অজ্ঞান ছিল সে জানেনা । জ্ঞান ফিরলে দেখেছিল এক মহিলার ঘরে সে শুয়ে আছে । আরো অনেক মেয়ে-মহিলা আশেপাশের ঘর থেকে এসেছিল । সবাই তার আশ্রয়দানকারী মহিলাকে মালকিন বলে ডেকেছিল রেশমা প্রথম প্রথম বুঝতে পারেনি, কিসের মালকিনকিছুদিন পর সে বুঝতে পেরেছিল , কোথায় এসে পড়েছে । দুনিয়ার দোযখে ।  

গ্রামে বান্ধবীর কাছে চিঠি লিখেছিল রেশমা । বান্ধবী ফিরতি চিঠিতে লিখেছিল- রেশমা, তুই আর গ্রামে আসিস না । মেম্বারের ছেলে গ্রামে রটিয়ে দিয়েছে- তুই নষ্টপল্লিতে গেছিস । সে নিজে তোকে এক লোকের সাথে যেতে দেখেছে । তোর বাপ-মাকে ওরা একঘরে করে দিয়েছে । তোকে এখন সবাই ‘নষ্টা মেয়ে’ বলেই জানে । তুই আর আসিস না রেশমা যেখানেই থাকিস, ভালো থাকিস ।

অনেক কেঁদেছিল রেশমা । যথেষ্ট সুন্দরী সে । মালকিন তাকে ছাড়বে না । খেয়াল করেছে, সবসময় কেউ না কেউ তার ওপর চোখ রাখে !  হয়তো পালিয়ে যেতে পারতো, কিন্তু কোথায় যাবে ?

একদিন তাকে মালকিন খুব করে সাজিয়ে দিল । সব বুঝতে পারছিল রেশমা । কিন্তু তার কিছু করার ছিল না । সে বাথরুমের দরজা বন্ধ করে কেঁদে বুক ভাসিয়েছিল । সেদিন যার ঘরে তাকে পৌছিয়ে দেয়া হল- উনি একটা দলের যুব সংগঠনের নেতা । রেশমা খবর নিয়ে বের করেছিল- মেম্বারের ছেলে যে দল করতো, এই লোকও সেই দলেরই । এরা ধর্মকর্ম তেমন একটা মানে না । ধর্মনিরপেক্ষতা, যুদ্ধ, চেতনা- এইসব শব্দ প্রায়ই উনার মুখ থেকে শোনা যায় । এইখানকার আয়ের একটা অংশ দিতে হয় উনাকে । উনাদের সন্ত্রাসী বাহিনী আছে, সরকারে লোক আছে । কেউ তাদের কিছু বলে না । এলাকার লোকজন অনেকেই জানে এখানে কী হয়, অনেকেই পছন্দ করে না । কিন্তু এদের ভয়ে কেউ কিছু বলতেও পারে না । মন্ত্রী-এমপি-বুদ্ধিজীবিও আছে তাদের । রেশমা নিজেই দেখেছে অনেককে তাদের মালকিনের ঘরে আসতে ।

রেশমার নতুন জীবন শুরু হয়েছিল । চলছিলও সেভাবে । অভিশপ্ত এক জীবন । কিন্তু গা সওয়া হয়ে গিয়েছিল সেসব । আজ তার জীবনে একটা অন্যরকম দিন । আজ আবার সব কথা মনে পরছে । নতুন করে জীবনকে নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে করছে ।  এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে হবে , সে ঘুর্ণাক্ষরেও ভাবেনি । এই গ্রামে তাকে এনেছিল স্থানীয় চেয়ারম্যান । এই চেয়ারম্যানও ঐ দলের লোক । কিন্তু চেয়ারম্যান সাবধানতা বশত তাকে নিজের বাড়িতে না রেখে এক চোরের বাড়িতে রাখে ।
রেশমা ভেবেছিল – চেয়ারম্যানের কাছে যাচ্ছে, চিন্তা কী ? চেয়ারম্যান তার মালকিনের পুরাতন খদ্দের । মালকিনও তাই চেয়ারম্যানের অনুরোধ ফেলতে পারেনি । গতরাতেও চেয়ারম্যান এসেছিলেন । আজ কীভাবে যে কী হলো, কোথা হতে একদল লোক এসে তাকে টেনে হিঁচড়ে বের করে পেটাতে লাগলো । শুধু কি পেটানো ? আরো যতভাবে সম্ভব নাজেহাল করলো ।

না , আর ভাবতে পারছে না সে এই অভিশপ্ত জীবনের কথা ।
কোমড়ে হাত দিয়ে পুটলিটা অনুভব করলো রেশমা । হ্যা, ঠিকঠাকমত আছে ওটা । লোকজনের ধ্বস্তাধস্তিতেও ওটা কোথাও পড়ে যায়নি । বেশ মোটা অংকের- হ্যা , এতদিনের জমানো সবগুলো টাকা আছে এখানে ।

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো রেশমা । সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে সে । আর রেশমা ফিরে যাবে না ঐখানে । অভিশপ্ত আস্তানায় । অন্য কোথাও গিয়ে সে নতুন করে বাঁচার সংগ্রামে নামবে । যা আছে কপালে ।
.........................................................

পৈশাচিক আনন্দ / ০৬-০৯-২০১৩ 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন