ভেতরে ভেতরে চাপা উত্তেজনা কাজ করছে কলিমউদ্দিনের । নামাজে মন
বসছে না । বহুদিন পরে একটা উপলক্ষ পাওয়া যাবে । এসব কাজে সে সবসময় সামনের সারিতে
থাকে । একধরণের পৈশাচিক আনন্দ তার মাথায় কিলবিল করতে থাকে ।
তিনমাস আগে সর্বশেষ এই গ্রামে একজন চোর ধরা পড়েছিল । চোরটাকে
বটগাছের গোড়ায় বেঁধে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পালা করে পিটিয়েছে সে । পেটাতে পেটাতে
নিজের হাতে ফোস্কা পরে গিয়েছিল ।
আজ মনে হয় আরেকটা উপলক্ষ পাওয়া যাবে । এটাতো চোর নয়, তাঁর ওপর
মেয়ে । এরে পিটানোর স্বাদটা নিশ্চয়ই ভিন্ন রকম হবে !
মসজিদের সামনের দিকে দ্বিতীয় কাতারেই বসেছে কলিমউদ্দিন । পাঁচ
অয়াক্ত নামাজ পড়ে এমনটা বলা যাবে না, তবে জুমার নামাজ, ঈদের নামাজ কিংবা কোন
প্রোগ্রাম-মাহফিলে সে ঠিকঠাকমত হাজির থাকে । এবং তাঁর উপস্থিতি জানান দেয়
হম্বিতম্বি করে ।
ঈমাম সাহেব খুতবা দিচ্ছেন । নামাজ শুরুর আগেই ঈমাম সাহেবের
সাথে কথা বলেছে কলিম ও তাঁর সাথের দুই-তিনজন । ঈমাম সাহেব ঘটনা শুনে খুবই রেগে
আছেন । তিনি বার কয়েক নাউযুবিল্লাহ পড়েছেন । নামাজ শেষ হলেই মুসল্লীদের সামনে
রহস্যভেদ করা হবে । গ্রামের ভেতর এরকম বেলেল্লাপনা ঢুকে পড়েছে , অথচ কেউ জানেই না
! যুবকদের চরিত্র ধ্বংসের উপক্রম । এর একটা বিহিত আজকে করতেই হবে । ঈমাম সাহেব
আজকের খুতবায় চরিত্র সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপুর্ণ কথা বললেন ।
যেকোন রকম চরিত্র বিধ্বংসী কার্যকলাপ যেন গ্রামে হতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে
সজাগ থাকার আহবান জানালেন ।
কলিম বুঝলো , ঘটনা ঠিকভাবেই আগাচ্ছে । সিদ্ধান্ত হবে নামাজের
পর । ঈমাম সাহেবের বক্তব্যে এলাকার লোকজন আগে থেকেই একটা প্রেরণা পেয়ে থাকলো ।
আজকের সিদ্ধান্তটা কী হতে যাচ্ছে কলিম যেন টের পাচ্ছে । সে ও তাঁর দুই সহযোগী
সামনের দিকেই বসেছে । সিদ্ধান্ত যেন তাদের মনমত হয় সেজন্য তারা চেষ্টা করবে ।
নামাজ শেষ হলো । ঈমাম সাহেব মিম্বরে দাঁড়ালেন । ভাইসব , একটা
গুরুত্বপুর্ণ বিষয় আমাদের সামনে এসেছে ।
আমার কাছে খবর এসেছে
যে , পুবপাড়ার সাহাবুদ্দিন চোরা তার বাড়িতে এক নষ্ট মেয়ে এনেছে । রাত বিরাতে বিভিন্ন
এলাকা থেকে যুবক ছেলেরা তার বাড়িতে আসছে , সেখানে ব্যভিচার হচ্ছে । আমাদের গ্রামে
এইটা চলতে দেয়া যায় না । এর একটা বিহিত ব্যবস্থা করা দরকার । আপনারাই বলেন, কী করা
যায় ?
তড়াক করে লাফিয়ে উঠলো
কলিম । কী এত বড় সাহস ? চলেন সবায় । ঐ শাবুদ্দিনের ঘর ভাঙ্গি ফেলা লাইগবে । আর ঐ
মাগীর চুলের মুটি ধরি মারতে মারতে গেরাম থাকি বাইর করি দিবার লাইগবে । কী কন সবায়
?
কলিমউদ্দিনের দুই
সঙ্গীসহ বেশ কিছু অতিউতসাহী লোক এবার চিৎকার চেচামেচি শুরু করলো । হা হা , কলিম
ঠিক কতা কইছে । ঐ মাগীর চুলের মুটি ধরি গ্রাম থাকি বাইর করা লাগবে । চলেন সবায়
একসাথে ।
ঈমাম সাহেব অনেক
কষ্টে লোকজনের চিৎকার চেচামেচি থামালেন । তিনি বললেন , ঠিক আছে । আমরা সবাই মসজিদে
থাকবো । আমাদের মধ্যে দুইজন মুরুব্বী যাবেন , গিয়ে তাকে এই মুহুর্তে এলাকা ছেড়ে
চলে যেতে বলবেন । তাকে এলাকার বাইরে বের করে একটা বাসে তুলে দিয়ে তারা ফিরে আসবেন
। ঐ মেয়ের আশ্রয়দাতা চোরা শাবুদ্দিন বা অন্য কেউ কোনরকম বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে
আমরা সবাই মিলে যাব ।
ঠিক হলো মনছুর সাহেব
এবং গফুর সাহেব যাবেন । তারা চলে গেলেন । ঈমাম সাহেব গেলেন টয়লেটে । ঈমাম সাহেব
টয়লেট থেকে ফিরে দেখেন- মসজিদ ফাকা । এতবড় উত্তেজনাকর একটা বিষয়, কেউ কি ঘরে বসে
থাকতে পারে ? সবাই গেছে ঐ নষ্ট মেয়েকে গ্রামছাড়া করতে ! সবার চেয়ে বেশি উৎসাহ
কলিমের ।
ঈমাম সাহেব কুরআন
তেলাওয়াত করতে বসলেন ।
কিছুক্ষণের মধ্যে হৈ
হৈ রব তুলে কলিম তার দলবল নিয়ে হামলে পড়লো চোরা শাবুদ্দিনের ঘরে । দরজা ভেঙ্গে
চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচড়ে বের করে আনল একটা মেয়েকে । বয়স কত হবে ? ২৫ থেকে ৩০ এর
মধ্যে হয়তো ! তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বড় রাস্তার দিকে নিয়ে যেতে লাগলো ছেলেরা ।
শরীরের বিভিন্ন স্থানে পেটাতে লাগলো তারা । এ যেন এক অন্যরকম পৈশাচিক আনন্দ ! কাপড়
ইতোমধ্যেই এলোমেলো হয়ে গেছে । যে যেখানে পারে
কে যে কোথায় হাত দিল ঠাওর করা গেল না ।
বড় রাস্তায় নিতে নিতে
মেয়ে আধামরা হয়ে গেল, প্রায় লুটিয়ে পড়ছিল সে । একটা বাসে তুলে দেয়া হলো তাকে ।
কলিম ফিরে এলো বিজয়ির বেশে , ঠোটের কোণে এক চিলতে হাসি । হ্যা, মনের মত হয়েছে । যা
যা ছিল মনে, গোলমালের সুযোগে সবই করেছে সে !
……………………
বাসের পেছনের একটা সিটে কোনরকমে গা এলিয়ে রইলো
রেশমা । সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে । এরকম পরিস্থিতিতে তাকে কখনো পড়তে হয়নি
এর আগে । শহরের ভেতর এক মালকিনের অধীনে সে এই পেশায় ভালোই কাটাচ্ছিল দিনগুলি । প্রথম
প্রথম বাবা-মা, ছোট ভাইটার কথা মনে আসতো । অনেক কষ্ট, অনেক লজ্জা, অনেক অপমানে
বুকটা হাহাকার করে উঠতো । ধীরে ধীরে কমে আসতে লাগলো লজ্জা । নতুন নতুন পুরুষ আসে ,
কাচা টাকা হাতে আসে । ভালোই লাগা শুরু করলো একসময় । ধীরে ধীরে বাবা মার কথা ভুলে
যেতে লাগলো সে । কী লাভ পেছনে তাকিয়ে ? এই ছিল হয়তো কপালে । মাঝে মাঝে রাতে খুব
কান্না পেত তার । অনেক কেঁদেছেও । তারপর ধীরে ধীরে সময় বয়ে যায় ।
একসময় আর কান্না আসে না । সবকিছুতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল সে ।
বাসের সিটে বসে আজ অনেক দিন পর চোখ ফেটে কান্না
আসছে । এই বাসটা কোথায় যাবে সে জানেনা । ঝাপসা চোখে বাবা –মার কথা মনে পড়ছে । কেমন
আছে ওরা ? কেমন আছে আদরের ছোট ভাইটা ? কোথায়
আছে ওরা ?
এমন জীবন তো চায়নি রেশমা কোনদিন । ছোটবেলা থেকেই
সে খুব সেজেগুজে থাকতো । গরীবের মেয়ের জন্য যতটুকু সম্ভব । খুব ভালো করে রান্নাবান্না শিখেছিল । মা মাঝে
মাঝে বলতেন, স্বামীর বাড়িতে গিয়ে আমার বদনাম করবি না । ও বাড়ির লোকেরা যেন বলতে না
পারে- বাপ মা কিছু শেখায় নাই । স্বামীর বাড়ির কথা শুনে লজ্জাও পেত, কিন্তু ঘরে
একলা বসে চুলে বেণী করার সময় কত কথাই মনে
আসত তার ! স্বামীর কথা কল্পনা করতে কত ভালো যে লাগত ! একা হলেই চিন্তা করতো- কেমন হবে স্বামীটা ? সে কি খুব আদর করবে ওকে ?
স্বপ্ন ছিল একটা সুন্দর সংসারের । একঝাক
বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকবে- জানালায় দাঁড়িয়ে কত কিছুই কল্পনা করতো
রেশমা ।
সেবার রেশমা কেবল ক্লাস নাইনে উঠেছে । পাশের গ্রামেই একটা বালিকা বিদ্যালয়
তৈরি হয়েছিল নতুন, সেখানেই ভর্তি হয়েছিল সে ।
মেম্বারের ছেলে মিন্টুর নজরটা যে তার দিকে আছে-
এটা সে কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছিল । বেশ কয়েকদিন মিন্টু রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে
রেশমার সাথে আলাপ জমানোর চেষ্টা করেছে । বড় ভাই মনে করে রেশমাও টুকটাক উত্তর দিত
কথার । মিন্টু মাঝে মাঝে সিনেমা দেখতে যাবার জন্য প্রস্তাব দিত । রেশমা যায়নি । সে
জানতো, মেম্বারের ছেলে যতই মিষ্টি মিষ্টি কথা বলুক, তার সাথে কোনদিন রেশমার বিয়ে
হবে না । মিন্টুর বাবা টাকাপয়সা ওয়ালা লোক, অনেক বছর ধরে এলাকার মেম্বার তিনি ।
রাজনীতি করেন । তার দল নাকি দেশের সবচেয়ে প্রাচীন দল, বাংলাদেশ নাকি ওনারাই
স্বাধীন করেছেন এইসব কথা বলেন । ভোটের সময় যেসব সভা সমাবেশ হয়, সেখান থেকে রেশমা
শুনেছে এসব ।
বালিকা মন তবু ধীরে ধীরে কিছুটা যেন বিশ্বাস করা
শুরু করেছিল মিন্টুকে । মিন্টু অনেকবারই বলেছে- রেশমা, তুই রাজী থাকলে আমি তোরেই
বিয়া করুম । দরকার হইলে তোরে নিয়া পলায় যামু । বিশ্বাস করতে চায়নি সে । তবু কেন
যেন মনে হয়েছিল- হতেও তো পারে, মেম্বারের ছেলে আমাকে সত্যিই বিয়ে করবে ! আমার তো
রুপ আছে !
একদিন স্কুল ছুটি ছিল । রেশমা তবু বাড়ি থেকে
বেরিয়ে যায় । আজ সে মিন্টুর সাথে সিনেমা দেখতে যাবে । বাড়িতে বলে যায়- কাজ আছে
স্কুলে, স্যার ডেকেছে । অশিক্ষিত বাবা-মা সরল মনে তাকে যেতে দেন । রেশমা চলে যায়
সিনেমা হলে । মিন্টুর সাথে বসে সিনেমা দেখে সে । সিনেমা দেখে বের হয়ে তারা হাটতে
থাকে । মিন্টু মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে । সে বলে, চল রেশমা- আইজকা তোরে বিয়া করুম !
মিন্টুর দুই বন্ধু একটা গাড়ি নিয়ে এসেছিল । রেশমাকে গাড়িতে উঠিয়ে চোখ
বেঁধে ফেলে তারা । এরপর কোথায় নিয়ে গেল- সে জানেনা ।
একটা তালাবদ্ধ বাসায় তাকে আটকে রেখেছিল ওরা ।
তারপরের দুইদিন রেশমার ওপর দিয়ে যে কী ঝড় বয়ে
গেল, সেকথা সে এখনো ভাবতে পারেনা । সে বিভীষিকার কথা মনে এলে এখনো গা শিউরে ওঠে ।
কতক্ষণ অজ্ঞান ছিল সে জানেনা । জ্ঞান ফিরলে
দেখেছিল এক মহিলার ঘরে সে শুয়ে আছে । আরো অনেক মেয়ে-মহিলা আশেপাশের ঘর থেকে এসেছিল
। সবাই তার আশ্রয়দানকারী মহিলাকে মালকিন বলে ডেকেছিল । রেশমা প্রথম প্রথম বুঝতে পারেনি, কিসের
মালকিন । কিছুদিন পর সে
বুঝতে পেরেছিল , কোথায় এসে পড়েছে । দুনিয়ার দোযখে ।
গ্রামে বান্ধবীর কাছে চিঠি লিখেছিল রেশমা ।
বান্ধবী ফিরতি চিঠিতে লিখেছিল- রেশমা, তুই আর গ্রামে আসিস না । মেম্বারের ছেলে
গ্রামে রটিয়ে দিয়েছে- তুই নষ্টপল্লিতে গেছিস । সে নিজে তোকে এক লোকের সাথে যেতে
দেখেছে । তোর বাপ-মাকে ওরা একঘরে করে দিয়েছে । তোকে এখন সবাই ‘নষ্টা মেয়ে’ বলেই
জানে । তুই আর আসিস না রেশমা । যেখানেই থাকিস, ভালো থাকিস ।
অনেক কেঁদেছিল রেশমা । যথেষ্ট সুন্দরী সে ।
মালকিন তাকে ছাড়বে না । খেয়াল করেছে, সবসময় কেউ না কেউ তার ওপর চোখ রাখে ! হয়তো পালিয়ে যেতে পারতো, কিন্তু কোথায় যাবে ?
একদিন তাকে মালকিন খুব করে সাজিয়ে দিল । সব বুঝতে
পারছিল রেশমা । কিন্তু তার কিছু করার ছিল না । সে বাথরুমের দরজা বন্ধ করে কেঁদে
বুক ভাসিয়েছিল । সেদিন যার ঘরে তাকে পৌছিয়ে দেয়া হল- উনি একটা দলের যুব সংগঠনের
নেতা । রেশমা খবর নিয়ে বের করেছিল- মেম্বারের ছেলে যে দল করতো, এই লোকও সেই দলেরই
। এরা ধর্মকর্ম তেমন একটা মানে না । ধর্মনিরপেক্ষতা, যুদ্ধ, চেতনা- এইসব শব্দ
প্রায়ই উনার মুখ থেকে শোনা যায় । এইখানকার আয়ের একটা অংশ দিতে হয় উনাকে । উনাদের
সন্ত্রাসী বাহিনী আছে, সরকারে লোক আছে । কেউ তাদের কিছু বলে না । এলাকার লোকজন
অনেকেই জানে এখানে কী হয়, অনেকেই পছন্দ করে না । কিন্তু এদের ভয়ে কেউ কিছু বলতেও
পারে না । মন্ত্রী-এমপি-বুদ্ধিজীবিও আছে তাদের । রেশমা নিজেই দেখেছে অনেককে তাদের
মালকিনের ঘরে আসতে ।
রেশমার নতুন জীবন শুরু হয়েছিল । চলছিলও সেভাবে ।
অভিশপ্ত এক জীবন । কিন্তু গা সওয়া হয়ে গিয়েছিল সেসব । আজ তার জীবনে একটা অন্যরকম
দিন । আজ আবার সব কথা মনে পরছে । নতুন করে জীবনকে নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে করছে । এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে হবে , সে ঘুর্ণাক্ষরেও
ভাবেনি । এই গ্রামে তাকে এনেছিল স্থানীয় চেয়ারম্যান । এই চেয়ারম্যানও ঐ দলের লোক ।
কিন্তু চেয়ারম্যান সাবধানতা বশত তাকে নিজের বাড়িতে না রেখে এক চোরের বাড়িতে রাখে ।
রেশমা ভেবেছিল – চেয়ারম্যানের কাছে যাচ্ছে,
চিন্তা কী ? চেয়ারম্যান তার মালকিনের পুরাতন খদ্দের । মালকিনও তাই চেয়ারম্যানের
অনুরোধ ফেলতে পারেনি । গতরাতেও চেয়ারম্যান এসেছিলেন । আজ কীভাবে যে কী হলো, কোথা
হতে একদল লোক এসে তাকে টেনে হিঁচড়ে বের করে পেটাতে লাগলো । শুধু কি পেটানো ? আরো
যতভাবে সম্ভব নাজেহাল করলো ।
না , আর ভাবতে পারছে না সে এই অভিশপ্ত জীবনের কথা
।
কোমড়ে হাত দিয়ে পুটলিটা অনুভব করলো রেশমা । হ্যা,
ঠিকঠাকমত আছে ওটা । লোকজনের ধ্বস্তাধস্তিতেও ওটা কোথাও পড়ে যায়নি । বেশ মোটা
অংকের- হ্যা , এতদিনের জমানো সবগুলো টাকা আছে এখানে ।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো রেশমা । সিদ্ধান্ত নিয়ে
ফেলেছে সে । আর রেশমা ফিরে যাবে না ঐখানে । অভিশপ্ত আস্তানায় । অন্য কোথাও গিয়ে সে
নতুন করে বাঁচার সংগ্রামে নামবে । যা আছে কপালে ।
.........................................................
পৈশাচিক আনন্দ / ০৬-০৯-২০১৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন