এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

আহা কেউ যদি মশারিটা টাঙিয়ে দিত !!

আহা কেউ যদি মশারিটা টাঙিয়ে দিত !!
আলোচ্য বাক্যাংশটুকু মশার কামড়ে অতিষ্ঠ অলস ছেলেদের স্বগতোক্তি হইতে চয়ন করা হইয়াছে । ইহা ব্যাচেলর ছেলেদিগের বিবাহের ইচ্ছা প্রকাশের একটি মার্জিত রুপ ।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই কথাটার মাধ্যমে কী ধরণের মানসিকতা প্রকাশ পায় ?
ঠাট্টাচ্ছলে বলা হলেও এই কথাটা কিন্তু এমনি এমনি আসেনি । এর একটা ঐতিহাসিক পটভূমি আছে । হাজার বছর ধরে উপন্যাসে চিরায়ত বাংলার একটা চিত্র আছে । তিরিশ চল্লিশ বছর আগেও বাংলাদেশের গরীব, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং গ্রামীণ মধ্যবিত্ত পরিবারে স্ত্রীদের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল স্বামীর পা টিপে দেয়া । স্বামী মানে স্বামীই, সংসারের সত্যিকার রাজা । তাঁর একমাত্র কাজ উপার্জন করা আর সংসারের খরচ জোগানো । আর স্ত্রীর কাজ স্বামীর সেবা করা । মশারি টাঙানো সেখানে আরেকটি রুটিন কাজ মাত্র ।
এমন অনেক পুরুষ তাদের জীবন পার করে দিয়েছেন, জীবনে একদিনও মশারি টাঙান নি ।
আহা, কেউ যদি মশারিটা টাঙিয়ে দিত ! পুরুষের মনে এই ভাবনাটা সেই চিরাচরিত স্বামীসুলভ চেতনা থেকে উঠে আসে ।
[এটা হয়তো ক্ষতিকর কিছু নয় । তবে এই চিন্তাটার অর্থ যদি এই হয় যে পুরুষ তার সংসারে কোন সাংসারিক কাজই করবেন না, সব কাজ সবসময় স্ত্রীকেই করতে হবে সেটাকে নিশ্চয়ই ঠিক বলা চলে না । একদিন দুদিন মশারি টাঙালে নিশ্চয়ই পুরুষের মান ইজ্জত চলে যায়না !!]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন