-'স্যার/ডক্টর, আমাদের রোগীর কী অবস্থা? কোন উন্নতি কি বুঝতে পারছেন?'
একজন ডাক্তারের জীবনে সবচেয়ে বেশিবার শোনা প্রশ্ন । অত্যন্ত কঠিন হলেও এই প্রশ্নের উত্তর দেয়াটা ডাক্তারের দায়িত্ব এবং এই দায়িত্ব ডাক্তাররা পালন করে চলেছেন প্রতিনিয়ত । কিন্তু কখনো কখনো এই প্রশ্নটাই ডাক্তারের কাছে চরম বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।
একজন ডাক্তারের জীবনে সবচেয়ে বেশিবার শোনা প্রশ্ন । অত্যন্ত কঠিন হলেও এই প্রশ্নের উত্তর দেয়াটা ডাক্তারের দায়িত্ব এবং এই দায়িত্ব ডাক্তাররা পালন করে চলেছেন প্রতিনিয়ত । কিন্তু কখনো কখনো এই প্রশ্নটাই ডাক্তারের কাছে চরম বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।
অসুস্থ মানুষ এবং তাঁর নিকটাত্মীয়রাই বোঝেন তাদের কতটা অসহায় লাগে । একটা ভালো সংবাদ, একটু আশার বাণীই এইসময় অনেক অনেক কিছু । তৃষ্ণার্ত চাতকের মত সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে একটু ভালো ইঙ্গিতের । প্রিয়জনের আরো বেশি ক্ষতির আশঙ্কায় সবসময় বুক ধুকপুক করে । বারবার ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে -স্যার, এখন কী অবস্থা ?
দীর্ঘদিন এইসব অবস্থাকে মোকাবেলা করে থাকতে থাকতে ডাক্তারের অনুভূতি নিশ্চয়ই রোগীর স্বজনের মত তীব্র থাকেনা । খুব স্বাভাবিক । তবুও বেশিরভাগ ডাক্তারই রোগীর ব্যাপারে যথেষ্ট সহানুভূতিশীল থাকেন । কিন্তু যখন একজন রোগীর জন্য একের পর এক ভিন্ন ভিন্ন লোক এসে জিজ্ঞেস করে- ডক্টর , আমি রোগীর কাজিন । কী অবস্থা এখন ? ডক্টর , আমি রোগীর ভাবী, কী অবস্থা এখন ? স্যার , আমি রোগীর পাড়াতো ভাই, কী অবস্থা এখন ? তখন ডাক্তারের ভালো লাগেনা, তিনি বিরক্ত হন । হওয়াটাই স্বাভাবিক । যেকোন লোকই বিরক্ত হবে । তাছাড়া এই প্রশ্নের উত্তর দেয়াটাই ডাক্তারের একমাত্র কাজ নয় । তার আরো অনেক কাজ থাকে । তার আরো অনেক রোগী থাকে । তার নিজের পরিবার পরিজন বন্ধু বান্ধব আছে । তার অন্য অনেক কাজ আছে ।
অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাওয়া, সাহায্য সহযোগিতা করা সওয়াবের কাজ । মানবিকও । কিন্তু তাই বলে বিনাকারণে যখন তখন রোগীর আশেপাশে ভীড় করা, নির্ধারিত সময়ের বাইরে দেখতে যাওয়া, একই প্রশ্ন ডাক্তারকে বিভিন্নজন বারবার জিজ্ঞেস করা মোটেও ঠিক নয় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন