ওয়াবিল ওয়ালিদাইনে ইহসানা। তোমরা পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো। এইটুকু
সবাই জানে। কারণ, পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহারের শিক্ষা সবাইকে দেয়া হয়।
কিন্তু সন্তানের প্রতি পিতামাতার দায়িত্ব কী- এইটা কোথাও শিক্ষা দেয়া হয়
না।
সন্তানের ওপর পিতামাতার অধিকার কী তা নিয়া অনেক ওয়াজ নসিহত হয়, কিন্তু সন্তানের অধিকার কী- সেটা নিয়া কোন নসিহত পাওয়া যায় না। কোন বয়ান শোনা যায় না।
ফলে বাস্তব অবস্থাটা হতাশাজনকই থাকে। গাছের নিকট সবাই ফল প্রত্যাশা করে, সবাই জানে- আমগাছের উচিৎ ভালো ভালো আম উপহার দেওয়া। কিন্তু আমগাছকে যে গোড়ায় পানি দিয়ে, যত্ন করে বাড়তে দিলে তবেই ভালো ফল পাওয়া যাবে এইটা আমাদের সমাজের পিতামাতারা বোঝেন না। আর দিনশেষে সব দোষ ঐ ছেলেমেয়েদের ঘাড়েই বর্তানোর ধান্দায় থাকেন। ছেলেটা বিগড়ে গেছে, মেয়েটা বেয়াদব হয়ে গেছে এইসব বলে তাঁরা নিজেদের দায় এড়িয়ে যান।
সন্তানের ওপর পিতামাতার অধিকার কী তা নিয়া অনেক ওয়াজ নসিহত হয়, কিন্তু সন্তানের অধিকার কী- সেটা নিয়া কোন নসিহত পাওয়া যায় না। কোন বয়ান শোনা যায় না।
ফলে বাস্তব অবস্থাটা হতাশাজনকই থাকে। গাছের নিকট সবাই ফল প্রত্যাশা করে, সবাই জানে- আমগাছের উচিৎ ভালো ভালো আম উপহার দেওয়া। কিন্তু আমগাছকে যে গোড়ায় পানি দিয়ে, যত্ন করে বাড়তে দিলে তবেই ভালো ফল পাওয়া যাবে এইটা আমাদের সমাজের পিতামাতারা বোঝেন না। আর দিনশেষে সব দোষ ঐ ছেলেমেয়েদের ঘাড়েই বর্তানোর ধান্দায় থাকেন। ছেলেটা বিগড়ে গেছে, মেয়েটা বেয়াদব হয়ে গেছে এইসব বলে তাঁরা নিজেদের দায় এড়িয়ে যান।
কোন কোন বাবা-মা সন্তানদেরকে ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্রের মত একান্ত
ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করেন, জড়বস্তুর মত মনে করেন। নিজের সিদ্ধান্তই
সর্বেসর্বা, দুইদিনের বাচ্চা- এরা আর কী বুঝবে (!) এইরকম মনোভাব পোষণ করেন।
তারা হয়ে ওঠেন সংসারের স্বৈরাচারী শাসক।
নিজের পছন্দ অপছন্দকে সন্তানদের ওপর চাপিয়ে দেন। ওরাও যে একেকজন স্বতন্ত্র মানুষ এই সত্যটা একদম স্বীকার করতে চান না।
সমাজের যতসব বিশৃঙখলা অরাজকতা, তার পেছনে বাবা-মায়েদের এইসব দৃষ্টিভঙ্গিকে আমি অনেকাংশে দায়ী মনে করি। আসলে, বাচ্চাদের শিক্ষার পাশাপাশি বাপ-মায়েদেরও শিক্ষার ব্যবস্থা করা জরুরি। কিন্তু প্রশ্ন হলো সেটাই- বিড়ালের গলায় ঘন্টাটা বাঁধবে কে?
নিজের পছন্দ অপছন্দকে সন্তানদের ওপর চাপিয়ে দেন। ওরাও যে একেকজন স্বতন্ত্র মানুষ এই সত্যটা একদম স্বীকার করতে চান না।
সমাজের যতসব বিশৃঙখলা অরাজকতা, তার পেছনে বাবা-মায়েদের এইসব দৃষ্টিভঙ্গিকে আমি অনেকাংশে দায়ী মনে করি। আসলে, বাচ্চাদের শিক্ষার পাশাপাশি বাপ-মায়েদেরও শিক্ষার ব্যবস্থা করা জরুরি। কিন্তু প্রশ্ন হলো সেটাই- বিড়ালের গলায় ঘন্টাটা বাঁধবে কে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন