স্বাস্থ্যসেবা আইন' ২০১৬ নামে আইনের একটি খসড়া আইন কমিশনের বিবেচনাধীন আছে। এতে বারোটি পরিচ্ছেদে বিভক্ত ৫২ টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
জনগনের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইনের প্রয়োজন আছে। তবে আইন হতে হবে যৌক্তিক, যাতে সব পক্ষের সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকে। এই আইনে অনেক ভালো দিক রয়েছে, কিন্তু চিকিৎসায় অবহেলাকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কের সুযোগ আছে। এখানে পেশাগত অবহেলা বলতে বোঝানো হয়েছে- 'ভুল চিকিৎসা' যা দ্বারা 'রোগ মুক্তি ঘটে না' বা 'বিলম্বিত হয়'।
যেকোন চিকিৎসার অনেক ধাপ আছে। এর যেকোন পর্যায়ে সমস্যা হলে কাংখিত ফল পাওয়া নাও যেতে পারে।
জনগনের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইনের প্রয়োজন আছে। তবে আইন হতে হবে যৌক্তিক, যাতে সব পক্ষের সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকে। এই আইনে অনেক ভালো দিক রয়েছে, কিন্তু চিকিৎসায় অবহেলাকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কের সুযোগ আছে। এখানে পেশাগত অবহেলা বলতে বোঝানো হয়েছে- 'ভুল চিকিৎসা' যা দ্বারা 'রোগ মুক্তি ঘটে না' বা 'বিলম্বিত হয়'।
যেকোন চিকিৎসার অনেক ধাপ আছে। এর যেকোন পর্যায়ে সমস্যা হলে কাংখিত ফল পাওয়া নাও যেতে পারে।
মনে রাখতে হবে, চিকিৎসার শুরুটা কিন্তু রোগীর হাতেই । রোগী সঠিক সময়ে
ডাক্তারের কাছে গেলেন কিনা, রোগের কোন অবস্থায় ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেন,
ডাক্তারের কাছে ঠিকঠিক মত তার সমস্যার কথা বললেন কিনা, রোগের ইতিহাস ঠিকমত
দিতে পারলেন কিনা, কোনকিছু গোপন করলেন কিনা তার ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যতের
চিকিৎসা ।
এরপর কিছু অংশ ডাক্তারের হাতে। ডাক্তার কতটা দক্ষ, কতটা অভিজ্ঞ, কতটা জ্ঞানী সেটার ওপর নির্ভর করবে তাঁর রোগ নির্ণয়ের দক্ষতা।
তারপরের কিছু অংশ প্যাথলজি বা অন্যান্য ডায়াগনোস্টিক টেস্টের ওপর। সেগুলো আবার নির্ভর করে ল্যাবের যন্ত্রপাতির গুণগত মান, টেকনিশিয়ানের দক্ষতার ওপর।
রোগ নির্ণীত হলে পরে চিকিৎসা। একই রোগের চিকিৎসা আবার সকল রোগীর ক্ষেত্রে একরকম হবে না। পার্থক্য হবে রোগীর শারীরিক অবস্থা, অন্যান্য রিস্ক ফ্যাক্টরের উপস্থিতির ওপর। একটি রোগের সাথে অন্যান্য রোগের সহাবস্থানও চিকিৎসার বিরাট অন্তরায়। রোগীর আর্থিক সক্ষমতাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
একটি রোগের চিকিৎসার বিভিন্ন পন্থা থাকে। রোগী কোন পন্থা গ্রহণ করতে চান সেটাও একটা ব্যাপার।
সবশেষে ঔষধ প্রয়োগ। ডাক্তার রোগীকে ঔষধ গ্রহণের পরামর্শ দেন। কিন্তু সেই ঔষধ রোগী সঠিক সময়মত, সঠিক পরিমাণে, সঠিক পন্থায় গ্রহণ করছেন কিনা তার ওপর নির্ভর করবে ওষুধের রেসপন্স।
শুধু ওষুধ গ্রহণ করলেই চলে না, ঠিকমত মানতে হবে অন্যান্য পরামর্শও। নিয়মিত ফলো আপ করাও অত্যন্ত জরুরী। ওষুধের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজন অনুসারে ডোজ এডজাস্ট করা দরকার হয়।
এছাড়াও ডাক্তার যে ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন সে ওষুধ কিন্তু তিনি প্রস্তুত করেন না। ওষুধ কোম্পানি যথাযথভাবে ঔষধ প্রস্তুত করেছে কিনা, ফার্মেসি ঠিকমত সংরক্ষণ করেছিল কিনা তার ওপর নির্ভর করবে ওষুধের কার্যকারীতা। আবার ওষুধ একই হলেও বিভিন্ন জনের শরীরে তার কার্যকারীতা বিভিন্নরকম হতে পারে।
এতগুলো ফ্যাক্টর জড়িত একজন মানুষের যেকোন একটি রোগের চিকিৎসায়। এখন রোগীর রোগ মুক্তি না ঘটলেই বা বিলম্ব হলেই কি তাকে ভুল চিকিৎসা বলা যাবে? তাই যদি হয়, তাহলে এদেশে চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিতেই পারবেন না। আর বিলম্বের সংজ্ঞাটাই বা কী? এক সপ্তাহে ক্যান্সার থেকে মুক্তি না মিললে সেটাকে কি রোগ মুক্তিতে বিলম্ব বলা যাবে?
এরপর কিছু অংশ ডাক্তারের হাতে। ডাক্তার কতটা দক্ষ, কতটা অভিজ্ঞ, কতটা জ্ঞানী সেটার ওপর নির্ভর করবে তাঁর রোগ নির্ণয়ের দক্ষতা।
তারপরের কিছু অংশ প্যাথলজি বা অন্যান্য ডায়াগনোস্টিক টেস্টের ওপর। সেগুলো আবার নির্ভর করে ল্যাবের যন্ত্রপাতির গুণগত মান, টেকনিশিয়ানের দক্ষতার ওপর।
রোগ নির্ণীত হলে পরে চিকিৎসা। একই রোগের চিকিৎসা আবার সকল রোগীর ক্ষেত্রে একরকম হবে না। পার্থক্য হবে রোগীর শারীরিক অবস্থা, অন্যান্য রিস্ক ফ্যাক্টরের উপস্থিতির ওপর। একটি রোগের সাথে অন্যান্য রোগের সহাবস্থানও চিকিৎসার বিরাট অন্তরায়। রোগীর আর্থিক সক্ষমতাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
একটি রোগের চিকিৎসার বিভিন্ন পন্থা থাকে। রোগী কোন পন্থা গ্রহণ করতে চান সেটাও একটা ব্যাপার।
সবশেষে ঔষধ প্রয়োগ। ডাক্তার রোগীকে ঔষধ গ্রহণের পরামর্শ দেন। কিন্তু সেই ঔষধ রোগী সঠিক সময়মত, সঠিক পরিমাণে, সঠিক পন্থায় গ্রহণ করছেন কিনা তার ওপর নির্ভর করবে ওষুধের রেসপন্স।
শুধু ওষুধ গ্রহণ করলেই চলে না, ঠিকমত মানতে হবে অন্যান্য পরামর্শও। নিয়মিত ফলো আপ করাও অত্যন্ত জরুরী। ওষুধের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজন অনুসারে ডোজ এডজাস্ট করা দরকার হয়।
এছাড়াও ডাক্তার যে ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন সে ওষুধ কিন্তু তিনি প্রস্তুত করেন না। ওষুধ কোম্পানি যথাযথভাবে ঔষধ প্রস্তুত করেছে কিনা, ফার্মেসি ঠিকমত সংরক্ষণ করেছিল কিনা তার ওপর নির্ভর করবে ওষুধের কার্যকারীতা। আবার ওষুধ একই হলেও বিভিন্ন জনের শরীরে তার কার্যকারীতা বিভিন্নরকম হতে পারে।
এতগুলো ফ্যাক্টর জড়িত একজন মানুষের যেকোন একটি রোগের চিকিৎসায়। এখন রোগীর রোগ মুক্তি না ঘটলেই বা বিলম্ব হলেই কি তাকে ভুল চিকিৎসা বলা যাবে? তাই যদি হয়, তাহলে এদেশে চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিতেই পারবেন না। আর বিলম্বের সংজ্ঞাটাই বা কী? এক সপ্তাহে ক্যান্সার থেকে মুক্তি না মিললে সেটাকে কি রোগ মুক্তিতে বিলম্ব বলা যাবে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন