এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৪

বাঙালি ঘাউরা জাতি



১। বাঙালি ঘাউরা জাতি , গাড়ি না পুড়লে এরা কয়- অমুক দল ‘হিজড়া’, ‘নপুংসক’, ‘আন্দোলনের মুরোদ নাই’ ইত্যাদি । সেজন্যে গাড়ি পুড়ানোটা এই দেশের মানুষের জন্য অনিবার্য । কপালের লিখন , না যায় খন্ডন । 

কিন্তু মানুষসুদ্ধ গাড়ি পুড়ানোর যে কালচার শুরু হয়েছে – সেইটাকে কোনদিন কোনভাবেই সমর্থন করা যায় না । জাহাংগীর কবির নানকে করুক, পংকজ দেবনাথে করুক আর ১৮ দলীয় জোটই করুক । এইটা স্রেফ পৈশাচিকতা । 

পোকামাকড়কে পর্যন্ত পুড়িয়ে মারার অনুমতি নাই , সেখানে মানুষ তো আশরাফুল মাখলুকাত । কেউ যদি সেটাকে সমর্থনও করে, সে মানুষ না । 

২। এগেইন , বাঙালি ঘাউরা জাতি । এদেরকে ডান্ডার ওপর না রাখলে ঘাড়ের ওপর চড়ে বসে । সেজন্য প্রয়োজনে মামলা হতে পারে , গ্রেপ্তার হতে পারে । কিন্তু গ্রেপ্তার না করে গুলি করা কখনো সমর্থন করা যায় না । এটা পৈশাচিকতা । গ্রেপ্তার করতে না পারলে মা-বোন-স্ত্রীকে ধরে নিয়ে যাওয়া , বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট করা এগুলো আরো বড় পৈশাচিকতা । বর্বরতা । এগুলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ । এইটাকে যারা সমর্থন করেন তারাও মানুষ না । যারা করে তারা তো হিসাবেরও বাইরে । 

৩। আমি জানতাম- বাঙালি ঘাউরা জাতি ছিল, কিন্তু বর্বর ছিল না । কিন্তু এখন বাঙ্গালির কাজেকর্মে মনে হয়, এরাও কম বর্বর না । চেঙ্গিস খান হালাকু খান একাত্তরের পাক-বাহিনী, সীমান্তের বিএসএফর চেয়ে এরাও কোন অংশে কম বর্বর না ।  সরি টু সে দ্যাট ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন