১।
বাঙালি ঘাউরা জাতি , গাড়ি না পুড়লে এরা কয়- অমুক দল ‘হিজড়া’, ‘নপুংসক’, ‘আন্দোলনের
মুরোদ নাই’ ইত্যাদি । সেজন্যে গাড়ি পুড়ানোটা এই দেশের মানুষের জন্য অনিবার্য ।
কপালের লিখন , না যায় খন্ডন ।
কিন্তু
মানুষসুদ্ধ গাড়ি পুড়ানোর যে কালচার শুরু হয়েছে – সেইটাকে কোনদিন কোনভাবেই সমর্থন
করা যায় না । জাহাংগীর কবির নানকে করুক, পংকজ দেবনাথে করুক আর ১৮ দলীয় জোটই করুক ।
এইটা স্রেফ পৈশাচিকতা ।
পোকামাকড়কে
পর্যন্ত পুড়িয়ে মারার অনুমতি নাই , সেখানে মানুষ তো আশরাফুল মাখলুকাত । কেউ যদি
সেটাকে সমর্থনও করে, সে মানুষ না ।
২।
এগেইন , বাঙালি ঘাউরা জাতি । এদেরকে ডান্ডার ওপর না রাখলে ঘাড়ের ওপর চড়ে বসে ।
সেজন্য প্রয়োজনে মামলা হতে পারে , গ্রেপ্তার হতে পারে । কিন্তু গ্রেপ্তার না করে
গুলি করা কখনো সমর্থন করা যায় না । এটা পৈশাচিকতা । গ্রেপ্তার করতে না পারলে
মা-বোন-স্ত্রীকে ধরে নিয়ে যাওয়া , বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট করা এগুলো আরো বড়
পৈশাচিকতা । বর্বরতা । এগুলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ । এইটাকে যারা সমর্থন করেন
তারাও মানুষ না । যারা করে তারা তো হিসাবেরও বাইরে ।
৩। আমি
জানতাম- বাঙালি ঘাউরা জাতি ছিল, কিন্তু বর্বর ছিল না । কিন্তু এখন বাঙ্গালির
কাজেকর্মে মনে হয়, এরাও কম বর্বর না । চেঙ্গিস খান হালাকু খান একাত্তরের
পাক-বাহিনী, সীমান্তের বিএসএফর চেয়ে এরাও কোন অংশে কম বর্বর না । সরি টু সে দ্যাট ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন