সংখ্যাগুরু
সংখ্যালঘু হিসেবে আমাদের ভাগ করবেন না। সবাইকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করুন। একজন হিন্দু বা বৌদ্ধকে যখন ‘সংখ্যালঘু’ শব্দটি
বলা হয় তখন তার মনের অবস্থা কী দাঁড়ায় কখনো অনুভব করতে পেরেছেন? ঐ শব্দটার ভেতরেই
একটা দুর্বলতা প্রকাশ পায়। এখানে কেউ সংখ্যালঘু নয়, সবাই মানুষ। সবাই বাংলাদেশি। এটাই আমাদের পরিচয়। যেকোন মানুষের ওপর অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাই। সে
অন্যায় মুসলমানে করুক বা মুসলমানদের ওপর হোক, হিন্দু করুক বা হিন্দুর ওপর হোক,
বিএনপি-জামায়াত করুক বা বিএনপি-জামায়াতের ওপর হোক, আওয়ামী লীগ-কম্যুনিস্ট করুক বা
তাদের ওপর হোক, নাস্তিক করুক বা নাস্তিকের ওপর হোক, হেফাজতে ইসলাম করুক বা
হেফাজতের ওপর হোক, বাংলাদেশি করুক বা ইন্ডিয়ান করুক, যেই করুকনা কেন-অন্যায়ের
প্রতিবাদ করতেই হবে।
কোন ক্ষেত্রে চুপ থাকবো, কোন ক্ষেত্রে গলা ফাটাবো এরকম হলে অন্যায়-অবিচারের অবসান হবে না।
কোন ক্ষেত্রে চুপ থাকবো, কোন ক্ষেত্রে গলা ফাটাবো এরকম হলে অন্যায়-অবিচারের অবসান হবে না।
মানিক
বন্দোপাধ্যায়ের ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পে ভিখারিনী পাঁচী তার পায়ের ঘা সারানোর জন্য
কোন চিকিৎসা করতে ভিখুর প্রস্তাবে রাজী হয়না। ওটা তার রেখে দেয়া দরকার ছিল
ভিক্ষার সুবিধার জন্য।
বাংলাদেশে
হিন্দু বৌদ্ধদের ওপর হামলার এই দগদগে ঘা-কে স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক দলগুলো রেখে
দিয়েছে , মাঝে মাঝে যেন প্রয়োজনমত ব্যবহার করা যায়! হিন্দু বৌদ্ধদের ওপর হামলা
একারণে হয়না যে তারা অমুসলিম। এটা হচ্ছে সম্পদের লোভে, রাজনৈতিক কারণে। সেই
কক্সবাজারের রামুর ঘটনা থেকে সব জায়গায় এটাই দেখছি।
অনেক
জায়গায় হাতে নাতে ধরা পড়েছে হামলাকারী। কেন তাদের শাস্তি হচ্ছেনা? ব্লেম গেম না
খেলে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে গ্রেপ্তার করে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেয়ার দাবি জানাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন