এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৪

বেকুব পোলার আত্মহত্যা

এক বেকুব পোলায় প্রেমিকার হাত ধরে পানিতে ঝাপ দিয়া আত্মহত্যা করছে । মেয়েটা চালাক, সে বেঁচে গেছে । তাকে অভিনন্দন ।
এই বেকুবগুলো জীবনের মূল্য না বুঝলেও আমরা বুঝি । আমরা দেখি মৃত্যুপথযাত্রী একজন মানুষ কীকরে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় আরো কিছু মুহূর্ত এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য । আরো কিছু নিঃশ্বাস পৃথিবীর বাতাসে ছাড়বার জন্য । পৃথিবীর আলোয় আরো কিছুক্ষণ চোখ মেলে থাকবার জন্য ।
আমরা দেখি পিতার চোখের কান্না, মায়ের আহাজারি - যা লাগে সব করবো বাবা, তবু আমার বাচ্চাটাকে বাঁচান ।
যে বেকুবে গেছে সে তো Gone. আরো যাদের মনে বেকুবির সামান্য লেশমাত্র আছে তাদের জন্য নিচের কথাগুলি ।
- কেন আত্মহত্যা করতে হবে ?
- ওকে ছাড়া আমি বাচবো না ভাই ।
- ভুয়া কথা । মানুষ নিজের বাবা মারা গেলেও বাঁচে, মা মারা গেলে বাঁচে । নিজের হাত পা না থাকলেও বাঁচে । হায়াত না ফুরালে আর নিজে না মরলে মানুষ সহজে মরেনা ।
- ওর মত সুন্দরী কোথায় পাবো ?
- বেকুব । পৃথিবীতে ৬০০ কোটি মানুষের মধ্যে কমপক্ষে ১০ কোটি সুন্দরী পাওয়া যাবে যাদের দিকে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকা যায় । একজনকে দেখে মনে হবে – এই সবচেয়ে সুন্দর । আরেকজনকে দেখে মনে হবে এই সবচেয়ে সুন্দর ।
- ওর মনটা খুব ভালো ।
- গর্ধভ । পৃথিবীতে কমপক্ষে ১০ কোটি মেয়ে পাওয়া যাবে যাদের ‘মনটা খুব ভালো’ । আফ্রিকায় গেলে সেখানেও কাউকে না কাউকে ভালো লেগে যাবে । এদের যে কোন একজনের সাথে এই ছোট্ট জীবনটা সুখেই কাটিয়ে দেয়া যায় ।
- ও খুব কেয়ারিং ।
- গাধা । এইটাতো মেয়েদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্য । কোন মা, কোন বোন , কোন স্ত্রী কি আছে যে কেয়ারিং না ?

জীবন দেয়া যায় মানুষকে বাঁচানোর জন্যে , জীবন দিতে পারিস মানুষের সম্মান রক্ষার জন্যে । কাউকে পাওয়ার জন্যে কিংবা না পাওয়ার হতাশায় নয় ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন