চরম
বেকারত্ব কখনো ডাক্তারদের স্পর্শ করেনা । ডাক্তারদের জন্য যেমনই হোক ,
কোথাও না কোথাও আছে দু’মুঠো ভাতের নিশ্চয়তা । কিন্তু অন্য সবাইকেই একটা সময়
পুড়তে হয় বেকারত্বের অনলে ।
বেকারত্ব কী ‘ভয়ানক’ তা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্য কেউ বুঝবে না । আমার মনে পড়ে, বড় ভাই যখন পড়া শেষ করে চাকরি খুঁজতে লাগলেন তখনো আমি ছোট । দেখতাম- টেবিলের ওপর পড়ে থাকে সাপ্তাহিক ‘চাকরির পত্রিকা’ । খুঁজে খুঁজে দরখাস্ত লেখেন , মাঝে মাঝে সেগুলো পোস্ট অফিসে দিয়ে আসতে হত আমাকে ।
বিষন্ন দিন কাটে তাঁর ।
একটা জলজ্যান্ত যুবক ঘরে বসে আছে - তাঁর নিজস্ব কোন আয় নেই , তাঁর সম্মানজনক কোন জীবিকা নেই, সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে চা খেতে হয় বয়স্ক বাবার টাকায় । ইচ্ছেমত কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়না , মন চাইলেই কিছু করা যায়না ।
কাউকে হয়তো পছন্দ হয়েছে –তার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে । নিজেরও বয়স বেড়ে যাচ্ছে । কাউকে কিছুই বলার নেই ।
রাস্তাঘাটে মুরুব্বীদের বেমক্কা প্রশ্ন- ‘বাবা, কিছু হলো ?’
এই অবস্থা একজন তরতাজা যুবকের জন্য কতটা অসহনীয় – আমি অনুভব করি , কিন্তু পুরোটা হয়তো আমিও বুঝি না । কারণ, আমাকে সেই অবস্থায় পড়তে হয়নি, হবেওনা হয়তো কোনদিন । কিন্তু যাকে ফেস করতে হয়েছে সেই শুধু বোঝে এর যন্ত্রণা ।
এমন সময়ে কেউ কেউ পথ ভুলে যায় । পা বাড়ায় অচেনা বিপদসংকুল নষ্ট পথে । কেউ হয়তো ফিরে আসে , কেউ আর ফেরেনা স্বাভাবিক সুন্দর ছন্দময় জীবনে ।
সমাজে যদি আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই, উন্নতি অগ্রগতি করতে চাই – যুবকদের কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে । যুবকদের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে হবে । যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে । এই একটা কাজ করতে পারলেই পরিবর্তন হয়ে যাবে পুরো দেশ ।
‘সবার জন্য শিক্ষা’র চেয়েও বেশি জরুরী- ‘সবার জন্য কর্মসংস্থান’ ।
আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিলে কী করবেন ? আমি বলবো- সবার জন্য কর্মসংস্থান ।
স্বপ্ন দেখি এমন এক আগামীর, এমন এক বাংলাদেশের - যেখানে কোন বেকার যুবক থাকবে না ।
বেকারত্ব কী ‘ভয়ানক’ তা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্য কেউ বুঝবে না । আমার মনে পড়ে, বড় ভাই যখন পড়া শেষ করে চাকরি খুঁজতে লাগলেন তখনো আমি ছোট । দেখতাম- টেবিলের ওপর পড়ে থাকে সাপ্তাহিক ‘চাকরির পত্রিকা’ । খুঁজে খুঁজে দরখাস্ত লেখেন , মাঝে মাঝে সেগুলো পোস্ট অফিসে দিয়ে আসতে হত আমাকে ।
বিষন্ন দিন কাটে তাঁর ।
একটা জলজ্যান্ত যুবক ঘরে বসে আছে - তাঁর নিজস্ব কোন আয় নেই , তাঁর সম্মানজনক কোন জীবিকা নেই, সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে চা খেতে হয় বয়স্ক বাবার টাকায় । ইচ্ছেমত কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়না , মন চাইলেই কিছু করা যায়না ।
কাউকে হয়তো পছন্দ হয়েছে –তার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে । নিজেরও বয়স বেড়ে যাচ্ছে । কাউকে কিছুই বলার নেই ।
রাস্তাঘাটে মুরুব্বীদের বেমক্কা প্রশ্ন- ‘বাবা, কিছু হলো ?’
এই অবস্থা একজন তরতাজা যুবকের জন্য কতটা অসহনীয় – আমি অনুভব করি , কিন্তু পুরোটা হয়তো আমিও বুঝি না । কারণ, আমাকে সেই অবস্থায় পড়তে হয়নি, হবেওনা হয়তো কোনদিন । কিন্তু যাকে ফেস করতে হয়েছে সেই শুধু বোঝে এর যন্ত্রণা ।
এমন সময়ে কেউ কেউ পথ ভুলে যায় । পা বাড়ায় অচেনা বিপদসংকুল নষ্ট পথে । কেউ হয়তো ফিরে আসে , কেউ আর ফেরেনা স্বাভাবিক সুন্দর ছন্দময় জীবনে ।
সমাজে যদি আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই, উন্নতি অগ্রগতি করতে চাই – যুবকদের কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে । যুবকদের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে হবে । যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে । এই একটা কাজ করতে পারলেই পরিবর্তন হয়ে যাবে পুরো দেশ ।
‘সবার জন্য শিক্ষা’র চেয়েও বেশি জরুরী- ‘সবার জন্য কর্মসংস্থান’ ।
আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিলে কী করবেন ? আমি বলবো- সবার জন্য কর্মসংস্থান ।
স্বপ্ন দেখি এমন এক আগামীর, এমন এক বাংলাদেশের - যেখানে কোন বেকার যুবক থাকবে না ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন