দিবস পালন করা যেতে পারে যদি সেই দিবস পালন ভালো কোন উদ্দেশ্যে হয় ,
যদি সেই দিবস পালন সমাজের জন্য ভালো কোন ফল বয়ে আনে । যেমন স্বাক্ষরতা
দিবস, মানবাধিকার দিবস ইত্যাদি । কিন্তু অনেক ভেবেও আমি ভ্যালেন্টাইন্স ডে
পালনের কোন ভালো উদ্দেশ্য কিংবা কোন ভালো ফল পেলাম না । সেজন্য আমি এই দিবস
পালনকে সমর্থন করতে পারছি না । না একজন মুসলিম হিসেবে , না একজন বাঙালি
হিসেবে , না একজন বাংলাদেশি হিসেবে ।
বাংলা, বাংলাদেশ এবং মুসলিম সংস্কৃতির কোন অংশের সাথেই এটি মেলে না । এছাড়া এর কোন গৌরবোজ্বল ইতিহাসও নেই ।
এক নোংরা ও জঘন্য ইতিহাসের স্মৃতিচারণের নাম বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এর ইতিহাস বেশ পুরনো হলেও ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ নামে এর চর্চা শুরু হয় সাম্প্রতিক কালেই। দু'শ সত্তুর সালের চৌদ্দই ফেব্রুয়ারির কথা। তখন রোমের সম্রাট ছিলেন ক্লডিয়াস। সে সময় ভ্যালেন্টাইন নামে একজন পুরোহিত , প্রেমিক- প্রেমিকাদেরকে গোপনে বিয়ে দিত । এ অপরাধে সম্রাট ক্লডিয়াস ভ্যালেন্টাইনের শিরশ্ছেদ করেন। তার এ ভ্যালেন্টাইন নাম থেকেই এ দিনটির নাম করণ করা হয় ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ যা আজকের ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’। অন্য একটি ঘটনাও এর ইতিহাস হিসেবে প্রচলিত আছে ,কিন্তু সেটিও গৌরব করার মত কিছু নয় ।
বাংলাদেশে এ দিবসটি পালন করা শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। সেসময়ের 'যায় যায় দিন' পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান বাংলাদেশে এর পথিকৃৎ । এছাড়া এই দিবস পালনের পেছনে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যই প্রধান ।
এই দিবসের ভালো কোন দিক আছে কি ? বরং এর মাধ্যমে নারী নির্যাতনের পথ প্রশস্ত করা হচ্ছে । নৈতিক অবক্ষয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে ।
অশ্লীলতার প্রসার ঘটানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে ।
আর মুসলিমদের জন্য , যারা আল্লাহর ওপর ঈমান আনার দাবি করেন তাদের জন্য কুরআনের একটি আয়াতই এই দিবসের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সতর্ক হবার জন্য যথেষ্ট-
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
إِنَّ الَّذِينَ يُحِبُّونَ أَنْ تَشِيعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِينَ آمَنُوا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ
‘‘ যারা মু’মিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি..।’’(সূরা আন-নূর :১৯)
বাংলা, বাংলাদেশ এবং মুসলিম সংস্কৃতির কোন অংশের সাথেই এটি মেলে না । এছাড়া এর কোন গৌরবোজ্বল ইতিহাসও নেই ।
এক নোংরা ও জঘন্য ইতিহাসের স্মৃতিচারণের নাম বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এর ইতিহাস বেশ পুরনো হলেও ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ নামে এর চর্চা শুরু হয় সাম্প্রতিক কালেই। দু'শ সত্তুর সালের চৌদ্দই ফেব্রুয়ারির কথা। তখন রোমের সম্রাট ছিলেন ক্লডিয়াস। সে সময় ভ্যালেন্টাইন নামে একজন পুরোহিত , প্রেমিক- প্রেমিকাদেরকে গোপনে বিয়ে দিত । এ অপরাধে সম্রাট ক্লডিয়াস ভ্যালেন্টাইনের শিরশ্ছেদ করেন। তার এ ভ্যালেন্টাইন নাম থেকেই এ দিনটির নাম করণ করা হয় ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ যা আজকের ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’। অন্য একটি ঘটনাও এর ইতিহাস হিসেবে প্রচলিত আছে ,কিন্তু সেটিও গৌরব করার মত কিছু নয় ।
বাংলাদেশে এ দিবসটি পালন করা শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। সেসময়ের 'যায় যায় দিন' পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান বাংলাদেশে এর পথিকৃৎ । এছাড়া এই দিবস পালনের পেছনে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যই প্রধান ।
এই দিবসের ভালো কোন দিক আছে কি ? বরং এর মাধ্যমে নারী নির্যাতনের পথ প্রশস্ত করা হচ্ছে । নৈতিক অবক্ষয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে ।
অশ্লীলতার প্রসার ঘটানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে ।
আর মুসলিমদের জন্য , যারা আল্লাহর ওপর ঈমান আনার দাবি করেন তাদের জন্য কুরআনের একটি আয়াতই এই দিবসের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সতর্ক হবার জন্য যথেষ্ট-
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
إِنَّ الَّذِينَ يُحِبُّونَ أَنْ تَشِيعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِينَ آمَنُوا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ
‘‘ যারা মু’মিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি..।’’(সূরা আন-নূর :১৯)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন