এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৭

এইবার তাইলে দ্বীনদার পাত্রীই দেখুম!!!

পাত্র পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর একটা হাদীসকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়।

হাদীসটি হলোঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, চারটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রেখে শাদী করা হয়- তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার সৌন্দর্য ও তার দ্বীনদারী। সুতরাং তুমি দ্বীনদারীকেই প্রাধান্য দেবে। অন্যথায় তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (বুখারী)

আমি অনেককেই বলতে শুনেছি- তারা এই হাদীসের রেফারেন্স দিয়ে বলেন যে, বিয়ের জন্য অবশ্যই সম্পদ, সৌন্দর্য, বংশমর্যাদা দেখতেই হবে!! 

কিন্তু আসলে কি হাদীসের বক্তব্য তা? বরং এখানে তো সম্পদ, সৌন্দর্য, বংশমর্যাদা সবকিছুর ওপরে পাত্র/পাত্রীর দ্বীনদারীকে স্থান দিতে বলা হয়েছে। ধনী বেদ্বীনের চেয়ে দ্বীনদার গরীব ভালো, উচ্চবংশের অদ্বীনদারের চেয়ে সাধারণ বংশের দ্বীনদার ভালো, অতিসুন্দর অদ্বীনদার/কম দ্বীনদারের চেয়ে কমসুন্দর বেশি দ্বীনদার পাত্র/পাত্রী ভালো।
এইভাবে পাত্র/পাত্রীর দ্বীনদারিতাকে সবকিছুর ওপরে স্থান দিতে বলা হয়েছে।

আর অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে অন্য হাদীসে বলা হয়েছে- তোমাদের নিকট যখন এমন কেউ প্রস্তাব নিয়ে আসে যার দ্বীন (ধর্মপরায়ণতা) ও আখলাক (উত্তম স্বভাব চরিত্র) তোমাদের কাছে সন্তোষজনক হয়, তখন তোমরা বিয়ে দিয়ে দাও। অন্যথায় পৃথিবীতে ফিতনা ছড়িয়ে পড়বে। (তিরমিজী)

হ্যা, আপনি সুন্দর, সম্পদশালী, উচ্চ বংশের পাত্র/পাত্রী বিয়ে করতে পারবেন না তা নয়, কিন্তু হাদিসে এসব ক্রাইটেরিয়াকে আবশ্যক করা হয়নি। হাদীসকে নিজের খায়েশের পক্ষে ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই।
***
***
ডিয়ার ব্যাচেলরস, যারা মনে মনে ভাবা শুরু করছেন- এইবার তাইলে দ্বীনদার পাত্রীই দেখুম!!! বেরাদর, আপনার নিজের দ্বীন আখলাক ঠিক আছে তো?? নিজে ভংচং জীবন যাপন করবেন, ধর্মের আশেপাশে হাঁটবেন না, নামাজ কালামের ধার ধারবেন না, আবার নামাজী, পর্দাশীল ভদ্র পাত্রী খুঁজবেন, তা অয় না মিয়া।

দ্বীনদার পাত্রী খোঁজার আগে নিজে দ্বীনদার হন। নিজের চরিত্র ঠিক করেন। নাইলে দ্বীনদার পাত্রীরা ঠিকই আপনাকে ঠেঙ্গানি দিয়া বিদায় করবে :P :P
কোরআন হাদীসের ওপর আমল করার ক্ষেত্রে তারা কিন্তু আপনার চেয়েও অনেক অনেক বেশি সিরিয়াস :)  

(বিবাহ কথন-৬) 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন