বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে সবাই একবার 'বৌ' দেখার চেষ্টা করে। খাওয়া দাওয়ার পর অনেকেরই মনে হয় 'বউডা দেইখ্যা যাই'!
আমার এ বদভ্যাস নেই, সচেতনভাবেই আমি এরকম কিছু থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। পর্দার ব্যাপারে ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা আছে। তাছাড়া, একজন মানুষ সেজেগুজে বসে আছে, আর চেনা অচেনা সবাই তাকে দেখতে আসছে, নিচুস্বরে কমেন্ট করছে, বিষয়টা আমার কাছে রুচিকর মনে হয় না। যে 'বৌ' দেখার জন্য লোকজন ভীড় করে, তার মানসিক অবস্থাটাই বা কেমন থাকে? কে চায় প্রদর্শনীর বস্তু হতে? একের পর এক চেনা অচেনা লোকেরা আমার 'চেহারা' দেখতে আসছে, ভাবলেই তো শরীর গুলিয়ে আসে।
আমার এ বদভ্যাস নেই, সচেতনভাবেই আমি এরকম কিছু থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। পর্দার ব্যাপারে ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা আছে। তাছাড়া, একজন মানুষ সেজেগুজে বসে আছে, আর চেনা অচেনা সবাই তাকে দেখতে আসছে, নিচুস্বরে কমেন্ট করছে, বিষয়টা আমার কাছে রুচিকর মনে হয় না। যে 'বৌ' দেখার জন্য লোকজন ভীড় করে, তার মানসিক অবস্থাটাই বা কেমন থাকে? কে চায় প্রদর্শনীর বস্তু হতে? একের পর এক চেনা অচেনা লোকেরা আমার 'চেহারা' দেখতে আসছে, ভাবলেই তো শরীর গুলিয়ে আসে।
যাহোক, বিষয় সেটা না। বিষয় হলো, সেদিন এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে কণের সামনে পরে গেলাম। বর-কণে দুজনেই সেজেগুজে বসে আছে, খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও সেখানেই। তাছাড়া বর যথেষ্ট নিকটজন, তার সাথে কুশল বিনিময় করতেই হলো। পাশেই যেহেতু 'বৌ' বসা, সুতরাং এইবার চোখ রক্ষা করা গেলো না। তবে, খুশির(!) খবর হলো, মুখোমুখি হলেও এবারও কণের মুখ দেখতে হলো না। কারণ, মুখে এত পরিমাণ ময়দা মেখেছে যে স্কিনের ওপর একটা আলাদা স্তর হয়ে আছে। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিলো। এ যেন মুখ নয়, ময়দার মুখোশ।
এইভাবে মেকাপ দিলে কারোই আসল চেহারা বোঝা সম্ভব না। আমি নিশ্চিত, এই মেয়েকে পরে কখনো দেখলেও চিনতে পারবো না।
এইভাবে মেকাপ দিলে কারোই আসল চেহারা বোঝা সম্ভব না। আমি নিশ্চিত, এই মেয়েকে পরে কখনো দেখলেও চিনতে পারবো না।
আশ্চর্য হলাম এই ভেবেঃ মেয়ে তো যথেষ্টই উচ্চশিক্ষিত; কিন্তু তার মানসিক উন্নতি এখনো ময়দার লেভেল অতিক্রম করে নাই।
(বৌ-দর্শকদের আমি খুব একটা দোষ দিচ্ছি না। কারণ, আপনি যদি সঙ সেজে বসে থাকেন, তাহলে কৌতূহলী দর্শক ও সমালোচকের অভাব কখনোই হবে না। ইহা বাঙালির মজ্জাগত অভ্যাস। সামান্য বানরের নাচও বাঙালি উপেক্ষা করতে পারে না।)
২.
বিয়ের মেকাপের নামে সঙ সাজাটা কীভাবে কীভাবে যে বিয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, কে জানে!!! পুরুষের কথাই ধরি। তারা সাধারণ পোষাক বাদ দিয়ে এক ধরণের মোটা কাপড় পরে, যার নাম দেয়া হয়েছে 'শেরওয়ানি'। যতদূর জানি, শের মানে বাঘ। তার মানে কি শেরওয়ানি পরে বিয়ের দিনে বাঘ হবার চেষ্টা? শোনেন পুরুষ ভাই, মনে বিড়াল হলে বাঘের চামড়ায়ও কিছু আসে যায় না। শেরওয়ানি কোনছাড়!!!
বিয়ের মেকাপের নামে সঙ সাজাটা কীভাবে কীভাবে যে বিয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, কে জানে!!! পুরুষের কথাই ধরি। তারা সাধারণ পোষাক বাদ দিয়ে এক ধরণের মোটা কাপড় পরে, যার নাম দেয়া হয়েছে 'শেরওয়ানি'। যতদূর জানি, শের মানে বাঘ। তার মানে কি শেরওয়ানি পরে বিয়ের দিনে বাঘ হবার চেষ্টা? শোনেন পুরুষ ভাই, মনে বিড়াল হলে বাঘের চামড়ায়ও কিছু আসে যায় না। শেরওয়ানি কোনছাড়!!!
শেরওয়ানির দামও কম না। দশ হাজার থেকে শুরু করে চল্লিশ পঞ্চাশ হাজার টাকাও আছে। আরো বেশিও থাকতে পারে। (আমি গরীব মানুষ, এতকিছুর খবর জানি না।)
তো, আমার কাছে এগুলো স্রেফ ভড়ং মনে হয়। পুরোটাই অপচয়। এই শেরওয়ানি আর কোনদিন গায়ে দিয়ে কোথাও যেতে পারবেন? শেরওয়ানি পরে বাসায় ঘুমাতে পারবেন? অফিস করতে পারবেন?
নো ইউজ। আসলে তো আপনি বিড়াল, তাহলে কেন এই শের হবার ভড়ং? মনে বাঘ হলে ছুড়ে ফেলে দিন অহেতুক অপচয়ের এই সংস্কৃতি। মেয়ে যেমন ময়দা মেখে সঙ সেজেছে, আপনিও শেরওয়ানি গায়ে একধরণের সঙ সেজেছেন।
নো ইউজ। আসলে তো আপনি বিড়াল, তাহলে কেন এই শের হবার ভড়ং? মনে বাঘ হলে ছুড়ে ফেলে দিন অহেতুক অপচয়ের এই সংস্কৃতি। মেয়ে যেমন ময়দা মেখে সঙ সেজেছে, আপনিও শেরওয়ানি গায়ে একধরণের সঙ সেজেছেন।
বিয়ের অনুষ্ঠানের দিন এইভাবে ময়দার প্রলেপ মেখে আর শেরওয়ানি গায়ে দিয়ে সঙ না সাজলে কি চলে না? কেন, সাধারণ শার্ট প্যান্ট বা পাজামা পাঞ্জাবিতে সমস্যা কী?
বিয়ে তো হয়েই গেল, মেকাপের মেকি রুপ দিয়ে আপনি আর কাকে ভোলাতে চান?
বিয়ে তো হয়েই গেল, মেকাপের মেকি রুপ দিয়ে আপনি আর কাকে ভোলাতে চান?
(বিবাহ কথন-২৮) চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন