বাসের ভাড়া দেয়ার জন্য মানিব্যাগের ভাজ খুলতেই মুখের ছবিটা
চোখে পড়লো । সবসময় তাই হয় । হবেই না কেন ? ছবিটা তো সেখানে রাখা হয়েছে
সেজন্যেই ।
চোখ দুটি অসাধারণ । অসাধারণ না হলে কি ডাঃ আব্দুর রহমানকে টানতে পারতো ?
ভাড়া মিটিয়ে দেয়ার পরও কিছুক্ষণ ছবির দিকে তাকিয়ে থাকলেন ।
- ভাই কোথায় যাবেন ? জিজ্ঞেস করলেন পাশে বসা যাত্রী ।
- উম্ম... যাবো হালিশহর । আপনি ?
- আমি যাবো সামনে । ভাইসাহেব কী করেন ?
- আমি একজন ডাক্তার ।
- ও তাই নাকি ? কিসের ডাক্তার ?
- কিসের ডাক্তার মানে ! ও হ্যা, চোখের ডাক্তার ।
- ও । তাহলে তো ভালোই হলো । জানেন আমার এক কলিগের চোখে সমস্যা ছিল । সে অবশ্য চোখে চশমা পরে । ওদের ফ্যামিলির প্রায় সবাই চশমা পরে । আমাদের অফিসের সবার মধ্যে ঐ কলিগ সবচেয়ে ভালো । অবশ্য সবসময় চুপচাপ থাকে । ভাইবোনদের মধ্যে সেই বড় । তার ছোট ভাই চিটাগাং ভার্সিটিতে পড়ে । আজকে এসেছিল অফিসে, অনেকক্ষণ কথা হলো .....
মনে মনে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলেন ডাঃ আব্দুর রহমান । এই লোক দেখি মহা ঝামেলার । চেনা নেই শোনা নেই অনর্গল কথা বলা শুরু করেছে । নিজের কথা বললে তাও ঠিক ছিল, তার কোন এক কলিগের গল্প শুরু করেছে । ঐ কলিগ কে না কে , তার সম্পর্কে এত কথা আরেকজনকে বলার মানে কী ? কমনসেন্স থাকা দরকার ।
তবুও বিরক্তি প্রকাশ করলেন না । শ্রোতা হিসেবে তিনি ভালো । মানুষের কথা মন দিয়ে শোনেন । কথা বললে মন হালকা হয় । বেশি কথা বলা খারাপ । কিন্তু যদি কেউ কথা বলে আরাম পায়, তাকে সে সুযোগ দিতে চান আব্দুর রহমান । এতে অবশ্য বিপত্তিও কম হয় না । চেম্বারে মাঝে মাঝে কিছু রোগী তার আসল সমস্যা না বলে এমনভাবে কাহিনী বলা শুরু করে, ধৈর্যহারা হতে হয় । ধৈর্য রাখার উপায়ও নেই, অন্য রোগীদের কথাও তো শুনতে হবে ।
বেশি বিরক্ত হতে হলো না । পরের স্টপেজেই নেমে গেল লোকটা ।
ডাক্তার পরিচয় দেয়াটা একটা বিপত্তিকর ব্যাপার । লোকজন ডাক্তার পরিচয় পেলেই নিজের , আত্মীয়-স্বজনের যার যত রোগ আছে সব রোগের চিকিৎসা জানতে চায় । রাস্তাঘাটেই চিকিৎসা নিয়ে নিবে এমন ভাব । বেশিরভাগ কথাবার্তাই ঘুরেফিরে আসে- আমার এই সমস্যা, কী করি বলেন । আমার বউয়ের এই সমস্যা , কী করি বলেন ।
আজ থেকে নতুন একটা চেম্বারে বসা শুরু করবেন ডাঃ আব্দুর রহমান । একটা ছোট ক্লিনিক ও কনসাল্টেশন সেন্টার । ওখানে মোটামুটি সেটআপ আছে চোখের সমস্যা ডায়াগনোসিস করার । চিকিৎসা করার । সার্জারিতে পড়াশোনা করার এই একটা অসুবিধা , শুধু জ্ঞান আর দক্ষতা থাকলেই হবেনা । চিকিৎসার জন্য বিশেষ সেটআপ লাগবে । ওটি লাগবে । মেডিসিন বিভাগের ডাক্তারদের মত একটা স্টেথো, কলম, প্যাড দিয়েই ডাক্তারি করা যায় না । মেডিসিন ডাক্তারের একটা কলম হলেই চলে – কাটাকুটির ঝামেলা নাই । রোগ নির্ণয় করো, কাগজে চিকিৎসা লিখে দাও । ব্যস । বাকিটা রোগীর দায়িত্ব ।
প্রথম প্রথম সবার মত আব্দুর রহমানেরও ইচ্ছা ছিল মেডিসিনে পড়ার । এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার পর পর হঠাৎ করেই ইউটার্ণ করে সিদ্ধান্ত নিলেন সার্জারিতে পোস্টগ্রাজুয়েশন করে বিশেষজ্ঞ হবার । আর সেটা চোখের সার্জারি ।
এখনো মাঝে মাঝে মনে পড়ে সেই সময়টার কথা । চোখ নিয়ে পড়ার – বিশেষজ্ঞ হবার ইচ্ছের পেছনে ছিল এক জোড়া অসাধারণ চোখের আকর্ষণ । সে আকর্ষণ এখনো তাঁকে মুগ্ধ করে রেখেছে । মানুষের একজোড়া চোখে কী করে এত আকর্ষণী শক্তি থাকে ?
আগে থেকেই তাঁর সিদ্ধান্ত ছিল- এমবিবিএস পাস করা মাত্রই বিয়ে করবেন । এ ব্যাপারে তাঁর স্পষ্ট ধারণা ছিল । এস্টাবলিশ হবার পর বিয়ে করার ধারণা- আসলে একটা মরিচীকা । এস্টাবলিশ হওয়া বলতে কী বোঝায় ? একটা সাধারণ বিষয়ে পড়াশোনা করা ছেলের জন্য একটা ভালো চাকুরিতে জয়েন করা মানে এস্টাবলিশ হওয়া । কিন্তু একজন ডাক্তারের জন্য তা নয় । একজন ডাক্তারের এস্টাবলিশ হওয়ার অর্থ এফসিপিএস, এমডি পাস করে বিশেষজ্ঞ হওয়া । আর সেটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার । সব শেষ করতে বয়স কমপক্ষে ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশে চলে যায় । ত্রিশ বছর বয়স মানে অর্ধেক জীবন শেষ হয়ে গেছে যদি গড় আয়ু ষাট বছরও ধরা হয় । নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে ... কিন্তু ততদিনে ...
এই কিছুদিন আগেও সদ্য পাস করা এক জুনিয়র এসেছিল দেখা করতে । কথা বলতে বলতে বিয়ের প্রসঙ্গ এসেছিল । তিনি একটা মোক্ষম যুক্তি তুলে ধরলেন । হয় তুমি ত্রিশের আগেই বিয়ে করো , নাহলে আর বিয়ে করোনা । তুমি ৩৫-৪০ বছর বয়সে বিয়ে করে ছোট বাচ্চা রেখে একদিন টুপ করে মরে যাবে । তোমার কোন অধিকার নেই ইচ্ছাকৃতভাবে কোন শিশুর জীবনটা কষ্টে ফেলে দেবার ।
ফাইনাল পরীক্ষার পরেই খোঁজ শুরু করলেন পাত্রীর । পাত্রী দেখতে গিয়ে তিনি আর কিছু নয় - চোখের প্রেমে পড়ে গেলেন । একজোড়া চোখ যেন তাঁকে চুম্বকের মত টেনে নিতে চাইছিল । নামটাও ‘আঁখি’ ।
অসাধারণ চোখের জন্যেই কি নাম ‘আঁখি’ ! সেই চোখের আকর্ষণ এড়ানো সম্ভব ছিল না তাঁর পক্ষে । চোখে চোখে কথা হয়ে গেল । বিয়েটা করে ফেললেন একদিন । সিদ্ধান্তটাও চুড়ান্ত করলেন, চোখ নিয়েই পড়াশোনা করবেন আরো । হবেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ । আজ তাঁর স্বপ্ন পুরণের পথে । এই কষ্টকর অধ্যাবসায়, পরিশ্রমের পথে তাঁকে সবসময় সাহস যুগিয়েছে আঁখি । আঁখির একজোড়া চোখ ।
সেই থেকে চোখে চোখে কথা চলছে । মানিব্যাগের ভেতর সুন্দর একচিলতে হাসিসহ সেই চোখ দুটোর ছবি সেই যে ঢুকিয়েছেন, আজো আছে । সংসারে এসেছে আরো একজোড়া চোখ । ঠিক যেন মায়ের মতই চোখ পেয়েছে মেয়েটাও ।
ভাবতে ভাবতে বাস থেকে নেমে তাঁর নতুন চেম্বারের সামনে চলে এসেছেন ডাঃ আব্দুর রহমান । উপরে একটা চকচকে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে । নামের একপাশে বড় করে একজোড়া সুন্দর চোখের ছবি আঁকা । সাইনবোর্ডের চকচকে চোখের ভেতর থেকেই যেন সেই একজোড়া চোখ উঁকি দিয়ে বলছে- দাঁড়িয়ে দেখছ কি ? ভেতরে যাও ।
চোখ দুটি অসাধারণ । অসাধারণ না হলে কি ডাঃ আব্দুর রহমানকে টানতে পারতো ?
ভাড়া মিটিয়ে দেয়ার পরও কিছুক্ষণ ছবির দিকে তাকিয়ে থাকলেন ।
- ভাই কোথায় যাবেন ? জিজ্ঞেস করলেন পাশে বসা যাত্রী ।
- উম্ম... যাবো হালিশহর । আপনি ?
- আমি যাবো সামনে । ভাইসাহেব কী করেন ?
- আমি একজন ডাক্তার ।
- ও তাই নাকি ? কিসের ডাক্তার ?
- কিসের ডাক্তার মানে ! ও হ্যা, চোখের ডাক্তার ।
- ও । তাহলে তো ভালোই হলো । জানেন আমার এক কলিগের চোখে সমস্যা ছিল । সে অবশ্য চোখে চশমা পরে । ওদের ফ্যামিলির প্রায় সবাই চশমা পরে । আমাদের অফিসের সবার মধ্যে ঐ কলিগ সবচেয়ে ভালো । অবশ্য সবসময় চুপচাপ থাকে । ভাইবোনদের মধ্যে সেই বড় । তার ছোট ভাই চিটাগাং ভার্সিটিতে পড়ে । আজকে এসেছিল অফিসে, অনেকক্ষণ কথা হলো .....
মনে মনে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলেন ডাঃ আব্দুর রহমান । এই লোক দেখি মহা ঝামেলার । চেনা নেই শোনা নেই অনর্গল কথা বলা শুরু করেছে । নিজের কথা বললে তাও ঠিক ছিল, তার কোন এক কলিগের গল্প শুরু করেছে । ঐ কলিগ কে না কে , তার সম্পর্কে এত কথা আরেকজনকে বলার মানে কী ? কমনসেন্স থাকা দরকার ।
তবুও বিরক্তি প্রকাশ করলেন না । শ্রোতা হিসেবে তিনি ভালো । মানুষের কথা মন দিয়ে শোনেন । কথা বললে মন হালকা হয় । বেশি কথা বলা খারাপ । কিন্তু যদি কেউ কথা বলে আরাম পায়, তাকে সে সুযোগ দিতে চান আব্দুর রহমান । এতে অবশ্য বিপত্তিও কম হয় না । চেম্বারে মাঝে মাঝে কিছু রোগী তার আসল সমস্যা না বলে এমনভাবে কাহিনী বলা শুরু করে, ধৈর্যহারা হতে হয় । ধৈর্য রাখার উপায়ও নেই, অন্য রোগীদের কথাও তো শুনতে হবে ।
বেশি বিরক্ত হতে হলো না । পরের স্টপেজেই নেমে গেল লোকটা ।
ডাক্তার পরিচয় দেয়াটা একটা বিপত্তিকর ব্যাপার । লোকজন ডাক্তার পরিচয় পেলেই নিজের , আত্মীয়-স্বজনের যার যত রোগ আছে সব রোগের চিকিৎসা জানতে চায় । রাস্তাঘাটেই চিকিৎসা নিয়ে নিবে এমন ভাব । বেশিরভাগ কথাবার্তাই ঘুরেফিরে আসে- আমার এই সমস্যা, কী করি বলেন । আমার বউয়ের এই সমস্যা , কী করি বলেন ।
আজ থেকে নতুন একটা চেম্বারে বসা শুরু করবেন ডাঃ আব্দুর রহমান । একটা ছোট ক্লিনিক ও কনসাল্টেশন সেন্টার । ওখানে মোটামুটি সেটআপ আছে চোখের সমস্যা ডায়াগনোসিস করার । চিকিৎসা করার । সার্জারিতে পড়াশোনা করার এই একটা অসুবিধা , শুধু জ্ঞান আর দক্ষতা থাকলেই হবেনা । চিকিৎসার জন্য বিশেষ সেটআপ লাগবে । ওটি লাগবে । মেডিসিন বিভাগের ডাক্তারদের মত একটা স্টেথো, কলম, প্যাড দিয়েই ডাক্তারি করা যায় না । মেডিসিন ডাক্তারের একটা কলম হলেই চলে – কাটাকুটির ঝামেলা নাই । রোগ নির্ণয় করো, কাগজে চিকিৎসা লিখে দাও । ব্যস । বাকিটা রোগীর দায়িত্ব ।
প্রথম প্রথম সবার মত আব্দুর রহমানেরও ইচ্ছা ছিল মেডিসিনে পড়ার । এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার পর পর হঠাৎ করেই ইউটার্ণ করে সিদ্ধান্ত নিলেন সার্জারিতে পোস্টগ্রাজুয়েশন করে বিশেষজ্ঞ হবার । আর সেটা চোখের সার্জারি ।
এখনো মাঝে মাঝে মনে পড়ে সেই সময়টার কথা । চোখ নিয়ে পড়ার – বিশেষজ্ঞ হবার ইচ্ছের পেছনে ছিল এক জোড়া অসাধারণ চোখের আকর্ষণ । সে আকর্ষণ এখনো তাঁকে মুগ্ধ করে রেখেছে । মানুষের একজোড়া চোখে কী করে এত আকর্ষণী শক্তি থাকে ?
আগে থেকেই তাঁর সিদ্ধান্ত ছিল- এমবিবিএস পাস করা মাত্রই বিয়ে করবেন । এ ব্যাপারে তাঁর স্পষ্ট ধারণা ছিল । এস্টাবলিশ হবার পর বিয়ে করার ধারণা- আসলে একটা মরিচীকা । এস্টাবলিশ হওয়া বলতে কী বোঝায় ? একটা সাধারণ বিষয়ে পড়াশোনা করা ছেলের জন্য একটা ভালো চাকুরিতে জয়েন করা মানে এস্টাবলিশ হওয়া । কিন্তু একজন ডাক্তারের জন্য তা নয় । একজন ডাক্তারের এস্টাবলিশ হওয়ার অর্থ এফসিপিএস, এমডি পাস করে বিশেষজ্ঞ হওয়া । আর সেটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার । সব শেষ করতে বয়স কমপক্ষে ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশে চলে যায় । ত্রিশ বছর বয়স মানে অর্ধেক জীবন শেষ হয়ে গেছে যদি গড় আয়ু ষাট বছরও ধরা হয় । নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে ... কিন্তু ততদিনে ...
এই কিছুদিন আগেও সদ্য পাস করা এক জুনিয়র এসেছিল দেখা করতে । কথা বলতে বলতে বিয়ের প্রসঙ্গ এসেছিল । তিনি একটা মোক্ষম যুক্তি তুলে ধরলেন । হয় তুমি ত্রিশের আগেই বিয়ে করো , নাহলে আর বিয়ে করোনা । তুমি ৩৫-৪০ বছর বয়সে বিয়ে করে ছোট বাচ্চা রেখে একদিন টুপ করে মরে যাবে । তোমার কোন অধিকার নেই ইচ্ছাকৃতভাবে কোন শিশুর জীবনটা কষ্টে ফেলে দেবার ।
ফাইনাল পরীক্ষার পরেই খোঁজ শুরু করলেন পাত্রীর । পাত্রী দেখতে গিয়ে তিনি আর কিছু নয় - চোখের প্রেমে পড়ে গেলেন । একজোড়া চোখ যেন তাঁকে চুম্বকের মত টেনে নিতে চাইছিল । নামটাও ‘আঁখি’ ।
অসাধারণ চোখের জন্যেই কি নাম ‘আঁখি’ ! সেই চোখের আকর্ষণ এড়ানো সম্ভব ছিল না তাঁর পক্ষে । চোখে চোখে কথা হয়ে গেল । বিয়েটা করে ফেললেন একদিন । সিদ্ধান্তটাও চুড়ান্ত করলেন, চোখ নিয়েই পড়াশোনা করবেন আরো । হবেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ । আজ তাঁর স্বপ্ন পুরণের পথে । এই কষ্টকর অধ্যাবসায়, পরিশ্রমের পথে তাঁকে সবসময় সাহস যুগিয়েছে আঁখি । আঁখির একজোড়া চোখ ।
সেই থেকে চোখে চোখে কথা চলছে । মানিব্যাগের ভেতর সুন্দর একচিলতে হাসিসহ সেই চোখ দুটোর ছবি সেই যে ঢুকিয়েছেন, আজো আছে । সংসারে এসেছে আরো একজোড়া চোখ । ঠিক যেন মায়ের মতই চোখ পেয়েছে মেয়েটাও ।
ভাবতে ভাবতে বাস থেকে নেমে তাঁর নতুন চেম্বারের সামনে চলে এসেছেন ডাঃ আব্দুর রহমান । উপরে একটা চকচকে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে । নামের একপাশে বড় করে একজোড়া সুন্দর চোখের ছবি আঁকা । সাইনবোর্ডের চকচকে চোখের ভেতর থেকেই যেন সেই একজোড়া চোখ উঁকি দিয়ে বলছে- দাঁড়িয়ে দেখছ কি ? ভেতরে যাও ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন