বলা হয়- গার্জিয়ানরা সবসময় সন্তানের মঙ্গল চান। কখনো যুক্তিতে টিকতে না
পারলে এই বাক্যটা হয়ে ওঠে তাঁদের মোক্ষম যুক্তি, শেষ অস্ত্র!!
কিন্তু কথাটা অন্যক্ষেত্রে ঠিক হলেও বিয়ের ক্ষেত্রে বোধহয় পুরোপুরি ঠিক না। এই জায়গায় এসে গার্জিয়ানরা সন্তানের চেয়ে নিজের স্বার্থটাকেই অনেক বেশি বড় করে দেখেন।
ছেলের বা মেয়ের বিয়ের জন্য কীভাবে চিন্তা করেন বাবা মায়েরা? তারা প্রথমেই চিন্তা করেন- নিজের ভাই বোন বা বন্ধু বান্ধবীর ছেলে/মেয়ের সাথে নিজের ছেলে/মেয়ের বিয়ে দেবেন। প্রথম 'খোঁজ দা সার্চ'টা চলে এদের মধ্যেই। অনেক সময় দেখা যায়- বাচ্চার জন্মের আগেই তার বিয়ের কথাবার্তা পাকা হয়ে আছে!!
:D আমার মেয়ের সাথে তোর ছেলের বিয়ে দেবো, পাকা কথা দিলাম কিন্তু!!!
:P
যদি এটা সম্ভব না হয়- তাহলে কী ঘটে? যখনই কোন প্রস্তাব আসে, অভিভাবকের প্রথম প্রশ্নটা থাকে- ছেলের/মেয়ের বাবা কী করে? অর্থাৎ তারা চিন্তা করেন তাঁদের বেয়াইটা কে হচ্ছে! ছেলেটা বা মেয়েটা কে, কী, তার চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায় ছেলের/মেয়ের বাপ কে এবং কী!! পাত্র-পাত্রীর নিজের যোগ্যতার চেয়ে কার ছেলে বা কার মেয়ে অভিভাবকদের কাছে সেটাই হয়ে ওঠে 'বড় যোগ্যতা'।
সন্তান দেখে তার নিজের স্বার্থ, তার থাকে নিজস্ব চিন্তাভাবনা, নিজস্ব পছন্দের মাপকাঠি। আর অভিভাবক দেখেন তাঁর নিজের স্বার্থ, তাঁদের থাকে আলাদা মাপকাঠি। দুয়ের মাঝে প্রায়শই দেখা যায় বিস্তর ফারাক।
এই নিয়ে অভিভাবকদের সাথে সন্তানের টানাপোড়েন হয় নাই, এমন পরিবার বোধহয় বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। যে পরিবারে কখনোই কোন মতবিরোধ হয় নাই, বিয়ের প্রসঙ্গে সেখানেও 'ঝামেলা' লেগেই যায়। কখনো বাবা মন খারাপ করেন, কখনো মা, কখনো ভাই বোন কিংবা খালা মামা চাচা।
সবার মন রক্ষা করতে গেলে বেশিরভাগ সময় সন্তানদেরকে নিজের মনটাকেই বিসর্জন দিতে হয়। আর এই মন বিসর্জনের 'বধ' পর্বে অভিভাবকরা সবচেয়ে মোক্ষম যে যুক্তি সামনে নিয়ে আসেন তা হলো- "গার্জিয়ানরা কি কখনো ছেলেমেয়ের অমঙ্গল চাইতে পারেন!!" যদিও বাস্তবে তা সবসময় সত্য না।
অনেক সময়ই সিদ্ধান্তের ব্যাকগ্রাউন্ডে সন্তানের মঙ্গল অমঙ্গলের চেয়ে অভিভাবকদের নিজেদের স্বার্থচিন্তাই প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।
(বিবাহ কথন-১৩)
কিন্তু কথাটা অন্যক্ষেত্রে ঠিক হলেও বিয়ের ক্ষেত্রে বোধহয় পুরোপুরি ঠিক না। এই জায়গায় এসে গার্জিয়ানরা সন্তানের চেয়ে নিজের স্বার্থটাকেই অনেক বেশি বড় করে দেখেন।
ছেলের বা মেয়ের বিয়ের জন্য কীভাবে চিন্তা করেন বাবা মায়েরা? তারা প্রথমেই চিন্তা করেন- নিজের ভাই বোন বা বন্ধু বান্ধবীর ছেলে/মেয়ের সাথে নিজের ছেলে/মেয়ের বিয়ে দেবেন। প্রথম 'খোঁজ দা সার্চ'টা চলে এদের মধ্যেই। অনেক সময় দেখা যায়- বাচ্চার জন্মের আগেই তার বিয়ের কথাবার্তা পাকা হয়ে আছে!!


যদি এটা সম্ভব না হয়- তাহলে কী ঘটে? যখনই কোন প্রস্তাব আসে, অভিভাবকের প্রথম প্রশ্নটা থাকে- ছেলের/মেয়ের বাবা কী করে? অর্থাৎ তারা চিন্তা করেন তাঁদের বেয়াইটা কে হচ্ছে! ছেলেটা বা মেয়েটা কে, কী, তার চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায় ছেলের/মেয়ের বাপ কে এবং কী!! পাত্র-পাত্রীর নিজের যোগ্যতার চেয়ে কার ছেলে বা কার মেয়ে অভিভাবকদের কাছে সেটাই হয়ে ওঠে 'বড় যোগ্যতা'।
সন্তান দেখে তার নিজের স্বার্থ, তার থাকে নিজস্ব চিন্তাভাবনা, নিজস্ব পছন্দের মাপকাঠি। আর অভিভাবক দেখেন তাঁর নিজের স্বার্থ, তাঁদের থাকে আলাদা মাপকাঠি। দুয়ের মাঝে প্রায়শই দেখা যায় বিস্তর ফারাক।
এই নিয়ে অভিভাবকদের সাথে সন্তানের টানাপোড়েন হয় নাই, এমন পরিবার বোধহয় বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। যে পরিবারে কখনোই কোন মতবিরোধ হয় নাই, বিয়ের প্রসঙ্গে সেখানেও 'ঝামেলা' লেগেই যায়। কখনো বাবা মন খারাপ করেন, কখনো মা, কখনো ভাই বোন কিংবা খালা মামা চাচা।
সবার মন রক্ষা করতে গেলে বেশিরভাগ সময় সন্তানদেরকে নিজের মনটাকেই বিসর্জন দিতে হয়। আর এই মন বিসর্জনের 'বধ' পর্বে অভিভাবকরা সবচেয়ে মোক্ষম যে যুক্তি সামনে নিয়ে আসেন তা হলো- "গার্জিয়ানরা কি কখনো ছেলেমেয়ের অমঙ্গল চাইতে পারেন!!" যদিও বাস্তবে তা সবসময় সত্য না।
অনেক সময়ই সিদ্ধান্তের ব্যাকগ্রাউন্ডে সন্তানের মঙ্গল অমঙ্গলের চেয়ে অভিভাবকদের নিজেদের স্বার্থচিন্তাই প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।
(বিবাহ কথন-১৩)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন