হিন্দু সম্প্রদায়ের 'হোলি' উৎসবকে উপলক্ষ করে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার
বিপরীতে অনেককেই দেখা গেল উগ্র প্রতিক্রিয়া দেখাতে। 'মালাউনদের এত বড়
সাহস!! শালাদের ইন্ডিয়া পাঠায় দেয়া উচিত!!! এইরকম আরো অনেক কদর্য মন্তব্য।
কিন্তু ভিডিও ফুটেজ ঘেটে পাওয়া গেলো, এইসব নোংরামির ঘটনায় জড়িত সবগুলা মুসলমানের বাচ্চা!!
আর এর মাধ্যমে একেবারে হাতে নাতে প্রমাণ হলো- এইসব ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন দোষ নাই।
শত শত বছর ধরে এই ভূখন্ডে হিন্দু মুসলিম পাশাপাশি বাস করছে। সুখে দুঃখে একে অপরের সহযোগী হয়েছে। রমজান, পুজা একসাথে হয়েছে। কোন সমস্যা হয় নাই। হিন্দুরা তাদের উৎসবের সীমা বোঝে। একটা মুসলিমপ্রধান দেশে কীভাবে উৎসব পালন করতে হয় সেটা তারা জানে। তাদের উৎসব সবসময়ই ছিল ঘরোয়া প্রকৃতির। নিজেদের মধ্যে আনন্দ উদযাপন। তাদের উৎসবে মুসলমানদের মধ্যে থেকে শুধু বন্ধু বান্ধবরাই আমন্ত্রিত হত। অপরিচিত কেউ হুট করে যেতে পারতো না।
কিন্তু ভিডিও ফুটেজ ঘেটে পাওয়া গেলো, এইসব নোংরামির ঘটনায় জড়িত সবগুলা মুসলমানের বাচ্চা!!
আর এর মাধ্যমে একেবারে হাতে নাতে প্রমাণ হলো- এইসব ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন দোষ নাই।
শত শত বছর ধরে এই ভূখন্ডে হিন্দু মুসলিম পাশাপাশি বাস করছে। সুখে দুঃখে একে অপরের সহযোগী হয়েছে। রমজান, পুজা একসাথে হয়েছে। কোন সমস্যা হয় নাই। হিন্দুরা তাদের উৎসবের সীমা বোঝে। একটা মুসলিমপ্রধান দেশে কীভাবে উৎসব পালন করতে হয় সেটা তারা জানে। তাদের উৎসব সবসময়ই ছিল ঘরোয়া প্রকৃতির। নিজেদের মধ্যে আনন্দ উদযাপন। তাদের উৎসবে মুসলমানদের মধ্যে থেকে শুধু বন্ধু বান্ধবরাই আমন্ত্রিত হত। অপরিচিত কেউ হুট করে যেতে পারতো না।
সেভাবেই
তারা চলছিল। কিন্তু ইদানীং কিছু সুযোগসন্ধানী কুলাঙ্গার 'ধর্ম যার যার
উৎসব সবার' বলে হিন্দুদের উৎসবে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করছে। এদের প্রধান টার্গেটই
থাকে মেয়েরা। যেকোনভাবে তারা মেয়েদের গায়ে হাত দেবে। এবারের হোলিতে যেভাবে
রাস্তায় মেয়েদের গায়ে হাত দেয়া হয়েছে, কোন ধর্মপ্রাণ হিন্দু একাজ করতে
পারেনা। করেওনি।
হিন্দু বন্ধুদের বলবো, আপনাদের উৎসবে একান্ত কাছের বন্ধুবান্ধব ছাড়া অন্যদের অংশ নিতে দেবেন না। এদের হাতে আপনাদের সম্মান নিরাপদ নয়। কোন আশঙ্কা থাকলে স্থানীয় মুসলমান নেতাদের জানান। আমি সাহসের সাথে বলতে পারি, এদেশের মুসলমানরা সবসময়ের মত আগামীতেও হিন্দুদের ধর্মপালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে।
হিন্দু বন্ধুদের বলবো, আপনাদের উৎসবে একান্ত কাছের বন্ধুবান্ধব ছাড়া অন্যদের অংশ নিতে দেবেন না। এদের হাতে আপনাদের সম্মান নিরাপদ নয়। কোন আশঙ্কা থাকলে স্থানীয় মুসলমান নেতাদের জানান। আমি সাহসের সাথে বলতে পারি, এদেশের মুসলমানরা সবসময়ের মত আগামীতেও হিন্দুদের ধর্মপালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন