বিশেষায়িত ডিগ্রীধারীরা ঝুঁকছেন অন্য পেশায়। খবর বণিক বার্তার, (লিংক
কমেন্টে)। নিউজে কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার ও কৃষিবিদের কেস স্টাডি দেয়া
হয়েছে যারা সবাই নিজ পেশা ছেড়ে বিসিএস পুলিশে যোগ দিয়েছেন।
খুব স্বাভাবিক। বাংলাদেশের ক্যাডার সার্ভিসের ভেতরে সাধারণ এবং পেশাগত ক্যাডারের যে বৈষম্য তাতে করে পেশাগত ক্যাডারে থাকা মানে নিজেকে অপমান করা। সুযোগ সুবিধা সব কেন্দ্রীভুত করা হয়েছে দুয়েকটি ক্যাডারে। ইঞ্জিনিয়াররা বহু আগে থেকেই পেশা পরিবর্তন অথবা দেশত্যাগ এই দুটির একটি পথ বেছে নিচ্ছেন। ডাক্তাররাই শুধু মানবিকতা, দায়বদ্ধতা, দেশপ্রেম এইসব ফাঁকাবুলিতে আটকে ছিলেন। কিন্তু কিল ঘুষি খেয়ে এখন তাদেরও চোখ খুলছে। তারাও এখন পুলিশ এবং প্রশাসন ক্যাডারে ঢুকছেন। পুলিশ এবং প্রশাসন ক্যাডার আইন প্রয়োগ করে জনগনের ওপর, আর জনগন আইন (!) প্রয়োগ করে ডাক্তারদের ওপর। একই বিসিএস এ নিয়োগ পেয়ে কেউ পায় গাড়ি, বাড়ি, বডিগার্ড। আর কেউ পায় ইউনিয়ন সাবসেন্টারে ভাঙা চেয়ার। গাড়ি তো কল্পনার বাইরে, নৌকা, ঠেলা, ভ্যান, রিক্সায় করে যাওয়া আসার খরচটাও নিজের পকেট থেকে ব্যয় করতে হয়। পেশাগত ক্যাডার মানেই অবহেলিত ক্যাডার। নখদন্তবিহীন ক্যাডার। সবার প্রমোশন হয় বয়স ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, ডাক্তারের দরকার অতিরিক্ত ডিগ্রী। পুলিশের কনস্টেবল হয় 'স্যার', আর এমবিবিএস এফসিপিএস শেষ করে হতে হয় 'ডাক্তার সাব'।
খুব স্বাভাবিক। বাংলাদেশের ক্যাডার সার্ভিসের ভেতরে সাধারণ এবং পেশাগত ক্যাডারের যে বৈষম্য তাতে করে পেশাগত ক্যাডারে থাকা মানে নিজেকে অপমান করা। সুযোগ সুবিধা সব কেন্দ্রীভুত করা হয়েছে দুয়েকটি ক্যাডারে। ইঞ্জিনিয়াররা বহু আগে থেকেই পেশা পরিবর্তন অথবা দেশত্যাগ এই দুটির একটি পথ বেছে নিচ্ছেন। ডাক্তাররাই শুধু মানবিকতা, দায়বদ্ধতা, দেশপ্রেম এইসব ফাঁকাবুলিতে আটকে ছিলেন। কিন্তু কিল ঘুষি খেয়ে এখন তাদেরও চোখ খুলছে। তারাও এখন পুলিশ এবং প্রশাসন ক্যাডারে ঢুকছেন। পুলিশ এবং প্রশাসন ক্যাডার আইন প্রয়োগ করে জনগনের ওপর, আর জনগন আইন (!) প্রয়োগ করে ডাক্তারদের ওপর। একই বিসিএস এ নিয়োগ পেয়ে কেউ পায় গাড়ি, বাড়ি, বডিগার্ড। আর কেউ পায় ইউনিয়ন সাবসেন্টারে ভাঙা চেয়ার। গাড়ি তো কল্পনার বাইরে, নৌকা, ঠেলা, ভ্যান, রিক্সায় করে যাওয়া আসার খরচটাও নিজের পকেট থেকে ব্যয় করতে হয়। পেশাগত ক্যাডার মানেই অবহেলিত ক্যাডার। নখদন্তবিহীন ক্যাডার। সবার প্রমোশন হয় বয়স ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, ডাক্তারের দরকার অতিরিক্ত ডিগ্রী। পুলিশের কনস্টেবল হয় 'স্যার', আর এমবিবিএস এফসিপিএস শেষ করে হতে হয় 'ডাক্তার সাব'।
স্কুল কলেজ ভার্সিটি সব পরীক্ষায় যারা ছিল সামনের সারিতে, কর্মক্ষেত্রে
নেমে তারা এখন নিজেকে দেখছে সবার পেছনের সারিতে। কারও দয়ায় তো বিসিএস পার
হচ্ছে না, তাহলে কেন শুধু শুধু নিজেকে খাটো করা? প্রশাসন আর পুলিশ ক্যাডারই
যদি হয় রাষ্ট্রের কাছে একমাত্র আদরের 'অফিসার', তাহলে হোক। তাই হোক।
আমার একজন সিনিয়র, ডাঃ রিফায়েত, আসন্ন ৩৮ তম বিসিএস নিয়ে লিখেছেন, "স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জনের পদ ২২০টি, সহকারী ডেন্টাল সার্জনের পদ ৫ টি! প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার পদ ৩০০ আর পুলিশে ১০০। লড়াই যেহেতু হবে, শুধু হেলথ ক্যাডার কেন?? পাশাপাশি জেনারেল ক্যাডারেও হোক।"
ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার যারা আগামীতে বিসিএস দিবেন, তাদের সবার জন্য আমারও একই পরামর্শ। প্রশাসন আর পুলিশ ক্যাডারই যদি হয় দেশসেবার একমাত্র উপায়, তবে তাই হোক। রাষ্ট্র যদি তার ক্যাডারদের মধ্যে রাজা প্রজা বিভাজন করে, যোগ্য হয়েও কেন আপনি জেনেশুনে প্রজাই হবেন?
আমার একজন সিনিয়র, ডাঃ রিফায়েত, আসন্ন ৩৮ তম বিসিএস নিয়ে লিখেছেন, "স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জনের পদ ২২০টি, সহকারী ডেন্টাল সার্জনের পদ ৫ টি! প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার পদ ৩০০ আর পুলিশে ১০০। লড়াই যেহেতু হবে, শুধু হেলথ ক্যাডার কেন?? পাশাপাশি জেনারেল ক্যাডারেও হোক।"
ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার যারা আগামীতে বিসিএস দিবেন, তাদের সবার জন্য আমারও একই পরামর্শ। প্রশাসন আর পুলিশ ক্যাডারই যদি হয় দেশসেবার একমাত্র উপায়, তবে তাই হোক। রাষ্ট্র যদি তার ক্যাডারদের মধ্যে রাজা প্রজা বিভাজন করে, যোগ্য হয়েও কেন আপনি জেনেশুনে প্রজাই হবেন?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন