অনলাইন মাধ্যম গুলোর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, এখানে মানুষের বয়সের কোন
ফারাক থাকছে না। সবাই সমানভাবে সবখানে এক্সেস পাচ্ছে। যে বয়সে একজন ছেলের
যা জানার কথা নয়, সে তাই জেনে যাচ্ছে। বরং অনেক বেশি কিছু জেনে যাচ্ছে। ফলে
স্বাভাবিক মনোবৃত্তির বিকাশ না হয়ে একটা জগাখিচুড়ি ধরণের মনোবিকাশ হচ্ছে
এই প্রজন্মের। হাঁটতে শেখার আগে মোটরসাইকেল চালানো শিখে যাচ্ছে তারা।
আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে আড্ডায় যে ভাষায় কিংবা যেধরণের আলাপ করেন, মুরুব্বিদের সামনে বা বাচ্চাদের সামনে কি সেধরণের আলাপ করেন? নিশ্চয় না। কিন্তু ফেসবুকে হয়তো আপনি তা লিখছেন। ভাবছেন, এই লেখা আপনার বন্ধুরাই পড়বে। কিন্তু আসলে তা পরিচিত অপরিচিত ছেলে থেকে বুড়ো সবাই পড়তে পারছে।
আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে আড্ডায় যে ভাষায় কিংবা যেধরণের আলাপ করেন, মুরুব্বিদের সামনে বা বাচ্চাদের সামনে কি সেধরণের আলাপ করেন? নিশ্চয় না। কিন্তু ফেসবুকে হয়তো আপনি তা লিখছেন। ভাবছেন, এই লেখা আপনার বন্ধুরাই পড়বে। কিন্তু আসলে তা পরিচিত অপরিচিত ছেলে থেকে বুড়ো সবাই পড়তে পারছে।
একটা বাচ্চাছেলে এখানে সহজেই বড়দের আলোচনায় ঢুকে যাচ্ছে। এটা কিন্তু
তাদেরকে জ্ঞানী করছে না। বরং এটা তাদের জ্ঞানার্জনের স্বাভাবিক ধারাবাহিক
প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
ভয়ের কথা হলো, অনেক কুরুচিপূর্ণ লেখা, মন্তব্য, ছবি দেখতে দেখতে একসময় মনে হচ্ছে 'এটাই তো স্বাভাবিক'। যদিও আসলে তা মোটেই স্বাভাবিক নয়।
দ্বিতীয় যে বিষয়টা গুরুতর তা হলো- ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম হয়ে গেছে পুরোপুরি শো-অফের জায়গা। একটা বিরাট অংশের মানুষ ফেসবুককে ব্যবহার করছে শুধুমাত্র শো অফ করার জন্য। এইযে এত সেলফি তোলার হিড়িক, এত ভুংভাং ফুংফাং, হ্যাং আউট ঠ্যাং আউট, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসবের উদ্দেশ্যই থাকে ফেসবুক ইন্সটাগ্রামে শো-অফ করা।
এতে অসুবিধাটা হলো, মানুষের মধ্যে সবসময় একটা না পাওয়ার বেদনা আর জেলাসি ছড়াচ্ছে। যে ব্যাচেলর, সে অন্যদের বউয়ের ছবি দেখে হাপিত্যেশ করে, যে বিবাহিত সে আরেকজনের সুন্দরী বউ, কিউট বাচ্চার ছবি দেখে, যার চাকরি নাই সে আরেকজনের অফিসের ছবি দেখে, যে কাজের চাপে পিষ্ট সে অন্যদের ঘোরাঘুরির ছবি দেখে অসুখী হচ্ছে। 'কী আছে', তার চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে 'কী নেই' সেটাই। আপনি যখন 'ফিলিং হ্যাপি’ বা ‘ফিলিং এক্সাইটেড’, তখন আরেকজনের বুকে তা যেন শেলের মত বিঁধে যাচ্ছে। কারণ, তার সময়টা হয়তো ভালো যাচ্ছে না। সে ভাবছে, জগতের সবাই সুখী, একমাত্র আমি ছাড়া।
সবাই না পাওয়ার বেদনায় আক্রান্ত। কারণ, 'সবকিছু' তো কারোই থাকে না। একজনের 'এটা' আছে তো 'ওটা' নেই। আরেকজনের 'ওটা' আছে, কিন্তু 'এটা' নেই। দু'জনেই ভাবছে, "ইস! ওর তো সব আছে, আমার কিছু নেই!" দিনশেষে সবারই মনে হচ্ছে় যে, আমার চেয়ে আমার বন্ধুরা সবাই অনেক বেশি ভালো আছে!'
এইভাবে ক্রমাগত বাড়ছে হতাশা। বাড়ছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। বাড়ছে হিংসাপ্রবণতাও।
-------শো-অফ কৌতুকঃ --------
রোগীঃ স্যার পেটের ব্যথায় মরে যাচ্ছি... কিছু একটা করেন তাড়াতাড়ি প্লিজ...
ডাক্তারঃ রাতে কী দিয়ে ভাত খেয়েছেন?
রোগীঃ সাদা ভাত তো স্যার গত পাঁচ বছরে চোখে দেখি নাই। আমার নিজস্ব চাইনিজ রেস্টুরেন্ট আছে ১০ টা। বুফে ছাড়া আমার একদিনও চলে না। একেকদিন একেক রেস্টুরেন্টে বুফে লাঞ্চ, বুফে ডিনার করি স্যার। গতকাল...
ডাক্তারঃ (ধমক দিয়ে) থামেন মিয়া, ফাইজলামি করেন? এইডা কি ফেসবুক পাইছেন?
রোগীঃ না মানে...আসলে স্যার, বউ বাপের বাড়ি গেছে তো, ঘরে ভাত আছিলো না। বাসি ভাতে পানি দিয়া বাসি তরকারি দিয়া খাইয়া ফালাইছি.....আ ব্যথা!! আমাকে বাঁচানগো স্যার...আমাকে বাঁচান......
ভয়ের কথা হলো, অনেক কুরুচিপূর্ণ লেখা, মন্তব্য, ছবি দেখতে দেখতে একসময় মনে হচ্ছে 'এটাই তো স্বাভাবিক'। যদিও আসলে তা মোটেই স্বাভাবিক নয়।
দ্বিতীয় যে বিষয়টা গুরুতর তা হলো- ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম হয়ে গেছে পুরোপুরি শো-অফের জায়গা। একটা বিরাট অংশের মানুষ ফেসবুককে ব্যবহার করছে শুধুমাত্র শো অফ করার জন্য। এইযে এত সেলফি তোলার হিড়িক, এত ভুংভাং ফুংফাং, হ্যাং আউট ঠ্যাং আউট, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসবের উদ্দেশ্যই থাকে ফেসবুক ইন্সটাগ্রামে শো-অফ করা।
এতে অসুবিধাটা হলো, মানুষের মধ্যে সবসময় একটা না পাওয়ার বেদনা আর জেলাসি ছড়াচ্ছে। যে ব্যাচেলর, সে অন্যদের বউয়ের ছবি দেখে হাপিত্যেশ করে, যে বিবাহিত সে আরেকজনের সুন্দরী বউ, কিউট বাচ্চার ছবি দেখে, যার চাকরি নাই সে আরেকজনের অফিসের ছবি দেখে, যে কাজের চাপে পিষ্ট সে অন্যদের ঘোরাঘুরির ছবি দেখে অসুখী হচ্ছে। 'কী আছে', তার চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে 'কী নেই' সেটাই। আপনি যখন 'ফিলিং হ্যাপি’ বা ‘ফিলিং এক্সাইটেড’, তখন আরেকজনের বুকে তা যেন শেলের মত বিঁধে যাচ্ছে। কারণ, তার সময়টা হয়তো ভালো যাচ্ছে না। সে ভাবছে, জগতের সবাই সুখী, একমাত্র আমি ছাড়া।
সবাই না পাওয়ার বেদনায় আক্রান্ত। কারণ, 'সবকিছু' তো কারোই থাকে না। একজনের 'এটা' আছে তো 'ওটা' নেই। আরেকজনের 'ওটা' আছে, কিন্তু 'এটা' নেই। দু'জনেই ভাবছে, "ইস! ওর তো সব আছে, আমার কিছু নেই!" দিনশেষে সবারই মনে হচ্ছে় যে, আমার চেয়ে আমার বন্ধুরা সবাই অনেক বেশি ভালো আছে!'
এইভাবে ক্রমাগত বাড়ছে হতাশা। বাড়ছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। বাড়ছে হিংসাপ্রবণতাও।
-------শো-অফ কৌতুকঃ --------
রোগীঃ স্যার পেটের ব্যথায় মরে যাচ্ছি... কিছু একটা করেন তাড়াতাড়ি প্লিজ...
ডাক্তারঃ রাতে কী দিয়ে ভাত খেয়েছেন?
রোগীঃ সাদা ভাত তো স্যার গত পাঁচ বছরে চোখে দেখি নাই। আমার নিজস্ব চাইনিজ রেস্টুরেন্ট আছে ১০ টা। বুফে ছাড়া আমার একদিনও চলে না। একেকদিন একেক রেস্টুরেন্টে বুফে লাঞ্চ, বুফে ডিনার করি স্যার। গতকাল...
ডাক্তারঃ (ধমক দিয়ে) থামেন মিয়া, ফাইজলামি করেন? এইডা কি ফেসবুক পাইছেন?
রোগীঃ না মানে...আসলে স্যার, বউ বাপের বাড়ি গেছে তো, ঘরে ভাত আছিলো না। বাসি ভাতে পানি দিয়া বাসি তরকারি দিয়া খাইয়া ফালাইছি.....আ ব্যথা!! আমাকে বাঁচানগো স্যার...আমাকে বাঁচান......
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন