আল্লামা ইউসুফ আল কারযাভী তাঁর ‘ফতোয়া’ বইয়ে নারী নেতৃত্ব সংক্রান্ত এক
প্রশ্নের উত্তর দেন । সেখানে তিনি ‘নারী নেতৃত্ব’কে 'ডাইরেক্ট হারাম' বলে
ফতোয়া দেননি । আগেই বলেছি- শীর্ষ আলেমগন এই ব্যাপারে সতর্কতার সাথে কথা
বলছেন । তবে নারী নেতৃত্ব যে অপছন্দনীয় এবং একটি জাতির চূড়ান্ত কল্যানের
ক্ষেত্রে 'সহায়ক নয়' সেটি তো অনস্বীকার্য । আল্লামা কারযাভীও সে বিষয়ে
জোরালো ইঙ্গিত করেছেন ।
প্রশ্নঃ
সেই হাদীস কি সহীহ , যে হাদীসে রাসুল(সাঃ) বলেছেন – সেই জাতি কখনো কল্যান লাভ করতে পারেনা , যে জাতি একজন মহিলাকে নিজেদের নেতা নির্বাচন করে ।
যারা নারী নেতৃত্ব সমর্থন করেন তারা এই হাদীস মানেন না । তারা বলেন – এই হাদীস অন্য একটি হাদীসের সাথে সংগতিপূর্ণ নয় – যে হাদিসে রাসুল(সাঃ) বলেছেন- ‘হে লোকসকল, তোমরা দ্বীনের অর্ধেক বিষয় ‘হামিয়া’ অর্থাৎ আয়েশার কাছ থেকে গ্রহণ করো ।
উত্তরঃ
মূর্খতা এক বড় বিপদ । যদি এর সামনে প্রবৃত্তির সামান্য আকাঙ্ক্ষাও যুক্ত হয় তবে করলার সাথে নিমযুক্ত হওয়ার মত ক্ষতিকর অবস্থা দেখা দেয় । আল্লাহ্ তায়ালা বলেন- ‘তার চাইতে বেশি গোমরাহ ব্যক্তি আর কে আছে যে আল্লাহ্ তায়ালার পক্ষ থেকে কোন হেদায়াত (পাওয়া) ছাড়াই কেবল নিজের খেয়াল খুশির অনুসরন করে । (সুরা আল কাছাছ- আয়াত ৫০)
যাদের মধ্যে মূর্খতা এবং প্রবৃত্তির দাসত্ব দুটোই একত্রিত হয় তাঁদের জন্য এটা অসম্ভব নয় যে , তারা সহীহ হাদীসকে যঈফ আর জঈফ হাদীসকে সহীহ বলে অভিহিত করবে ।
১।
মহানবী (সাঃ) এ কথা কীভাবে বলতে পারেন যে , আমরা অর্ধেক দ্বীন একজন মহিলা সাহাবীর কাছ থেকে গ্রহন করবো । অবশিষ্ট অর্ধেক দ্বীন অন্য সকল সাহাবীর কাছ থেকে গ্রহণ করবো , সাহাবীদের সংখ্যা যেখানে হাজার হাজার ।
সেই সকল সাহাবীর অনেকে মর্যাদার ক্ষেত্রে হযরত আয়েশার চেয়ে শ্রেষ্ঠ । তাছাড়া এটা কেমন যুক্তিবিরুদ্ধ কথা যে আমরা অর্ধেক দ্বীন হযরত আয়েশা(রাঃ) থেকে গ্রহণ করবো , অবশিষ্ট অর্ধেক দ্বীন অন্য সাহাবাদের কাছ থেকে গ্রহণ করবো ?
২। হযরত আয়েশা (রাঃ) সংক্রান্ত হাদীসে ‘হামিয়া’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে । এ শব্দের অর্থ হচ্ছে ছোট লাল মেয়ে । এই শব্দ ব্যবহারে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা এবং আদর সোহাগ ফুটে উঠেছে । মহানবী সাঃ কি এমন প্রসঙ্গে এই শব্দ ব্যবহার করতে পারেন , যেখানে লোকদেরকে দ্বীন শিক্ষার জন্য গুরুত্বারোপ করেছেন । বিবেক তো এরকম কথায় সায় দেয় না । বাস্তবতা হচ্ছে যে , ইসলামে বিশেষজ্ঞ আলেমরা হযরত আয়েশার(রাঃ) কাছ থেকে দ্বীনের অর্ধেক তো দূরে থাক এক চতুর্থাংশও গ্রহণ করেননি । কারণ, ইসলামের ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে যে , ইসলামী শিক্ষার প্রচার প্রসারে হাজার হাজার সাহাবা অংশগ্রহণ করেছেন । হযরত আয়েশা(রাঃ) সেই হাজার সাহাবার মধ্যে মাত্র একজন ।
ইতিহাসের বাস্তবতা হতে দূরে সরে এসে যদি বিবেকের কষ্টিপাথরে উক্ত হাদীস যাচাই করা হয় , তবে বিবেকের বিরুদ্ধে রায় দেয় । যদি দ্বীনের অর্ধেক হযরত আয়েশা(রাঃ) এর ওপর নির্ভর করে , তাহলে হযরত আবু বকর(রাঃ), হযরত ওমর (রাঃ) , হযরত ওসমান (রাঃ) , হযরত আলী(রাঃ) , ইবনে মাসউদ (রাঃ) , হযরত মুআজ ইবনে জাবাল (রাঃ) এর মত বিশিষ্ট সাহাবীদের কাছ থেকে দ্বীন শিক্ষার কতটুকু অংশ অবশিষ্ট থাকে ? হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা তো হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসের সংখ্যার চেয়ে অনেক কম ।
ব্যক্তি স্বাতন্ত্রের এবং ব্যক্তি মর্যাদার যেসব হাদীস আমাদের কাছে এসেছে সেসব হাদীস গ্রহণে আমাদের যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার । কারণ, যারা জাল হাদীস তৈরি করেছে তারা ব্যক্তির মর্যাদার ক্ষেত্রেই সর্বাধিক হাদিস তৈরি করেছে । ব্যক্তি বিশেষের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা পোষণকারী ব্যক্তিরা ব্যক্তির মর্যাদা প্রমাণের জন্য বহু সংখ্যক জাল হাদীস তৈরি করেছে । হযরত আয়েশা(রা) এর মর্যাদা ও স্বাতন্ত্র প্রমাণের জন্য সেসব কথাই যথেষ্ঠ , যা সুরা নূর-এ এবং অন্যান্য সহীহ হাদীসে বিদ্যমান রয়েছে । তাঁর মর্যাদা প্রমাণের জন্য জাল হাদীস তৈরি করার কোন প্রয়োজন নেই ।
প্রশ্নঃ
সেই হাদীস কি সহীহ , যে হাদীসে রাসুল(সাঃ) বলেছেন – সেই জাতি কখনো কল্যান লাভ করতে পারেনা , যে জাতি একজন মহিলাকে নিজেদের নেতা নির্বাচন করে ।
যারা নারী নেতৃত্ব সমর্থন করেন তারা এই হাদীস মানেন না । তারা বলেন – এই হাদীস অন্য একটি হাদীসের সাথে সংগতিপূর্ণ নয় – যে হাদিসে রাসুল(সাঃ) বলেছেন- ‘হে লোকসকল, তোমরা দ্বীনের অর্ধেক বিষয় ‘হামিয়া’ অর্থাৎ আয়েশার কাছ থেকে গ্রহণ করো ।
উত্তরঃ
মূর্খতা এক বড় বিপদ । যদি এর সামনে প্রবৃত্তির সামান্য আকাঙ্ক্ষাও যুক্ত হয় তবে করলার সাথে নিমযুক্ত হওয়ার মত ক্ষতিকর অবস্থা দেখা দেয় । আল্লাহ্ তায়ালা বলেন- ‘তার চাইতে বেশি গোমরাহ ব্যক্তি আর কে আছে যে আল্লাহ্ তায়ালার পক্ষ থেকে কোন হেদায়াত (পাওয়া) ছাড়াই কেবল নিজের খেয়াল খুশির অনুসরন করে । (সুরা আল কাছাছ- আয়াত ৫০)
যাদের মধ্যে মূর্খতা এবং প্রবৃত্তির দাসত্ব দুটোই একত্রিত হয় তাঁদের জন্য এটা অসম্ভব নয় যে , তারা সহীহ হাদীসকে যঈফ আর জঈফ হাদীসকে সহীহ বলে অভিহিত করবে ।
১।
মহানবী (সাঃ) এ কথা কীভাবে বলতে পারেন যে , আমরা অর্ধেক দ্বীন একজন মহিলা সাহাবীর কাছ থেকে গ্রহন করবো । অবশিষ্ট অর্ধেক দ্বীন অন্য সকল সাহাবীর কাছ থেকে গ্রহণ করবো , সাহাবীদের সংখ্যা যেখানে হাজার হাজার ।
সেই সকল সাহাবীর অনেকে মর্যাদার ক্ষেত্রে হযরত আয়েশার চেয়ে শ্রেষ্ঠ । তাছাড়া এটা কেমন যুক্তিবিরুদ্ধ কথা যে আমরা অর্ধেক দ্বীন হযরত আয়েশা(রাঃ) থেকে গ্রহণ করবো , অবশিষ্ট অর্ধেক দ্বীন অন্য সাহাবাদের কাছ থেকে গ্রহণ করবো ?
২। হযরত আয়েশা (রাঃ) সংক্রান্ত হাদীসে ‘হামিয়া’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে । এ শব্দের অর্থ হচ্ছে ছোট লাল মেয়ে । এই শব্দ ব্যবহারে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা এবং আদর সোহাগ ফুটে উঠেছে । মহানবী সাঃ কি এমন প্রসঙ্গে এই শব্দ ব্যবহার করতে পারেন , যেখানে লোকদেরকে দ্বীন শিক্ষার জন্য গুরুত্বারোপ করেছেন । বিবেক তো এরকম কথায় সায় দেয় না । বাস্তবতা হচ্ছে যে , ইসলামে বিশেষজ্ঞ আলেমরা হযরত আয়েশার(রাঃ) কাছ থেকে দ্বীনের অর্ধেক তো দূরে থাক এক চতুর্থাংশও গ্রহণ করেননি । কারণ, ইসলামের ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে যে , ইসলামী শিক্ষার প্রচার প্রসারে হাজার হাজার সাহাবা অংশগ্রহণ করেছেন । হযরত আয়েশা(রাঃ) সেই হাজার সাহাবার মধ্যে মাত্র একজন ।
ইতিহাসের বাস্তবতা হতে দূরে সরে এসে যদি বিবেকের কষ্টিপাথরে উক্ত হাদীস যাচাই করা হয় , তবে বিবেকের বিরুদ্ধে রায় দেয় । যদি দ্বীনের অর্ধেক হযরত আয়েশা(রাঃ) এর ওপর নির্ভর করে , তাহলে হযরত আবু বকর(রাঃ), হযরত ওমর (রাঃ) , হযরত ওসমান (রাঃ) , হযরত আলী(রাঃ) , ইবনে মাসউদ (রাঃ) , হযরত মুআজ ইবনে জাবাল (রাঃ) এর মত বিশিষ্ট সাহাবীদের কাছ থেকে দ্বীন শিক্ষার কতটুকু অংশ অবশিষ্ট থাকে ? হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা তো হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসের সংখ্যার চেয়ে অনেক কম ।
ব্যক্তি স্বাতন্ত্রের এবং ব্যক্তি মর্যাদার যেসব হাদীস আমাদের কাছে এসেছে সেসব হাদীস গ্রহণে আমাদের যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার । কারণ, যারা জাল হাদীস তৈরি করেছে তারা ব্যক্তির মর্যাদার ক্ষেত্রেই সর্বাধিক হাদিস তৈরি করেছে । ব্যক্তি বিশেষের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা পোষণকারী ব্যক্তিরা ব্যক্তির মর্যাদা প্রমাণের জন্য বহু সংখ্যক জাল হাদীস তৈরি করেছে । হযরত আয়েশা(রা) এর মর্যাদা ও স্বাতন্ত্র প্রমাণের জন্য সেসব কথাই যথেষ্ঠ , যা সুরা নূর-এ এবং অন্যান্য সহীহ হাদীসে বিদ্যমান রয়েছে । তাঁর মর্যাদা প্রমাণের জন্য জাল হাদীস তৈরি করার কোন প্রয়োজন নেই ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন