এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

রবিবার, ৪ মে, ২০১৪

খুনির কৈফিয়ত !

করুণ চোখে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই
হে পিতা । এখন আমিও ‘খুন’ করে ফেলতে পারি তোমাকেই
অবলীলায় ।


খুনি হয়ে গেছে তোমার সন্তান । কারণ
জন্মাবার পর হতে যতই নিয়েছি শ্বাস ; নাসারন্ধ্র হয়ে
হুসহুস করে ঢুকে গেছে ফুসফুসে
তোমাদের ছড়িয়ে রাখা ঘৃণার বিষবাষ্প । ভকভক করে
ঢুকে গেছে গ্যালন গ্যালন জিঘাংসা । আমার হৃৎপিন্ডের বাম প্রকোষ্ঠের ভেতর
মিশে গেছে রক্তের প্রতিটি লোহিত কণিকায় ।


এই দেশে আজ তোমাদের বুদ্ধিজীবিরা যে নিশ্বাস ছাড়েন
মন্ত্রী এমপি আমলাদের এয়ারকুলার হতে বের হয় যে বাতাস
মেপে দেখো তাতে, ঘৃণা ও জিঘাংসার শতকরা পরিমান
অনেক অনেক বেশি কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়ে ।


আমার জন্মভূমিতে আজ
শিক্ষকের লেকচার মানে পিশাচ হবার শিক্ষা
সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় মানে রক্তপিপাসুর নিঃশব্দ আহ্বান -
নেতার বক্তৃতা মানে ক্ষুধার্ত অসুরের পৈশাচিক চিৎকার
রাষ্ট্র কাউকে ‘বীর’ খেতাব দিলে বুঝে নিতে হয়- নিশ্চিত সে একজন
নৃশংস সিরিয়াল কিলার ।


আবাদী জমিতে তোমরা করো জিঘাংসার চাষাবাদ । ধানের বদলে
বাম্পার ফলন হয় নতুন নতুন জাতের হাইব্রিড ‘বর্বরতা’র
বাতাসে এখানে তাই জিঘাংসা অনেক বেশি-
জলীয় বাষ্পের তুলনায় ।


করুণ চোখে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই
হে পিতা । খুনি হয়ে গেছে তোমার সন্তান । এখন
অবলীলায় আমি করতে পারি খুন তোমাকেই ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন