এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

সোমবার, ১৯ মে, ২০১৪

খাঁচার দাস !

বয়সটা অদ্ভুত বটে !

বেশ আছি মুক্ত স্বাধীন মানুষ । ইচ্ছে হলে  
নীলরঙা জিন্সের ওপর মেরুন ফতুয়া জড়িয়ে   
চলে যেতে পারি যেকোন দিগন্তে, যখন তখন । বগলে চেপে  
জীবনানন্দের 'রুপসী বাংলা' । নসীম হেজাজীর ‘হেজাজের কাফেলা’ ।
মেঠো পথে হাঁটতে হাটতে 
গাইতে পারি গান - গাধার কন্ঠের মত সুমধুর সুরে !   


শৈশব কৈশোর হতে
এমন অবাধ স্বাধীনতাই তো ছিল পরম চাওয়া ! অথচ
কী অদ্ভুত ! এখন কিনা হঠাৎ হঠাৎ
খাঁচায় বন্দী- ‘পোষা পাখি’ হতে ইচ্ছে করে !


ঘরের দাওয়ায় ঝুলিয়ে রাখা ছোট্ট খাঁচায় 
সকাল বিকাল ভাঙ্গা বাটিতে খুদ খাবো । পালকের আড়ালে ঠোঁট গুজে ঘুমাবো 
দিনরাত শেখানো বুলি আওড়াবো । আর   
গৃহকর্ত্রীকে দেখলে - আল মাহমুদের কলেজ পড়ুয়া অবুঝ মেয়ের পোষমানানো   
'কবিতা'  নামের সেই ‘খাঁচার দাসী’ পাখিটির মত বলে উঠবো 
‘ভালোবাসি' 'ভালোবাসি’ !   


কোনোদিন যদি খোলা পাই খাঁচার দরোজা
তবু উড়ে যাবোনা কোথাও , যাবোনা  ফিরে সীমাহীন মুক্ত আকাশে
খাঁচার দাস হয়েই কাটিয়ে দেবো
বাকিটা জীবন !

[খাঁচার দাস !/ ২০-০৫-২০১৪]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন