ইসরাইলি
পণ্য বর্জন একটা আবেগনির্ভর ও হুজুগে প্রতিবাদ। এটাকে আমি কার্যকর
প্রতিবাদ বলতে পারিনা। তবুও এই আবেগটুকুর প্রতি আমার সমর্থন আছে। এজন্য
যে, উম্মাহর জন্য অন্তত এটুকু ভালোবাসা আমাদের অবশিষ্ট আছে। এছাড়া কোন
অন্যায়ের প্রতিবাদের যে চারটি ধাপ হাদিসে বলা হয়েছে তার শেষ ধাপটি হচ্ছে
অন্যায়ের প্রতিরোধ করতে না পারলে অন্তত অন্তরে ঘৃণা করা। সেই দৃষ্টিকোণ
থেকে পণ্য বর্জনের ইচ্ছা অবশ্যই ভালো দিক। কিন্তু এটা কোন সত্যিকার
কার্যকর প্রতিবাদ নয়।
কতজনে কয়টা পণ্য বর্জন করবে? এতে ইসরাইলের কতটুকু গায়ে লাগবে? তাদের পণ্য তো সবাই ব্যবহার করে, শুধু মুসলিমরা নয়। সব মুসলিমও তো বর্জন করবেনা। আবার সব পণ্যের বিকল্পও নেই। এছাড়া ইহুদী মালিকানাধীন মানেই জায়নবাদী নয়।
আমরা যারা বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের মানুষ তাদের জন্য আরো সমস্যা। ভারত আমাদের ওপর ছড়ি ঘুরায়, সীমান্তে মানুষ মারে। ওকে, আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করলাম। আমরা ইহুদী মালিকানাধীন পণ্য বর্জন করলাম। আমরা মার্কিন পণ্য বর্জন করলাম, তারা ইরাকে আফগানিস্তানে মানুষ হত্যা করে, তারা ইসরাইলকে সাপোর্ট দেয়।
তাহলে আমরা কোন পণ্য ব্যবহার করবো?
একদিন দুদিনের হুজুগে প্রতিবাদ সত্যিকারার্থে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে কোনই কার্যকর ভূমিকা রাখেনা। যে চেতনা শুধু পিঠে বোমা পড়লেই জেগে ওঠে সেই চেতনা কোনদিনই কাউকে মুসলিম নির্যাতন থেকে বিরত রাখবেনা। ইহুদীরা সারাবিশ্ব শাসন করছে জ্ঞানের জোরে। একতার জোরে। যোগ্যতায় এবং একতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে না পারলে পণ্য বর্জনের জিগির তোলা ছাড়া আর কিছু করা আমাদের পক্ষে কোনদিনই সম্ভব হবেনা। পণ্য বর্জন শব্দটাই আমাদের অসহায়ত্বকে করুণভাবে প্রকাশ করে । এর অর্থ হলো, আমরা তাদের তৈরিকরা পণ্য ব্যবহার করি, করতে বাধ্য । কারণ, আমাদের নিজস্ব পণ্য নেই। নিজে কিছু তৈরির যোগ্যতাই আমাদের নেই।
মুসলিমদের ভালো মন্দ মুসলিমরা নিজেরাই বোঝেনা। মুসলিম দেশগুলোর শাসক কারা? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবচেতন পুঁজিবাদী সেকুলার গোষ্ঠী। এদেরকে ক্ষমতায় বসায় কে? এদের ক্ষমতার তোষামোদ করে কে? মুসলিমরাই।
ইজরায়েলি পণ্য বর্জন করুন, আপত্তি নাই। কিন্তু নিজেরা নিজেরা এই ফেরকা সেই ফেরকায় মারামারি না করে ঐক্যবদ্ধ না হলে, জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতি না করলে এভাবেই অন্যদের বুটের তলায় পিষ্ট হতে হবে।
কতজনে কয়টা পণ্য বর্জন করবে? এতে ইসরাইলের কতটুকু গায়ে লাগবে? তাদের পণ্য তো সবাই ব্যবহার করে, শুধু মুসলিমরা নয়। সব মুসলিমও তো বর্জন করবেনা। আবার সব পণ্যের বিকল্পও নেই। এছাড়া ইহুদী মালিকানাধীন মানেই জায়নবাদী নয়।
আমরা যারা বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের মানুষ তাদের জন্য আরো সমস্যা। ভারত আমাদের ওপর ছড়ি ঘুরায়, সীমান্তে মানুষ মারে। ওকে, আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করলাম। আমরা ইহুদী মালিকানাধীন পণ্য বর্জন করলাম। আমরা মার্কিন পণ্য বর্জন করলাম, তারা ইরাকে আফগানিস্তানে মানুষ হত্যা করে, তারা ইসরাইলকে সাপোর্ট দেয়।
তাহলে আমরা কোন পণ্য ব্যবহার করবো?
একদিন দুদিনের হুজুগে প্রতিবাদ সত্যিকারার্থে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে কোনই কার্যকর ভূমিকা রাখেনা। যে চেতনা শুধু পিঠে বোমা পড়লেই জেগে ওঠে সেই চেতনা কোনদিনই কাউকে মুসলিম নির্যাতন থেকে বিরত রাখবেনা। ইহুদীরা সারাবিশ্ব শাসন করছে জ্ঞানের জোরে। একতার জোরে। যোগ্যতায় এবং একতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে না পারলে পণ্য বর্জনের জিগির তোলা ছাড়া আর কিছু করা আমাদের পক্ষে কোনদিনই সম্ভব হবেনা। পণ্য বর্জন শব্দটাই আমাদের অসহায়ত্বকে করুণভাবে প্রকাশ করে । এর অর্থ হলো, আমরা তাদের তৈরিকরা পণ্য ব্যবহার করি, করতে বাধ্য । কারণ, আমাদের নিজস্ব পণ্য নেই। নিজে কিছু তৈরির যোগ্যতাই আমাদের নেই।
মুসলিমদের ভালো মন্দ মুসলিমরা নিজেরাই বোঝেনা। মুসলিম দেশগুলোর শাসক কারা? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবচেতন পুঁজিবাদী সেকুলার গোষ্ঠী। এদেরকে ক্ষমতায় বসায় কে? এদের ক্ষমতার তোষামোদ করে কে? মুসলিমরাই।
ইজরায়েলি পণ্য বর্জন করুন, আপত্তি নাই। কিন্তু নিজেরা নিজেরা এই ফেরকা সেই ফেরকায় মারামারি না করে ঐক্যবদ্ধ না হলে, জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতি না করলে এভাবেই অন্যদের বুটের তলায় পিষ্ট হতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন