এক লোক খুব ঘুষ খায় । তাঁকে ঘুষ খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করা হলো । ভাই,
ঘুষ খাওয়া তো ঠিক না । আপনার কি দোযখের ভয় নাই ? বেহেশতের আশা কি আপনি করেন
না ?
মুচকি হেসে ঘুষখোরের জবাব- আরে ব্যাপার না ! বেহেশতের দারোয়ানকে ঘুষ দিয়ে ঠিকই ঢুকে যাবো !
***
মজু মেম্বারের ছেলে ফজু মিয়া । ছয় মাস হলো বিয়ে হয়েছে । কিন্তু এরই মধ্যে বউয়ের সাথে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি করে । কারণে অকারণে বউটাকে পিটায় । আজ সকালেও তরকারিতে লবণ কম হয়েছে বলে বউটাকে আচ্ছামত মারধোর করলো । শুধু মারধোর করলে তো মজু মেম্বারের টেনশনের কিছু ছিলনা । ঘটনা আরো বড় । সে বউকে একেবারে তিন তালাক বায়েন দিয়ে ফেলেছে । এখন বলছে এই বউ সে ছাড়তে পারবে না । কী মুশকিল !
মুয়াজ্জিন সাহেব বলেছেন - তালাক হইয়া গেছে । হিলা বিয়া ছাড়া এই বউ ফেরত নিবার আর উপায় নাই । টেনশনে মজু মেম্বারের মাথা গরম হয়ে আছে । কী করা যায় ?
অবশেষে বুদ্ধি পাওয়া গেলো । মজু মেম্বারের ছোট ভাই এসে বুদ্ধি দিল - ১০১ টাকা কাবিন লিখা আমার পোলা সাবুদ্দির সাথে বিয়া দেও । বাসর কইরা পরে হেয় তালাক দিয়া দিব ! অসুবিধা কী ?
***
বাঙ্গালির অনেক বুদ্ধি ! আল্লাহকে ঠকাতে চায় ! হিল্লা বিয়ের নামে একটা জঘন্য সিস্টেম তারা চালু করেছিল (এখন কম, আগে এইটার খুব প্রকোপ ছিল) , যেটা নারীর প্রতি অমানবিক জুলুম তো বটেই - আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের অপমান করার শামিল । আল্লাহ্র বিধানের সাথে তামাশা । আল্লাহ্র বিধানে ফাঁকফোকর বানিয়ে নিজের খায়েশ পুরণের জন্য এরা আল্লাহ্র সাথে 'সিস্টেম' করে চলে !
ইসলাম তালাকের সিস্টেমটাকেই কঠিন করেছে , মারাত্মকভাবে নিরুৎসাহিত করেছে । যখন তখন তালাক দিবে আবার ফেরত নিবে এরকম স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ রাখা হয়নি । প্রথমত তালাক দেয়ার জন্য যুক্তিসংগত কারণ লাগবে । সামান্য মতবিরোধ, কথা কাটাকাটিতেই ইচ্ছামত তালাক দিতে পারবে না ।
দ্বিতীয়ত , একবারে তিন তালাক দেয়া যাবেনা । এর জন্য কমপক্ষে তিন মাস সময় নিতে হবে । পবিত্র অবস্থায় এক তালাক দেয়ার পর একমাস সময় দিতে হবে । এরমধ্যে যদি সমস্যার কোন সমাধান না হয় তাহলে দ্বিতীয় তালাক দিতে পারবে । এই সময়ের ভেতর কোনরকম শারীরিক সম্পর্ক থাকতে পারবে না । আরো একমাসেও যদি কোন সমাধান না হয় এবং চিরতরে বিচ্ছিন্ন হবার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয় তবেই তৃতীয় তালাক বা স্থায়ী তালাক দিতে পারবে । আর এই তৃতীয় তালাক দেয়ার আগে তাঁকে অবশ্যই ভাবতে হবে - এই তালাক মানে হলো এই স্ত্রীকে আর হয়তো এই জীবনে কোনদিন ফিরে পাওয়া যাবে না । চিরতরে বিদায় ।
একটাই উপায় যেটা খুবই অনিশ্চিত, যদি সেই স্ত্রী আবার স্বাভাবিকভাবে কাউকে বিয়ে করে তারপর সেই স্বামীর সাথে কোন কারণে বিচ্ছেদ হয় বা সেই দ্বিতীয় স্বামী মারা যায় তবেই উভয়পক্ষ চাইলে পুনরায় বিয়ে হতে পারবে । এটা স্বাভাবিকভাবে প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার । ( পুরনো স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দেবার প্রকাশ্য/গোপন/মনে মনে ইচ্ছা/চুক্তি থাকলেই সেই বিয়েই অবৈধ হবে । এমনকি এরকম ইচ্ছা নিয়ে বিয়ে করলে যতবছরই সেই বিয়ে টিকে থাকুক, অবৈধই থাকবে । অর্থাৎ ব্যাভিচার হিসেবে গণ্য হবে ।)
এটা নারীর জন্য শাস্তি না, ছিল রক্ষাকবচ । কিন্তু বাঙ্গালির বুদ্ধির তো অভাব নেই । তারা বেহেশতের দারোয়ানকে ঘুষ দিয়ে ঢুকবে ! সুতরাং তারা একটা সিস্টেম দাঁড় করালো 'হিল্লা বিয়ে' ! একজনের সাথে চুক্তি হবে - সে তালাক দেয়া বউকে বিয়ে করবে , তারপর বাসর করার পর তালাক দিয়ে দেবে ! এরপর আগের স্বামী তাঁর পুরনো বউকে আবার বিয়ে করবে ! দুদিনেই কেস ডিসমিস ! দুই পুরুষেরই মনের আশা পূরণ হলো , আবার ধর্মের বিধানও রক্ষা হলো ! মারাহাবা ! কত্তবড় চালাক ঈমানদার ব্যাক্তি ! আল্লাহকে পুরা বোকা বানিয়ে দিয়েছে (নাউযুবিল্লাহ) !
আগের মোহরানা তো পরিশোধ করে নাই , বন্ধু/ভাই এর সাথে হিল্লা বিয়ে দিয়ে আবার ১০১ টাকা মোহরে নিজে বিয়ে করেছে ! বাহ বাহ !
এই জঘন্য অপরাধটা অনেক জায়গায়ই ঘটেছে । অথচ আলেম ওলামাদের এই ব্যাপারে তেমন একটা জোর গলায় কথা বলতে দেখা যায় নাই । এটাও একটা অবাক করা ব্যাপার । এরকমই একটা ঘটনার বিচারের প্রেক্ষিতে ফতোয়া নিষিদ্ধের আদেশ দিয়েছিল বাংলাদেশের একটি আদালত । সেই আদেশের বিরুদ্ধে আলেম ওলামাদের গর্জে উঠতে দেখা গেছে । কিন্ত যে ফতোয়ার অপব্যবহারের ফলে ফতোয়া নিষিদ্ধের আদেশ এসেছিল- তার ব্যাপারে তাঁদের বেশি উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি । হিল্লা বিয়ের নামে এতবড় অপরাধ - চোখের সামনে ব্যাভিচার করার ব্যাপারে ততটা সচেতনতা তৈরিতে আলেম সমাজকে পাওয়া যায়নি ।
হিল্লা বিয়ের নামে এরকম ঘটনা যদি কেউ ঘটাতে চায় তাকে বাধা দিতে হবে । আর যদি কেউ ঘটিয়েই ফেলে তবে হিল্লা বিয়ে প্রদানকারী এবং হিল্লা বিয়েকারী উভয়কে ব্যাভিচারের শাস্তি দেয়া উচিৎ । সহযোগীদেরও শাস্তি হওয়া উচিৎ ।
.............................................
টীকাঃ হিল্লা বিয়ের প্রসঙ্গ টেনে ইসলামকেই বিতর্কিত করা হয় । বলা হয় ইসলাম হিল্লা বিয়ের মত অমানবিক সিস্টেম দিয়ে নারীকে অপমানিত করেছে । অথচ এই হিল্লা বিয়ের কোন অবস্থান ইসলামের বিধানে নেই । বরং প্রকৃতপক্ষে ইসলামে এটা একটা শাস্তিযোগ্য জঘন্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত ।
( বিস্তারিত জানতে সুরা বাকারা ২৯-৩০ আয়াত ও সুরা তালাক - তাফসীরসহ পড়ুন ।)
মুচকি হেসে ঘুষখোরের জবাব- আরে ব্যাপার না ! বেহেশতের দারোয়ানকে ঘুষ দিয়ে ঠিকই ঢুকে যাবো !
***
মজু মেম্বারের ছেলে ফজু মিয়া । ছয় মাস হলো বিয়ে হয়েছে । কিন্তু এরই মধ্যে বউয়ের সাথে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি করে । কারণে অকারণে বউটাকে পিটায় । আজ সকালেও তরকারিতে লবণ কম হয়েছে বলে বউটাকে আচ্ছামত মারধোর করলো । শুধু মারধোর করলে তো মজু মেম্বারের টেনশনের কিছু ছিলনা । ঘটনা আরো বড় । সে বউকে একেবারে তিন তালাক বায়েন দিয়ে ফেলেছে । এখন বলছে এই বউ সে ছাড়তে পারবে না । কী মুশকিল !
মুয়াজ্জিন সাহেব বলেছেন - তালাক হইয়া গেছে । হিলা বিয়া ছাড়া এই বউ ফেরত নিবার আর উপায় নাই । টেনশনে মজু মেম্বারের মাথা গরম হয়ে আছে । কী করা যায় ?
অবশেষে বুদ্ধি পাওয়া গেলো । মজু মেম্বারের ছোট ভাই এসে বুদ্ধি দিল - ১০১ টাকা কাবিন লিখা আমার পোলা সাবুদ্দির সাথে বিয়া দেও । বাসর কইরা পরে হেয় তালাক দিয়া দিব ! অসুবিধা কী ?
***
বাঙ্গালির অনেক বুদ্ধি ! আল্লাহকে ঠকাতে চায় ! হিল্লা বিয়ের নামে একটা জঘন্য সিস্টেম তারা চালু করেছিল (এখন কম, আগে এইটার খুব প্রকোপ ছিল) , যেটা নারীর প্রতি অমানবিক জুলুম তো বটেই - আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের অপমান করার শামিল । আল্লাহ্র বিধানের সাথে তামাশা । আল্লাহ্র বিধানে ফাঁকফোকর বানিয়ে নিজের খায়েশ পুরণের জন্য এরা আল্লাহ্র সাথে 'সিস্টেম' করে চলে !
ইসলাম তালাকের সিস্টেমটাকেই কঠিন করেছে , মারাত্মকভাবে নিরুৎসাহিত করেছে । যখন তখন তালাক দিবে আবার ফেরত নিবে এরকম স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ রাখা হয়নি । প্রথমত তালাক দেয়ার জন্য যুক্তিসংগত কারণ লাগবে । সামান্য মতবিরোধ, কথা কাটাকাটিতেই ইচ্ছামত তালাক দিতে পারবে না ।
দ্বিতীয়ত , একবারে তিন তালাক দেয়া যাবেনা । এর জন্য কমপক্ষে তিন মাস সময় নিতে হবে । পবিত্র অবস্থায় এক তালাক দেয়ার পর একমাস সময় দিতে হবে । এরমধ্যে যদি সমস্যার কোন সমাধান না হয় তাহলে দ্বিতীয় তালাক দিতে পারবে । এই সময়ের ভেতর কোনরকম শারীরিক সম্পর্ক থাকতে পারবে না । আরো একমাসেও যদি কোন সমাধান না হয় এবং চিরতরে বিচ্ছিন্ন হবার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয় তবেই তৃতীয় তালাক বা স্থায়ী তালাক দিতে পারবে । আর এই তৃতীয় তালাক দেয়ার আগে তাঁকে অবশ্যই ভাবতে হবে - এই তালাক মানে হলো এই স্ত্রীকে আর হয়তো এই জীবনে কোনদিন ফিরে পাওয়া যাবে না । চিরতরে বিদায় ।
একটাই উপায় যেটা খুবই অনিশ্চিত, যদি সেই স্ত্রী আবার স্বাভাবিকভাবে কাউকে বিয়ে করে তারপর সেই স্বামীর সাথে কোন কারণে বিচ্ছেদ হয় বা সেই দ্বিতীয় স্বামী মারা যায় তবেই উভয়পক্ষ চাইলে পুনরায় বিয়ে হতে পারবে । এটা স্বাভাবিকভাবে প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার । ( পুরনো স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দেবার প্রকাশ্য/গোপন/মনে মনে ইচ্ছা/চুক্তি থাকলেই সেই বিয়েই অবৈধ হবে । এমনকি এরকম ইচ্ছা নিয়ে বিয়ে করলে যতবছরই সেই বিয়ে টিকে থাকুক, অবৈধই থাকবে । অর্থাৎ ব্যাভিচার হিসেবে গণ্য হবে ।)
এটা নারীর জন্য শাস্তি না, ছিল রক্ষাকবচ । কিন্তু বাঙ্গালির বুদ্ধির তো অভাব নেই । তারা বেহেশতের দারোয়ানকে ঘুষ দিয়ে ঢুকবে ! সুতরাং তারা একটা সিস্টেম দাঁড় করালো 'হিল্লা বিয়ে' ! একজনের সাথে চুক্তি হবে - সে তালাক দেয়া বউকে বিয়ে করবে , তারপর বাসর করার পর তালাক দিয়ে দেবে ! এরপর আগের স্বামী তাঁর পুরনো বউকে আবার বিয়ে করবে ! দুদিনেই কেস ডিসমিস ! দুই পুরুষেরই মনের আশা পূরণ হলো , আবার ধর্মের বিধানও রক্ষা হলো ! মারাহাবা ! কত্তবড় চালাক ঈমানদার ব্যাক্তি ! আল্লাহকে পুরা বোকা বানিয়ে দিয়েছে (নাউযুবিল্লাহ) !
আগের মোহরানা তো পরিশোধ করে নাই , বন্ধু/ভাই এর সাথে হিল্লা বিয়ে দিয়ে আবার ১০১ টাকা মোহরে নিজে বিয়ে করেছে ! বাহ বাহ !
এই জঘন্য অপরাধটা অনেক জায়গায়ই ঘটেছে । অথচ আলেম ওলামাদের এই ব্যাপারে তেমন একটা জোর গলায় কথা বলতে দেখা যায় নাই । এটাও একটা অবাক করা ব্যাপার । এরকমই একটা ঘটনার বিচারের প্রেক্ষিতে ফতোয়া নিষিদ্ধের আদেশ দিয়েছিল বাংলাদেশের একটি আদালত । সেই আদেশের বিরুদ্ধে আলেম ওলামাদের গর্জে উঠতে দেখা গেছে । কিন্ত যে ফতোয়ার অপব্যবহারের ফলে ফতোয়া নিষিদ্ধের আদেশ এসেছিল- তার ব্যাপারে তাঁদের বেশি উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি । হিল্লা বিয়ের নামে এতবড় অপরাধ - চোখের সামনে ব্যাভিচার করার ব্যাপারে ততটা সচেতনতা তৈরিতে আলেম সমাজকে পাওয়া যায়নি ।
হিল্লা বিয়ের নামে এরকম ঘটনা যদি কেউ ঘটাতে চায় তাকে বাধা দিতে হবে । আর যদি কেউ ঘটিয়েই ফেলে তবে হিল্লা বিয়ে প্রদানকারী এবং হিল্লা বিয়েকারী উভয়কে ব্যাভিচারের শাস্তি দেয়া উচিৎ । সহযোগীদেরও শাস্তি হওয়া উচিৎ ।
ইব্ন মাসউদ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিল্লাকারী এবং যার জন্য হিল্লা করা হয় উভয়কে লানত করেছেন।”
কুবাইসা ইব্ন জাবের ওমর রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেনঃ “হিল্লাকারী ও যার জন্য হিল্লা করা হয়, তাদেরকে আমার সামনে পেশ করা হলে আমি উভয়কে প্রস্তরাঘাত করব”।
“ইব্ন ওমরকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, স্ত্রীকে তার স্বামীর জন্য হালাল করার বিধান কি, তিনি বলেন : এটা যেনা, যদি ওমর তোমাদের দেখতেন, তাহলে অবশ্যই তিনি তোমাদের শাস্তি দিতেন”।
ইব্ন ওমর (রাঃ) কে হিল্লাকারী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি বলেন : “তারা উভয়ে যেনা অবস্থায় থাকবে, যদিও এভাবে তারা বিশ বছর পার করে, যদি আল্লাহ জানেন যে, এদের উভয়ের নিয়ত হচ্ছে স্ত্রীকে প্রথম স্বামীর জন্য হালাল করা”।
আল্লাহ্র কাছে হালাল কাজসমূহের মধ্যে সবচেয়ে ঘৃণিত হলো 'তালাক' ।
একবারে তিন তালাক প্রদানকারীকে হযরত উমর (রাঃ) শারীরিক শাস্তি দিতেন ।
.............................................
টীকাঃ হিল্লা বিয়ের প্রসঙ্গ টেনে ইসলামকেই বিতর্কিত করা হয় । বলা হয় ইসলাম হিল্লা বিয়ের মত অমানবিক সিস্টেম দিয়ে নারীকে অপমানিত করেছে । অথচ এই হিল্লা বিয়ের কোন অবস্থান ইসলামের বিধানে নেই । বরং প্রকৃতপক্ষে ইসলামে এটা একটা শাস্তিযোগ্য জঘন্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত ।
( বিস্তারিত জানতে সুরা বাকারা ২৯-৩০ আয়াত ও সুরা তালাক - তাফসীরসহ পড়ুন ।)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন