এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

সোমবার, ১০ জুন, ২০১৩

হকপন্থী দল নির্ণয়

ইসলামী দল কিংবা ইসলামপন্থি ব্যক্তিদের মধ্যে হকের পথে কে বা কারা আছেন সেটা নির্ণয় করার জন্য আমি সহজ পন্থা অবলম্বন করি । বৃক্ষ তোমার নাম কী , ফলে পরিচয় । যারা ইসলাম ও ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথে আসল প্রতিবন্ধকদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, তারা হকপন্থি । বাকিরা হকের পথে আছেন কিনা তা নিয়ে আমি বাস্তবিক কারণেই অনেক বেশি সন্দিহান ।

বাংলাদেশে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের প্রধান শত্রু কারা ? নিঃসন্দেহে কম্যুনিস্ট ও সেক্যুলাররা । কম্যুনিস্ট ও সেক্যুলারদের উত্থান ও লালনপালন করছে কে ? আওয়ামী লীগ ।
আমি যাদেরকে দেখি ইসলামী দল ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন, কিন্তু কম্যুনিস্ট এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলেন না – আমি নিশ্চিত, তারা হকের পথে নেই । অমুক শায়খের অনুসারী, তমুক দলের অনুসারী , বুজুর্গের অনুসারী, পীরের অনুসারী, মুখে মুখে খেলাফত কায়েম করেন , বাস্তবে দেখা যায় তাঁর দাওয়াতী কাজের নামে ৯০% সময় খরচ করেন অন্য কোন আলেম অথবা ইসলামী দলের কুৎসা গেয়ে । বিষোদগার করে । আসল শত্রুদের বিরুদ্ধে ১০% সময়-সামর্থ্যও কাজে লাগান না ।

আমার মনে প্রশ্ন জাগে, আপনারা মওদূদীকে যতবার কাফের বলেন , জাকির নায়েককে যতবার কাফের বলেন, হাসান আল বান্নাকে কাফের বলেন – আমরা হিসাব রাখতে হিমশিম খাই । কই, শেখ হাসিনাকে একবারও কাফের বলেন না কেন ? সাজেদা চৌধুরীকে বলেন না কেন ? মেনন-ইনুকে বলেন না কেন ? শফিক আহমেদকে অলেন না কেন ? অথচ এরা আমাদের সংবিধান থেকে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা’ টুকু পর্যন্ত বিলুপ্ত করে দিয়েছে । আপনাদের কাছে কি মাওলানা মওদূদী, হাসান আল বান্না, জাকির নায়েকের চেয়ে এরা বেশি বুজুর্গ ? এরা বেশি ঈমানদার ?

নারী নেতৃত্ব নিয়ে সারাদিন তেনা পেচান । জামায়াতে ইসলামী , খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোটের পিন্ডি চটকান । শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়াকে বলেন না কেন যে, আপনারা নেতৃত্বে থাকলে আপনাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করবো ?
সেইটা তো করেন না । তো আপনাদের এইসব কথাবার্তাকে ফাইজলামি ছাড়া আর কী বলা যাবে ?

ভাইয়ে ভাইয়ে মতবিরোধ থাকলে সেটা ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের পরেও মিমাংসা করা যাবে । কিন্তু আপনারা ইসলামী দলকে ভাই মনে করেন না । সেক্যুলার-নাস্তিক- ও তাদের লালনকারি আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় শত্রু মনে করেন ।

ভাইসব , যারা সারাদিন বিভিন্ন ইসলামী দল ও আলেমদের বিরুদ্ধে লেগে আছেন – সাবধান হোন । আমার দৃঢ় বিশ্বাস- ইসলামের প্রকৃত শত্রুদের বিরুদ্ধে না লড়ে, মুসলিমদের ভেতর ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক নষ্ট করে , ঐক্যের পথে বাধা সৃষ্টি করে , আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠাকে বিলম্বিত করে যে ক্ষতি করছেন- আল্লাহর কাছে জবাব দিতে পারবেন না ।


10=06=2013

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন