পোলাপান
ফেসবুকে গ্রুপ খুলিয়াছে- আর্লি ম্যারেজ ক্যাম্পেইন । আমি শ্লোগানটার
সমর্থক । কিন্তু পোলাপাইনের আহ্লাদ দেখিয়া মাঝে মাঝে বিরক্ত হই । প্রায়শই
দেখি, কন্যার পিতাগনের প্রতি উহাদের কেহ কেহ ক্ষোভ প্রকাশ করিয়া থাকে । এই
বলিয়া যে, কেন তাহারা বেকার যুবকের সহিত কন্যার বিবাহ দিবেনা ? উহারা চায়-
কন্যার পিতাগন চাহিবামাত্র তাহাদের কন্যাকে বিবাহেচ্ছুক ছেলের হাতে সপিয়া
দিক । ছেলের কিছু থাকুক বা না থাকুক, সুন্দর একখান মুখ থাকিলেই চলিবে ! আহা , কী আশা !
.
ইহার সপক্ষে উহারা প্রায়শই খুঁজিয়া পাতিয়া নবীর সাহাবাগনের জীবন হইতে উদাহরণ তালাশ করিয়া লয় । কত সহজে তখন বিবাহ সম্পন্ন হইয়াছিল !
.
নিজের কন্যাকে সবটুকু আদর দিয়া কোলে হাতে মানুষ করিয়া সারাজীবনের তরে আরেকজনের নিকট জমা দিবে, পিতামাতা খোজখবর লইয়া নিশ্চিন্ত না হইয়া কীভাবে সেই সিদ্ধান্ত লইবে ? এত সহজ ?
আমি নিশ্চিত করিয়া বলিতে পারি, এইসকল পোলাপান যখন নিজেরাই কন্যার বাপ হইবে- তাহারা নিজেরাও পাত্রের ব্যাপারে এর চাইতে কম খোঁজখবর লইবে না ।
.
হে বৎস, তোমাদিগের এইরুপ কথাবার্তা দেখিলে মুরুব্বীরা হাসিবেন । আর মনে মনে বলিবেন- 'এইসব অপরিপক্ক কথাবার্তাই প্রমাণ করে- পরিবারের দায়িত্ব লইবার যোগ্যতা তোমাদিগের এখনো হয় নাই' ।
.
(আবার কেহ কেহ নিজ পিতার প্রতি ক্ষুব্ধ । পিতা যদি তাঁহার খরচ মিটাইতে পারেন, তাহা হইলে আরেকজনকে খাওয়াইতে অসুবিধা কী ? ওহে বৎস, বিবাহ মানে শুধু একটা নতুন মুখের তিন বেলা আহার নহে , ইহার বহুত মর্তবা আছে । একটা সংসারের কিছু না কিছু অতিরিক্ত খরচ আছে । বেকার অবস্থায় নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত পিতার কাঁধে এইরুপ অতিরিক্ত বোঝা চাপাইয়া দেওয়া নিতান্তই জুলুম বৈ অন্য কিছু নহে । যাহাদিগের পিতার যথেষ্ট রহিয়াছে তাহারা আগাইয়া যান । ক্যাম্পেইন লাগিবে না, গো এহেড । আমাদিগকে দাওয়াত না দিলেও চলিবে !)
.
ইহার সপক্ষে উহারা প্রায়শই খুঁজিয়া পাতিয়া নবীর সাহাবাগনের জীবন হইতে উদাহরণ তালাশ করিয়া লয় । কত সহজে তখন বিবাহ সম্পন্ন হইয়াছিল !
.
নিজের কন্যাকে সবটুকু আদর দিয়া কোলে হাতে মানুষ করিয়া সারাজীবনের তরে আরেকজনের নিকট জমা দিবে, পিতামাতা খোজখবর লইয়া নিশ্চিন্ত না হইয়া কীভাবে সেই সিদ্ধান্ত লইবে ? এত সহজ ?
আমি নিশ্চিত করিয়া বলিতে পারি, এইসকল পোলাপান যখন নিজেরাই কন্যার বাপ হইবে- তাহারা নিজেরাও পাত্রের ব্যাপারে এর চাইতে কম খোঁজখবর লইবে না ।
.
হে বৎস, তোমাদিগের এইরুপ কথাবার্তা দেখিলে মুরুব্বীরা হাসিবেন । আর মনে মনে বলিবেন- 'এইসব অপরিপক্ক কথাবার্তাই প্রমাণ করে- পরিবারের দায়িত্ব লইবার যোগ্যতা তোমাদিগের এখনো হয় নাই' ।
.
(আবার কেহ কেহ নিজ পিতার প্রতি ক্ষুব্ধ । পিতা যদি তাঁহার খরচ মিটাইতে পারেন, তাহা হইলে আরেকজনকে খাওয়াইতে অসুবিধা কী ? ওহে বৎস, বিবাহ মানে শুধু একটা নতুন মুখের তিন বেলা আহার নহে , ইহার বহুত মর্তবা আছে । একটা সংসারের কিছু না কিছু অতিরিক্ত খরচ আছে । বেকার অবস্থায় নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত পিতার কাঁধে এইরুপ অতিরিক্ত বোঝা চাপাইয়া দেওয়া নিতান্তই জুলুম বৈ অন্য কিছু নহে । যাহাদিগের পিতার যথেষ্ট রহিয়াছে তাহারা আগাইয়া যান । ক্যাম্পেইন লাগিবে না, গো এহেড । আমাদিগকে দাওয়াত না দিলেও চলিবে !)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন