তরুণ ডাক্তাররা এখন অনেক বেশি
অধিকার সচেতন হয়েছে । তারা ঘুণে ধরা সিস্টেমকে বদলাতে চায় । ক্লাসে একশতম
রোলধারী ছেলেটা যখন সারাজীবন হেসে খেলে কাটিয়ে এখনো তার চেয়ে ভালো থাকে ,
উচ্চমর্যাদায় থাকে , বেশি সুযোগ সুবিধা পায় তখন তার ভেতর আক্ষেপ জমা হয় ।
.
আক্ষেপের মাত্রা বাড়ে যখন দেখে তার পূর্বসুরী সিনিয়র ডাক্তাররা চরম বেখেয়াল । বরং ক্ষেত্রবিশেষে ডাক্তারদের স্বার্থের বিপরীত কাজ করেন ।
কেন করেন ? ব্যাপারটা সেই কবিতা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় । কী যাতনা বিষে , বুঝিবে সে কিসে কভু আশীবিষে দংশেনি যারে । ক্যারিয়ার গঠনে এখন যতটা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে সিনিয়রদের ততটা করতে হয়নি । একটা সময় ছিল যখন ভালো ছাত্রদের ধরে ধরে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেছে সরকার । এখন যেমন লাখ পরিক্ষার্থীর ভেতর একজন হতে হয় , তখন এটা লাগেনি । আমার এক আংকেল বেচারার খুব ইচ্ছা ছিল ঢাকা ভার্সিটিতে পড়বেন । কিন্তু সরকার তাঁকে ধরে নিয়ে স্টাইপেন্ড দিয়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিল ।
.
পাস করে এখন যেমন ডাক্তারদের বিসিএস দিয়ে দুই তিনবছর পরে সরকারি চাকরিতে ঢুকতে হয় (৩৩তম বিসিএস এর প্রিলি হয়েছিল ২০১২ তে, আজো গেজেট হয়নি) , কোন উচ্চতর ডিগ্রীর ট্রেনিং এ আসার আগে গ্রামে চাকরি করতে হয় ন্যূনতম দুই বা তিন থেকে যতবেশি বছর সম্ভব । তখন এইটা ছিলনা । পাস করলেই নিশ্চিত সরকারি চাকরি । একজন অধ্যাপক স্যার স্মৃতিচারণ করলেন , ইন্টার্ণশিপ শেষ করে কিছুদিন পরেই উনি নিয়োগ পান এসিস্টেন্ট রেজিস্ট্রার হিসেবে । উনার চাকরি জীবনের শুরুতে বেতন ছিল পাঁচশ টাকা । সেসময় একশ টাকায় একটা মোটাতাজা গরু পাওয়া যেত । সরকারি কোয়ার্টারে থাকা ।
তখনকার সময়ের হিসাবে প্রতি মাসে কমপক্ষে দুই তিনশ টাকা বেঁচে যেত । বলা যায় , নিঃসন্দেহে সম্মানজনক সুখী জীবন । তাঁরা তো এখনো সুখেই আছেন । জুনিয়রদের দুঃখ-কষ্ট তাই তাঁদের খুব বেশি স্পর্শ করেনা ।
সেই সময়ে দেখা ডাক্তারদের সম্মানজনক সুখী জীবন আর নিজেদের অসুস্থতার সময়ের অসহায়ত্বের কথা ভেবে পিতা মাতার কাছে ছেলে মেয়েকে ডাক্তার বানানোটা লক্ষ্য হয়ে ওঠে । কিন্তু সেইদিন কি আর আছে ? সময় বদলেছে অনেক । ৩৫-৪০ বছর বয়স পর্যন্ত নিজ খরচে পড়ালেখা করা মধ্যবিত্তের ছেলেদের পক্ষে সম্ভব না । সুতরাং তারা অন্য দিকে ঝুঁকবে । ইতোমধ্যেই মেডিকেল কলেজগুলোতে মেয়েদের সংখ্যা শতকরা ষাট ভাগ হয়ে গেছে । ছেলেরা অন্য পথ ধরছে । এখানে সেখানে গড়ে উঠছে মেডিকেল কলেজ । প্রতিবছর কয়েক হাজার ডাক্তার বের হচ্ছে কিন্তু তারা যাবে কোথায় ? উপরি হিসেবে আছে নিরাপত্তাহীনতা । বঙ্গদেশে কোনকিছু সহজে পাওয়া গেলে তার দাম থাকে না । যখন তন্ন তন্ন করে খুঁজে ডাক্তার পাওয়া যেত না তখন ডাক্তারের খুব দাম ছিল নাম ছিল । এখন চাইলে আশেপাশে কোথাও না কোথাও ডাক্তার পাওয়া যায় । এখন আর মানুষ টাইফয়েড ডায়রিয়ায় মরে না । সেজন্য ডাক্তারের মানও কমে গেছে মানুষের কাছে । যদিও এখনো ডাক্তারি পেশা মোস্ট ওয়ান্টেড প্রফেশন । কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে সামনে আর তা থাকবেনা । বাঙালি ডান্ডাকে সমীহ করে , বিনয়কে নয় । ডাক্তারদের হাতে তো কোন ডান্ডা থাকেনা , ডান্ডা থাকে কন্সটেবলের হাতে । সুতরাং কন্সটেবলই বস্ । এছাড়া বানিজ্যিক ভাবে, ভর্তি পরীক্ষায় দশ মার্ক পাওয়া ছাত্রকেও যখন টাকার বিনিময়ে কোন কোন মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়েছে তখন ডাক্তারদের একটা অংশের কোয়ালিটি প্রশ্নবিদ্ধ হবেই । এছাড়া আছে ছাত্র রাজনীতি । মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের একটা অংশ তথাকথিত ছাত্র রাজনীতির নামে জ্বালাও পোড়াও করছে , পিটিয়ে ছাত্র হত্যা করছে । ডাক্তার হিসেবে এদের কাছ থেকে জাতি কী আশা করবে ?
.
আক্ষেপের মাত্রা বাড়ে যখন দেখে তার পূর্বসুরী সিনিয়র ডাক্তাররা চরম বেখেয়াল । বরং ক্ষেত্রবিশেষে ডাক্তারদের স্বার্থের বিপরীত কাজ করেন ।
কেন করেন ? ব্যাপারটা সেই কবিতা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় । কী যাতনা বিষে , বুঝিবে সে কিসে কভু আশীবিষে দংশেনি যারে । ক্যারিয়ার গঠনে এখন যতটা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে সিনিয়রদের ততটা করতে হয়নি । একটা সময় ছিল যখন ভালো ছাত্রদের ধরে ধরে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেছে সরকার । এখন যেমন লাখ পরিক্ষার্থীর ভেতর একজন হতে হয় , তখন এটা লাগেনি । আমার এক আংকেল বেচারার খুব ইচ্ছা ছিল ঢাকা ভার্সিটিতে পড়বেন । কিন্তু সরকার তাঁকে ধরে নিয়ে স্টাইপেন্ড দিয়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিল ।
.
পাস করে এখন যেমন ডাক্তারদের বিসিএস দিয়ে দুই তিনবছর পরে সরকারি চাকরিতে ঢুকতে হয় (৩৩তম বিসিএস এর প্রিলি হয়েছিল ২০১২ তে, আজো গেজেট হয়নি) , কোন উচ্চতর ডিগ্রীর ট্রেনিং এ আসার আগে গ্রামে চাকরি করতে হয় ন্যূনতম দুই বা তিন থেকে যতবেশি বছর সম্ভব । তখন এইটা ছিলনা । পাস করলেই নিশ্চিত সরকারি চাকরি । একজন অধ্যাপক স্যার স্মৃতিচারণ করলেন , ইন্টার্ণশিপ শেষ করে কিছুদিন পরেই উনি নিয়োগ পান এসিস্টেন্ট রেজিস্ট্রার হিসেবে । উনার চাকরি জীবনের শুরুতে বেতন ছিল পাঁচশ টাকা । সেসময় একশ টাকায় একটা মোটাতাজা গরু পাওয়া যেত । সরকারি কোয়ার্টারে থাকা ।
তখনকার সময়ের হিসাবে প্রতি মাসে কমপক্ষে দুই তিনশ টাকা বেঁচে যেত । বলা যায় , নিঃসন্দেহে সম্মানজনক সুখী জীবন । তাঁরা তো এখনো সুখেই আছেন । জুনিয়রদের দুঃখ-কষ্ট তাই তাঁদের খুব বেশি স্পর্শ করেনা ।
সেই সময়ে দেখা ডাক্তারদের সম্মানজনক সুখী জীবন আর নিজেদের অসুস্থতার সময়ের অসহায়ত্বের কথা ভেবে পিতা মাতার কাছে ছেলে মেয়েকে ডাক্তার বানানোটা লক্ষ্য হয়ে ওঠে । কিন্তু সেইদিন কি আর আছে ? সময় বদলেছে অনেক । ৩৫-৪০ বছর বয়স পর্যন্ত নিজ খরচে পড়ালেখা করা মধ্যবিত্তের ছেলেদের পক্ষে সম্ভব না । সুতরাং তারা অন্য দিকে ঝুঁকবে । ইতোমধ্যেই মেডিকেল কলেজগুলোতে মেয়েদের সংখ্যা শতকরা ষাট ভাগ হয়ে গেছে । ছেলেরা অন্য পথ ধরছে । এখানে সেখানে গড়ে উঠছে মেডিকেল কলেজ । প্রতিবছর কয়েক হাজার ডাক্তার বের হচ্ছে কিন্তু তারা যাবে কোথায় ? উপরি হিসেবে আছে নিরাপত্তাহীনতা । বঙ্গদেশে কোনকিছু সহজে পাওয়া গেলে তার দাম থাকে না । যখন তন্ন তন্ন করে খুঁজে ডাক্তার পাওয়া যেত না তখন ডাক্তারের খুব দাম ছিল নাম ছিল । এখন চাইলে আশেপাশে কোথাও না কোথাও ডাক্তার পাওয়া যায় । এখন আর মানুষ টাইফয়েড ডায়রিয়ায় মরে না । সেজন্য ডাক্তারের মানও কমে গেছে মানুষের কাছে । যদিও এখনো ডাক্তারি পেশা মোস্ট ওয়ান্টেড প্রফেশন । কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে সামনে আর তা থাকবেনা । বাঙালি ডান্ডাকে সমীহ করে , বিনয়কে নয় । ডাক্তারদের হাতে তো কোন ডান্ডা থাকেনা , ডান্ডা থাকে কন্সটেবলের হাতে । সুতরাং কন্সটেবলই বস্ । এছাড়া বানিজ্যিক ভাবে, ভর্তি পরীক্ষায় দশ মার্ক পাওয়া ছাত্রকেও যখন টাকার বিনিময়ে কোন কোন মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়েছে তখন ডাক্তারদের একটা অংশের কোয়ালিটি প্রশ্নবিদ্ধ হবেই । এছাড়া আছে ছাত্র রাজনীতি । মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের একটা অংশ তথাকথিত ছাত্র রাজনীতির নামে জ্বালাও পোড়াও করছে , পিটিয়ে ছাত্র হত্যা করছে । ডাক্তার হিসেবে এদের কাছ থেকে জাতি কী আশা করবে ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন