এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০১৩

জয় বাংলা

গতকাল থেকে শুভর নতুন নাম হয়েছে ‘কয়েদী’ ।
বিচার শেষ হয়ে সাজাপ্রাপ্ত হবার আগ পর্যন্ত বলা হয় ‘হাজতী’ , আর বিচার হয়ে সাজার রায় ঘোষণা হলে তখন বলা হয় ‘কয়েদী’ ।
জেলখানায় কয়েদীদের জন্য আলাদা সেল ।

গতকাল জেলা জজ কোর্টে রায় ঘোষণা হয়েছে – যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড । কোর্টে মা বাবা , বোন দুলাভাই সবাই এসেছিল । রায় ঘোষণার পর কোর্টরুমে কান্নার রোল উঠেছিল । শুভ কারোদিকে তাকায় নি । এখন কোনকিছুই তাকে তেমন একটা স্পর্শ করে না । তবু সেসময় তার ভেতরটা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছিল । মায়ের মুখের দিকে তাকালে হয়তো নিজেকে সামলাতে পারতো না । পুলিশ হেফাজতে থেকে এভাবে কান্নাকাটি করা শোভা পায় না । একজন খুনির জন্য তো নয়ই ।

শুভকে দেয়া হয়েছে বাগানের মালির কাজ । আজই সে প্রথম বাগানে এসেছে । জেলখানার ভেতরেও যে বাগান আছে সে জানতো না । বাগানে ফুলের গাছও আছে কয়েকটা । ঘাসের ওপর পা ছড়িয়ে বসে বসে অনেক কথাই মনে পড়ছিল শুভর । এতদিনে তার ডাক্তার হয়ে যাবার কথা ছিল । কথা ছিল অন্যদের মত করে একটা সুন্দর স্বাভাবিক জীবন যাপন করার । অথচ সে এখন একজন ‘কয়েদী’ ।
খুনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত । পত্রিকায় তার ছবিসহ সংবাদ ছাপা হয়েছে – ‘মেধাবী মেডিকেল ছাত্র আবির হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড’ ।

কোনদিন কাউকে খুন করবে – কস্মিনকালেও ভাবেনি শুভ । কিন্তু কীভাবে কী হয়ে গেল । ২০০৯ সালে যখন সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয় , তখন নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে । সরকারী দলের ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসে মিছিল দেয় । প্রথম প্রথম সে মিছিলে যেত না । রাজনীতিতে জড়াবে না , এমনটাই কথা ছিল । কিন্তু বেশিদিন আর ওভাবে থাকতে পারেনি । বড় ভাইরা হোস্টেলে আসে । কারা কারা মিছিলে যায় নাই – লিস্ট করে । সবাইকে ডেকে বসায় । গরম গরম বক্তৃতা দেয় । ‘মৌলবাদীদের রুখতে হবে । স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখতে হবে । ক্যাম্পাসে মৌলবাদীদের মিছিলে এত ছাত্র আসে কোত্থেকে ? ওরা এই দেশের শত্রু । আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে’ ।

বন্ধুরা অনেকেই এখন ঠোঁটে সিগারেট লাগিয়ে ঘোরে । রাত বিরাতে ক্যাম্পাসে যায় । কেউ কেউ সিগারেটের ধাপ পার করে গাঁজা ধরেছে । বড় ভাইরা ‘শরাব’ খায় । ওগুলো দামি জিনিস, জুনিয়রদের দেয়া হয়না । গাঁজা স্টেজ পার হলে তখন দুইএক চুমুক দিতে দেয়া হয় ।

ধীরে ধীরে একসময় শুভর ঠোঁটেও ‘বেনসন’ ওঠে । শুভও মিছিলে যায় । তার গলা ভালো । বড় ভাইরা তাকে মিছিলে লিড দিতে বলে । শুভর কন্ঠ গর্জন করে ওঠে – ‘জয় বাংলা’ ।
মাঝে মাঝে বিরোধী সংগঠনের ছেলেদের ধরে আনা হয় ‘টেন্টে’ ।
উত্তম মধ্যম দেয়া হয় । প্রথম প্রথম শুভর খারাপ লাগত । ক্লাসফ্রেন্ড, জুনিয়র, সিনিয়র – যাদের সাথে পাশাপাশি রুমে থাকে, দিন রাত দেখা হয় – শুধু মাত্র মতপার্থক্যের জন্য এভাবে পেটানো হবে কেন ?

মিছিলে লিড দিতে দেখে অনেকেই তখন শুভকে তোয়াজ করা শুরু করে দিয়েছিল । শুভর নিজেকে নেতা নেতা লাগে । কমিটিতে তাকে একটা পদও দেয়া হয় । শুভ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়ে । এখন মিছিলে শুভর কন্ঠ আরো জোরে শোনা যায় । ‘একটা একটা কৈরা ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’ ।  ‘সকাল বিকাল নাস্তা কর’ ।
রক্তে আগুন জ্বলে ওঠে । এসময় কাউকে পেলে যেন সত্যি সত্যিই জবাই করে দেয়া যায় ।

শুভ বুঝতে পারে, বিরোধী ছেলেদের গায়ে হাত তোলাটা একটা ক্রেডিট । যে যত নিষ্ঠুরভাবে পেটাতে পারবে ‘জয় বাংলা’র প্রতি তার ভালোবাসা তত বেশি । সংগঠনের প্রতি তার ডেডিকেশন তত বেশি । মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তার ভেতর ততটাই পোক্ত । সামনের কমিটিতে সে আরো ভাল পদ পাবে । কমিটি গঠনের আগের দিনগুলোতে বিরোধী ছাত্রদের ওপর কড়া নজর রাখা হয় । সেই সময়টা নিজের যোগ্যতা দেখানোর সময় । বিরোধী ছাত্রদের ধরে এনে মারতে হবে । হাত পা ভেঙ্গে দিতে হবে । যত বেশি ইনজুরড করা হবে তত বেশি ক্রেডিট ।
পরবর্তী তিন বছরে শুভ একাই ১০ জনকে পিটিয়েছিল । এর মধ্যে হাত ভেঙ্গেছে ৪ জনের । গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ৭ জন । তরতর করে উপরে উঠতে থাকে শুভ ।

মূল দলের স্থানীয় এক নেতার বাসায় তাদের যাতায়াত ছিল । আ.স.ম বছির ভাই । বছির ভাই অভয় দিতেন । ‘যা পারিস করবি, বাকিটা আমি দেখবো । থানা পুলিশ আমার পকেটে । আমি যা বলবো তাই হবে’ ।

কাউকে পেটানোর পর তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেও দেয়া হত না । পারলে কোন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিক । গার্জিয়ানকে শাসিয়ে দেয়া হত । ‘বেশি কথা বললে আপনার ছেলেকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেব না’ ।
দুই একজন গার্জিয়ান প্রিন্সিপালের সাথে যোগাযোগ করেছিল । খবর শুনে তো শুভদের আড্ডায় সেদিন ‘চিয়ার্স’ করা হয়েছিল । বেকুবের বেকুব গার্জিয়ান । প্রিন্সিপাল কলিম জাহাঙ্গীর তো বছির ভাইয়ের খাস লোক । বছির ভাইয়ের অনুমতি ছাড়া উনি কিছুই করবেন না । একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকেও বছির ভাইয়ের ইচ্ছার বাইরে কোন সিদ্ধান্ত হতে দেননা কলিম জাহাঙ্গির স্যার ।

জীবনটা ভালোই চলছিল । সপ্তাহে একদিন ক্যাম্পাসের আশেপাশের দোকানপাট থেকে চাঁদা তোলা হয় । বোতল কেনা হয় । বৃহস্পতিবার রাতে ভালো খাওয়া দাওয়া হয় । ১২ টার পর ‘পানি’ গেলা হয় । ক্যানাবিস ফোঁকা হয় । গাঁজার বৈজ্ঞানিক নাম ক্যানাবিস ইন্ডিকা । গাঁজা বললে কেমন শোনায় । তাই ক্যানাবিস বলা হয় । সাউন্ড বক্সে হাই ভলিউমে গান বাজে । মনে হয় পৃথিবীতে আর কেউ নেই । শুধু আমি আছি । আমি একাই এই পৃথিবীর সম্রাট । আমিই সব ।

ততদিনে হাত পেকে গিয়েছিল শুভর । এখন আর কাউকে পেটানো, চাপাতি দিয়ে কোপানোতে কিছু মনে হয় না । বরং অন্যরকম আনন্দ লাগে । মারের সাথে সাথে যখন চিৎকার করে ,ও মাগো-বাবাগো করে তখন শুভ খিস্তিখেউর করে । বাবাকে ডেকে লাভ কি ? আমিই তোর বাবা । আমিই তোর দুলাভাই । বাকিরা অট্টহাসি দেয় ।

এখন শুভ নিজেই বক্তৃতা দেয় । জুনিয়রদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে । তাদের সংগঠনের বিরোধী সবাইকে চিহ্নিত করে স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে । স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশের শত্রু । সরকার বিরোধী সবাই দেশের শত্রু । তারা দেশকে পাকিস্তান বানাতে চায় । বিরোধী সংগঠনের ছাত্ররা একেকজন পাকিস্তানি সৈন্য । মুক্তিযোদ্ধাদের মত প্রয়োজনে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে হবে । ওদের খতম করতে হবে । ওরা সবাই রাজাকার । রাজাকার ইস্যুতে, মানবতা মুছে ফেল টয়লেট টিস্যুতে ।

জুনিয়ররাও নিজেকে একেকজন মুক্তিযোদ্ধা ভাবে । ইসলাম, জাতীয়তাবাদ এসব শব্দ শুনলেই লাফিয়ে ওঠে । ‘জয় বাংলা’ বলে চাপাতি হকিস্টিক হাতে ঝাপিয়ে পড়ে ।
সিনিয়রদের মধ্যে মফিজ ভাই, রুমন ভাই নেতৃত্ব দেয় । নির্দেশ দেয় । উপরমহলে যোগাযোগ  তারাই মেইনটেইন করে । রুমন ভাই সভাপতি ।

খুনটা হবার পর মৌলবাদীরা আন্দোলন করেছিল । শুভরা সেদিন বছির ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিল । ছাত্রছাত্রীদের মিছিলে শ্লোগানে ক্যাম্পাস উত্তাল । বছির ভাই প্রিন্সিপালের সাথে বারবার আলোচনা করছেন । প্রিন্সিপাল জানালেন , একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং করতে হবে । খুনের সাথে জড়িত সবাইকে বহিস্কারের দাবি করছে ছাত্রছাত্রীরা । অনেকেই কান্নাকাটি করছে । কী করা যায়, বছির ভাই যেন তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত জানান । বছির ভাই শুভদের সাথে আলোচনা করলেন । প্রিন্সিপালকে জানিয়ে দিলেন , স্টুডেন্টদের কোনভাবে বুঝিয়ে সুঝিয়ে হোস্টেলে পাঠান । তারপর কলেজ বন্ধ করে দেন ।
রাতেই সংবাদ পাওয়া গেল , বছির ভাইয়ের কথামত কাজ হয়েছে ।

অনেকদিন বন্ধ রেখে মন্ত্রী এমপিদের মাধ্যমে থানায় নির্দেশ দিয়ে পুলিশ  প্রহরায় ক্যাম্পাস খোলা হয়েছিল । মামলাটাও অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল । কিন্তু আবার সরকারের পরিবর্তন হলো । বিচারকাজ শুরু হলো । সবাই পালিয়ে গেল । শুভও পালিয়েছিল । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । এখন বছির ভাইও আর কোন খবর নেননা । তার কোন ক্ষমতা নাই ।

শুভ ভাবে- কত ভুলের মধ্যে সে ছিল । তাদের দলের বিরোধী মানেই স্বাধীনতা বিরোধী নয় – এখন সে এটা ভালোভাবেই বুঝতে পারে । মাঝে মাঝে সে জেল লাইব্রেরি থেকে দুয়েকটা বই এনে পড়ে । বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার আসল শত্রু ভুট্টোর হাতে চুমু খেয়েছেন , লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়েছেন । বঙ্গবন্ধু কন্যা রাজাকারের পরিবারের সাথে আত্মীয়তা করেছেন । আরো কত কিছু জানতে পারে । অথচ শুভরা কী না করেছে ! নিজের বয়সী, জুনিয়র ছেলেপেলেদের স্বাধীনতাবিরোধী ভেবে , রাজাকার ভেবে খুন করার জন্য উন্মত্ত হয়ে পড়েছিল । নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা ভেবেছিল । হায় । সেসব দিন যদি আবার ফিরে পেত, তাহলে সে ভুলগুলো আর করতো না । কিন্তু সে সুযোগ আর কোনদিন হবে না । শুভ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে । এছাড়া এখন তার কিছুই করার নেই ।
.............................................

খুনের ঘটনাটা সে স্মরণ করতে চায় না । চেষ্টা করে ভুলে থাকতে । একটা তরতাজা জীবন নিজ হাতে শেষ করে দিয়েছে , একটা পরিবারের স্বপ্ন ধুলিস্যাত করে দিয়েছে- ভাবতেই গা শিউরে ওঠে । মাথাটা চক্কর দেয় । কিন্তু একটু একা হয়ে পড়লেই সেই দিনগুলো যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে ।

কয়েকদিন থেকে লাইব্রেরিতে , হোস্টেলের বিভিন্ন স্থানে জাতীয়তাবাদী সংগঠনের নাম লেখা দেখা যাচ্ছিল । জাতীয়তাবাদী সংগঠন এখন ক্যাম্পাসে নাই । রুমন ভাই , মফিজ ভাই খুব চিন্তিত এ নিয়ে । বৈঠকে বলে দিয়েছেন- কে এই কাজ করছে খুঁজে বের করতে হবে । সম্ভবত ওরা আবার সংগঠিত হবার চেষ্টা করছে ।
এর পেছনে কে আছে খুঁজে দেখতে হবে । ধরা পড়লে তার খবর আছে । সভাপতি  রুমন ভাইয়ের স্পষ্ট নির্দেশ – ধরে এনে হাড্ডি গুড়াগুড়া করে দিবি ।
প্রায় দুই সপ্তাহের খোঁজাখুঁজিতে মোটামুতি নিশ্চিত হওয়া গেল- আবির এই কাজ করছে । সেদিন সকাল বেলা একটা কনফার্ম খবর এল আবিরের ব্যাপারে । সেই চেষ্টা করছে জাতীয়তাবাদীদের সংগঠিত করার । রুমন ভাই নির্দেশ দিলেন- অরে ধইরা আন । শুয়োরের বাচ্চা একটা স্বাধীনতাবিরোধী । রাজাকার ।

জানা গেল আবির পরীক্ষা দিচ্ছে । শুভসহ কয়েকজন গিয়ে পরীক্ষার হলের সামনে দাঁড়িয়ে রইলো । বের হওয়া মাত্রই আবিরকে ধরে হোস্টেলে নিয়ে গেলো তারা । সবাই মিলে পেটাতে লাগলো ইচ্ছেমত । কয়েকদিন পরেই নতুন কমিটি গঠন করা হবে । এখন সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি ডেডিকেশন দেখানোর । ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে রড-চাপাতি-রামদা দিয়ে সবাই মিলে পেটালো অনেকক্ষণ । ব্যাটা তোর জাতীয়তাবাদ পুক্টি দিয়া ঢুকাই দিমু । জাতীয়তাবাদ মাড়াইতে আসছে । নে জাতীয়তাবাদ নে । খা ।
চিৎকার করতে করতে একসময় নেতিয়ে পড়লো আবির । সারা শরীর থেতলে গেছে । রুমন ভাই ভয় পেয়ে গেলেন । অই হইছে । আর মারিছ না । মইরা গেলে বিপদে পড়মু । এখন এক কাজ কর । অরে বাড়িতে পাঠায় দে ।
কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি । সন্ধ্যার কিছু পরেই খবর পাওয়া গেল , আবির আর নেই ।

শুভ আর ভাবতে পারে না । তার মাথা ঝিম ঝিম করছে ।  মুখে থুথু জমেছে । থুথুগুলো বিষাক্ত লাগছে । সেদিন আবিরের মুখে থুথু দিয়েছিল সে । এখন মনে হচ্ছে সেই থুথুগুলো এসে মুখে জমা হয়েছে ।
মাথাটা টনটন করছে । চোখের সামনে একবার জয় বাংলা , একবার আবিরের মুখ ভেসে উঠছে । অসহ্য বোধ হচ্ছে শুভর । মুক্তিযুদ্ধের ‘জয় বাংলা’ আর এই ‘জয় বাংলা’ এক না ।  জয় বাংলা শ্লোগানকে কীভাবে অপব্যবহার করা হয়েছে সে নিজে তার সাক্ষী । তার ঘৃণা জন্মে গেছে । আর কখনো সে ঐ স্লোগান দেবে না ।
থুঃ ।  থুথু ফেললো শুভ । কয়েক ফুট সামনে গিয়ে পড়লো । নিজের থুথুর দিকে তাকিয়ে শেষবারের মত সে চিৎকার করে উঠল-
‘জয় বাংলা’ ।

-        জয় বাংলা / ০২-০৭-২০১৩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন