ইদানিং অনেককেই নারীবাদী লেখা
লিখতে দেখা যায় । গড়ে উঠেছে নারীবান্ধব ব্লগও । এগুলোতে নারীদের ব্যাপারে
সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে দেখা যায় লেখিকাদের । এবং
অবধারিতভাবে শেষমেষ পুরুষ জাতের ওপর দোষ চাপিয়ে আক্রোশ ঝাড়া হয় । (এটাকে
আমি মেয়েলী স্বভাবের স্বাভাবিক প্রকাশ হিসেবে দেখি)
মেয়েরা সচেতন হোক, নিজেরা নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলুক, আদায় করুক এটা আমি ভালোভাবেই চাই। কিন্তু সেই সাথে যে প্রশ্নটির দিকে নজর ফেরাতে বলি সেটা হলো , তীর ছোড়ার আগে নিশ্চিত হতে হবে 'মেয়েদের শত্রু কে?'
চর্মচক্ষে পুরুষকেই শত্রু মনে হতে পারে। সেজন্য হাত পা ছোড়াছুড়ি করা হয় পুরুষদের উদ্দেশ্যেই ।(আমার ছোটবোনকে দেখতাম কান্নাকাটি করার আগে হাত পা ছোড়াছুড়ি করতে)
কিন্তু আমি বলি মেয়েদের শত্রু মেয়েরাই । পুরুষ নয় ।
প্রথম কথায় আসি গায়ের রঙ নিয়ে । এ ব্যাপারে নারীবাদি লেখিকাদের অভিযোগ, পুরুষরা গায়ের রঙ কে বেশি গুরুত্ব দেয় । তারা 'আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী' নীতিতে বিশ্বাসী ।
বাস্তব কী বলে ? বাস্তবে দেখা যায়, বাড়ির বউয়ের চামড়ার রঙ নিয়ে স্বামী শ্বশুড় কারো বিকার নেই , যত গঞ্জনা খোটা আসে শাশুড়ী-ননদ-জা-প্রতিবেশি মহিলাদের কাছ থেকে । অমুকের বউটা কালো বা শ্যামলা এ নিয়ে পুরুষদের কথা বলতে দেখা যায়না । জটলা পাকাতে দেখা যায় পাড়ার মহিলাদেরকে ।
স্বামীর কোন খেদ নাই, যত খেদ শাশুড়ী ননদ দের মনে ।
অনেক রাজপুত্রের মত সুন্দর ছেলেকে (আমার ভাই বেরাদার কাজিনদের মধ্যে যারা বেশি সুন্দর তাদের বউ কালো/শ্যামলা) কালো বউ নিয়ে সুখে থাকতে দেখছি । অসুখী কে ? অসুখী হলো চাচী খালা নানী দাদীরা ।
কালো মেয়েদের যদি বিয়ে না হত তাহলে তো কালো মেয়েরা সবাই অবিবাহিত থেকে যেত । তেমনটা হয়েছে কি ? তাহলে আর ছেলেদের দোষারোপ কেন ?
ছেলেদের কার কোন্ গুণ ভালো লাগে বলা মুশকিল । কিন্তু বাজারে উজ্বল চকচকে কাপড়ের দিকে নজর বেশি দেয় মেয়েরাই । ছেলেরা ফুটপাত থেকে টিশার্ট কিনেই দিনের পর দিন কাটিয়ে দেয় । তারা টেকসই ব্রান্ডের জিনিস কেনে ।
খালার বাসায় দেখেছিলাম সুন্দর হাতের কাজ করে ওয়ালম্যাট বানিয়ে টাঙিয়েছে খালাতো বোন ।
'জাতের মেয়ে কালোও ভালো, নদীর জল ঘোলাও ভালো।'
কালো মেয়েকে নদীর ঘোলা জলের সাথে তুলনা কে করেছে ? এটা তো মেয়েদের নিজস্ব হীনম্মন্যতা । ছেলেরা কেউ তো বলেনি !
কালো মেয়েকে বাবা মায়েরা একটু বেশিই আদর করেন । ভাবেন, পরের বাড়িতে মেয়েটাকে কী গঞ্জনা সইতে হয় কে জানে ? আগেই বলেছি, সেই গঞ্জনা কে দেয় ? 'ও বাড়ির' শাশুড়ী ননদেরা । স্বামী বেচারা নয় । ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে গেলে যদি কালো বা শ্যামলা হয় , কে আগে ভেটো দেয় ? মা অথবা বোন । বাবা, ভাইয়েরা নয় । (তা যত বড় ইসলামপন্থি নেত্রী বুজুর্গ রাবেয়া বসরীই হোন না কেন এই ব্যাপারে সব শিয়ালের এক রা ।)
ছেলের জন্য একটা লাল টুকটুকে বউ আনার গল্প ছোটবেলা থেকে কে শোনায় ? নিশ্চিত করে বলতে পারি, বাবারা শোনায় না ।
সৌন্দর্যের প্রতি আকর্ষণ দোষেরও নয় । মেয়েরা কি চায়না তার স্বামীটা সুন্দর স্মার্ট হোক ? মেয়ের বাপ দেখে ছেলের এস্টাবলিশমেন্ট , টাকা পয়সা । মেয়ে কী দেখে ? মেয়ে তো বাবার সাথে পুরোমাত্রায় একমত , সেই সাথে তাদের চাই সুন্দর স্মার্ট ছেলে । কে অস্বীকার করতে পারবে ?
আর মেয়ে যদি একটু সুন্দর হয় তাহলে তার দাম বেড়ে যায় অথবা বাড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকগুণ । মেয়ের মা বলবেন, আমার মেয়ে লাখে একটা । যার তার হাতে দেবো কেন ? মেয়ে কি ভাইসা আসছে ?
ওয়েল । আসি দ্বিতীয় ব্যাপারে । ইসলামে পিতা মাতা ও স্বামীর সম্পত্তিতে নারীর উত্তরাধিকার স্বীকৃত । যথাযথভাবে এই অধিকার দেয়ার ব্যাপারে পুরুষদের গাফলতি আছে । এ ব্যাপারে আমি আগেই লিখেছি (http://goo.gl/iJHWnX) । কিন্তু নারীদের ভূমিকা কী? ননদ যদি তার সম্পত্তির দাবি তোলে তাহলে প্রথমেই গর্জে ওঠে ভাইয়ের বউরা । তারা ননদকে বাঁকা চোখে দেখে । ভাই যদি বোনকে তার অধিকার বুঝিয়ে দিতে চায়, প্রথম বাধা আসে বউয়ের কাছ থেকে । যে ননদ তার প্রাপ্য সম্পত্তি নিয়ে যায়, বাবার বাড়িতে তার কদর কমে যায় । আর এসবের মূলে থাকে ঐ 'মেয়েরাই' । ভাইয়ের সাথে বোনের সম্পর্ক থাকে ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের সম্পর্কের চেয়ে বেশি গভীর । ভাই চায় বোনের খুশি । চায়না কে ? চায়না ভাইয়ের বউ ! একই মেয়ে নিজে তার ননদের কাছে যেরকম ব্যবহার আশা করে, নিজের ননদের সাথে তেমন ব্যবহার করেনা । একই নারী তার মেয়ের শ্বশুড় বাড়িতে যেমন আচরণ আশা করে, নিজের ছেলের বউয়ের সাথে তেমন ব্যবহার করেন না । একই মেয়ে তার ভাবি দের কাছে যেমন আচরণ আশা করে, নিজের ননদের সাথে তেমন আচরণ করেনা ।
অনেকটা শর্ট সাইটেড এবং আত্মকেন্দ্রিক, ক্ষুদ্র গন্ডিতে আবদ্ধ চিন্তাভাবনা তাদের । একটা স্বামী, দুটো বাচ্চা আর চার রুমের একটা বাসাকেই তাদের পৃথিবী বানিয়ে ফেলে । সমস্ত চিন্তাভাবনা ঘুরপাক খায় পনেরশ স্কয়ার ফিটের ভেতর । দুজন বান্ধবীর দেখা হলে আলোচনার নব্বই ভাগ জুড়ে থাকে শাড়ী গয়না বাচ্চা শ্বশুড় শ্বাশুড়ী আর পাশের ফ্ল্যাটের ভাবী । এর কথা তাকে লাগানোতে জুড়ি নেই নারীদের । সে তুলনায় ছেলেদের চিন্তাভাবনা অনেক ব্রড । উদারতা, পারস্পরিক সহযোগিতা ছেলেদের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য । এক্সেপশন মে নট বি আন এগজাম্পল ।
তো সেজন্য পুরুষদের উদ্দেশ্যে ক্ষোভের বয়ান না দিয়ে নারীদের উচিত্ ঘরের শত্রুকে জানা । আগে নিজেদের ঠিক করা ।
মেয়েরা সচেতন হোক, নিজেরা নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলুক, আদায় করুক এটা আমি ভালোভাবেই চাই। কিন্তু সেই সাথে যে প্রশ্নটির দিকে নজর ফেরাতে বলি সেটা হলো , তীর ছোড়ার আগে নিশ্চিত হতে হবে 'মেয়েদের শত্রু কে?'
চর্মচক্ষে পুরুষকেই শত্রু মনে হতে পারে। সেজন্য হাত পা ছোড়াছুড়ি করা হয় পুরুষদের উদ্দেশ্যেই ।(আমার ছোটবোনকে দেখতাম কান্নাকাটি করার আগে হাত পা ছোড়াছুড়ি করতে)
কিন্তু আমি বলি মেয়েদের শত্রু মেয়েরাই । পুরুষ নয় ।
প্রথম কথায় আসি গায়ের রঙ নিয়ে । এ ব্যাপারে নারীবাদি লেখিকাদের অভিযোগ, পুরুষরা গায়ের রঙ কে বেশি গুরুত্ব দেয় । তারা 'আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী' নীতিতে বিশ্বাসী ।
বাস্তব কী বলে ? বাস্তবে দেখা যায়, বাড়ির বউয়ের চামড়ার রঙ নিয়ে স্বামী শ্বশুড় কারো বিকার নেই , যত গঞ্জনা খোটা আসে শাশুড়ী-ননদ-জা-প্রতিবেশি মহিলাদের কাছ থেকে । অমুকের বউটা কালো বা শ্যামলা এ নিয়ে পুরুষদের কথা বলতে দেখা যায়না । জটলা পাকাতে দেখা যায় পাড়ার মহিলাদেরকে ।
স্বামীর কোন খেদ নাই, যত খেদ শাশুড়ী ননদ দের মনে ।
অনেক রাজপুত্রের মত সুন্দর ছেলেকে (আমার ভাই বেরাদার কাজিনদের মধ্যে যারা বেশি সুন্দর তাদের বউ কালো/শ্যামলা) কালো বউ নিয়ে সুখে থাকতে দেখছি । অসুখী কে ? অসুখী হলো চাচী খালা নানী দাদীরা ।
কালো মেয়েদের যদি বিয়ে না হত তাহলে তো কালো মেয়েরা সবাই অবিবাহিত থেকে যেত । তেমনটা হয়েছে কি ? তাহলে আর ছেলেদের দোষারোপ কেন ?
ছেলেদের কার কোন্ গুণ ভালো লাগে বলা মুশকিল । কিন্তু বাজারে উজ্বল চকচকে কাপড়ের দিকে নজর বেশি দেয় মেয়েরাই । ছেলেরা ফুটপাত থেকে টিশার্ট কিনেই দিনের পর দিন কাটিয়ে দেয় । তারা টেকসই ব্রান্ডের জিনিস কেনে ।
খালার বাসায় দেখেছিলাম সুন্দর হাতের কাজ করে ওয়ালম্যাট বানিয়ে টাঙিয়েছে খালাতো বোন ।
'জাতের মেয়ে কালোও ভালো, নদীর জল ঘোলাও ভালো।'
কালো মেয়েকে নদীর ঘোলা জলের সাথে তুলনা কে করেছে ? এটা তো মেয়েদের নিজস্ব হীনম্মন্যতা । ছেলেরা কেউ তো বলেনি !
কালো মেয়েকে বাবা মায়েরা একটু বেশিই আদর করেন । ভাবেন, পরের বাড়িতে মেয়েটাকে কী গঞ্জনা সইতে হয় কে জানে ? আগেই বলেছি, সেই গঞ্জনা কে দেয় ? 'ও বাড়ির' শাশুড়ী ননদেরা । স্বামী বেচারা নয় । ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে গেলে যদি কালো বা শ্যামলা হয় , কে আগে ভেটো দেয় ? মা অথবা বোন । বাবা, ভাইয়েরা নয় । (তা যত বড় ইসলামপন্থি নেত্রী বুজুর্গ রাবেয়া বসরীই হোন না কেন এই ব্যাপারে সব শিয়ালের এক রা ।)
ছেলের জন্য একটা লাল টুকটুকে বউ আনার গল্প ছোটবেলা থেকে কে শোনায় ? নিশ্চিত করে বলতে পারি, বাবারা শোনায় না ।
সৌন্দর্যের প্রতি আকর্ষণ দোষেরও নয় । মেয়েরা কি চায়না তার স্বামীটা সুন্দর স্মার্ট হোক ? মেয়ের বাপ দেখে ছেলের এস্টাবলিশমেন্ট , টাকা পয়সা । মেয়ে কী দেখে ? মেয়ে তো বাবার সাথে পুরোমাত্রায় একমত , সেই সাথে তাদের চাই সুন্দর স্মার্ট ছেলে । কে অস্বীকার করতে পারবে ?
আর মেয়ে যদি একটু সুন্দর হয় তাহলে তার দাম বেড়ে যায় অথবা বাড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকগুণ । মেয়ের মা বলবেন, আমার মেয়ে লাখে একটা । যার তার হাতে দেবো কেন ? মেয়ে কি ভাইসা আসছে ?
ওয়েল । আসি দ্বিতীয় ব্যাপারে । ইসলামে পিতা মাতা ও স্বামীর সম্পত্তিতে নারীর উত্তরাধিকার স্বীকৃত । যথাযথভাবে এই অধিকার দেয়ার ব্যাপারে পুরুষদের গাফলতি আছে । এ ব্যাপারে আমি আগেই লিখেছি (http://goo.gl/iJHWnX) । কিন্তু নারীদের ভূমিকা কী? ননদ যদি তার সম্পত্তির দাবি তোলে তাহলে প্রথমেই গর্জে ওঠে ভাইয়ের বউরা । তারা ননদকে বাঁকা চোখে দেখে । ভাই যদি বোনকে তার অধিকার বুঝিয়ে দিতে চায়, প্রথম বাধা আসে বউয়ের কাছ থেকে । যে ননদ তার প্রাপ্য সম্পত্তি নিয়ে যায়, বাবার বাড়িতে তার কদর কমে যায় । আর এসবের মূলে থাকে ঐ 'মেয়েরাই' । ভাইয়ের সাথে বোনের সম্পর্ক থাকে ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের সম্পর্কের চেয়ে বেশি গভীর । ভাই চায় বোনের খুশি । চায়না কে ? চায়না ভাইয়ের বউ ! একই মেয়ে নিজে তার ননদের কাছে যেরকম ব্যবহার আশা করে, নিজের ননদের সাথে তেমন ব্যবহার করেনা । একই নারী তার মেয়ের শ্বশুড় বাড়িতে যেমন আচরণ আশা করে, নিজের ছেলের বউয়ের সাথে তেমন ব্যবহার করেন না । একই মেয়ে তার ভাবি দের কাছে যেমন আচরণ আশা করে, নিজের ননদের সাথে তেমন আচরণ করেনা ।
অনেকটা শর্ট সাইটেড এবং আত্মকেন্দ্রিক, ক্ষুদ্র গন্ডিতে আবদ্ধ চিন্তাভাবনা তাদের । একটা স্বামী, দুটো বাচ্চা আর চার রুমের একটা বাসাকেই তাদের পৃথিবী বানিয়ে ফেলে । সমস্ত চিন্তাভাবনা ঘুরপাক খায় পনেরশ স্কয়ার ফিটের ভেতর । দুজন বান্ধবীর দেখা হলে আলোচনার নব্বই ভাগ জুড়ে থাকে শাড়ী গয়না বাচ্চা শ্বশুড় শ্বাশুড়ী আর পাশের ফ্ল্যাটের ভাবী । এর কথা তাকে লাগানোতে জুড়ি নেই নারীদের । সে তুলনায় ছেলেদের চিন্তাভাবনা অনেক ব্রড । উদারতা, পারস্পরিক সহযোগিতা ছেলেদের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য । এক্সেপশন মে নট বি আন এগজাম্পল ।
তো সেজন্য পুরুষদের উদ্দেশ্যে ক্ষোভের বয়ান না দিয়ে নারীদের উচিত্ ঘরের শত্রুকে জানা । আগে নিজেদের ঠিক করা ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন