এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

বিএসএফ এর কাছে বিজিবির প্রশিক্ষণ?

জঙ্গলের এই অংশের নাম বঙ্গা। এই অংশের বেশিরভাগ অধিবাসী ছাগল ও মুরগী। ছাগলগুলো বেশিরভাগই বেঙ্গল জাতের। অল্প কিছু বড় ছাগল আছে , এরা রামছাগল। এরা অন্য ছাগল ও মুরগীদের শাসন করে। মাঝে মাঝেই বোকা মুরগীগুলো গ্রামের সীমানায় চলে যায়। আর ইন্ডার হিংস্র কুকুরের হাতে মারা পড়ে। ইন্ডা হলো বঙ্গার পাশের এলাকা। ঐ এলাকায় কুকুরদের বাস। ইন্ডা শাসন করে নেকড়েরা। প্রতি বছর কয়েকশ মুরগী মারা যায় কুকুরদের হাতে। বিশেষ করে ইন্ডা সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর কুকুরদের হাতে।

বঙ্গা এলাকাটা ছোট। কিন্তু এই এলাকাটাকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছেনা ইন্ডা। বঙ্গার ছাগলদের ভেতর আছে ইন্ডার চর। তারা বঙ্গার খবরাখবর ইন্ডাতে পাচার করে। বঙ্গার রামছাগলগুলোর সাথে ইন্ডার নেকড়েগোষ্ঠির নাকি ভালো সম্পর্ক। অবশ্য এই সম্পর্ক পুরোটাই একতরফা। বঙ্গার রামছাগলগুলো শুধু দিয়েই যায়, ইন্ডার নেকড়েদের কাছ থেকে বিনিময়ে কিছুই পায়না। সামান্য পানিও নয়। আর বেঙ্গল জাতের ছাগলগুলো এই ব্যাপারে কোনরকম ম্যা ম্যাও করেনা। মুরগীরাও কুক কুরু কু করেনা।

বঙ্গা এলাকার মুরগিগুলোকে ইন্ডার কুকুরদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে সীমানার দিকে কিছু প্রশিক্ষিত ছাগলকে বিশেষভাবে পাহারায় রাখা হয়েছে বহুদিন ধরে। যদিও এতে খুব একটা ফল হচ্ছেনা। ছাগলরা ইন্ডা থেকে চোরাচালানি বন্ধ করতে পারছেনা।

সম্প্রতি দৈনিক 'ছাগল সমাচার' পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, সীমান্ত রক্ষী প্রধান ছাগল জানিয়েছে, বঙ্গার সীমান্ত প্রহরী ছাগলগুলোকে ইন্ডার কুকুরদের কাছে প্রশিক্ষণ নিতে পাঠানো হবে, কীভাবে মুরগি পাহারা দিতে হয়!
এই খবর পেয়ে বঙ্গার মুরগিগুলো যারপরনাই খুশি!

খবরঃ বিএসএফ এর কাছে প্রশিক্ষণ নিতে যাবে বিজিবি ! (সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ২৬ আগস্ট)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন