এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

জাফর ইকবাল বিরক্তিকর হয়ে উঠছেন

অধ্যাপক জাফর ইকবাল সাধাসিধে কথা নামে কলাম লেখেন । এতে প্রায়ই তিনি রাজনীতির নানা প্রসংগে মন্তব্য করেন । করতেই পারেন, দেশের যেকোন সচেতন নাগরিকের অধিকার আছে তার নিজস্ব চিন্তাধারা বা মতপ্রকাশের । সমস্যাটা হচ্ছে, রাজনীতির কথা বলতে গেলে স্পষ্ট করে বলতে হয় । কিন্তু তিনি কথা বলেন ইনিয়ে বিনিয়ে । রাজনীতি বিষয়ে লেখার আগে লেখেন, আমি রাজনীতি বুঝিনা । আমার কথাকে কেউ গুরুত্ব দিয়ে নেবেনা । এরপর তার রাজনীতি বিষয়ক বক্তব্য পেশ করেন । তিনি ইতিহাস নিয়ে লেখার আগে মাথা চুলকিয়ে বলেন, আমি ইতিহাসবিদ নই । আমি ইতিহাস জানিনা । এরপর তিনি ইতিহাস লেখেন ।
রাজনীতি নিয়ে তিনি যাই লেখেন, ইনিয়ে বিনিয়ে শেষে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রশংসা করেন । গনতন্ত্র মানবাধিকার চুলায় যাক । তিনি ছাত্রদল শিবিরের উদ্দেশ্যে নসিহত করেন কিন্তু ছাত্রলীগের খুন ধর্ষণ রাহাজানি চুরি ডাকাতি অপহরণ চাঁদাবাজি নিয়ে নিরুদ্বেগ । কখনো তার কাছে পাওয়া যায়না, তোমরা যারা ছাত্রলীগ করো ।
তিনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না । মাহমুদুর রহমানের ক্ষুরধার কলামের মোকাবেলা করতে না পেরে তিনি তাকে গ্রেপ্তারের সমর্থন করেন । সারাবিশ্ব ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনকে হাস্যকর বললেও তিনি এটাকে সমর্থন করেন । একে খন্দকারের বই সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি ইনিয়ে বিনিয়ে প্রকাশককে দোষারোপ করেন । অথচ নাবালকও জানে যে লেখকের ইচ্ছা অনুমতি ছাড়া কেউ লেখা প্রকাশ করতে পারে না ।
সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপারটা হচ্ছে তিনি নিজে মুক্তিযুদ্ধে না যাওয়ার গ্লানি ঢাকার জন্য তেরো দিনের যুদ্ধের গল্প ফেঁদেছেন । ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলাটা শিশুদের জন্য মনোরঞ্জক হতে পারে, কিন্তু শিশুরা রাজনীতি নিয়ে ভাবেনা । বড়দের কাছে একজন বড় মানুষের ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলা যথেষ্টই বিরক্তির উদ্রেক করে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন