কুরআনুল কারীমেও
নারী নেতৃত্বের একটি উদাহরণ আছে । হযরত সুলাইমান(আঃ) এর সময়কার একটি রাষ্ট্র
‘সাবা’র শাসক বিলকিস ও তাঁর ঘটনা । ইয়েমেনের পাশের এলাকাটি ছিল সাবা । ইতিহাসে
সাবার রাণীর নাম পাওয়া যায়- ‘বিলকিস বিনতে শারাহীল’ ।
সূরা আন-নামলের
আয়াত ২০-৪৪ এ বর্ণিত হয়েছে ‘সাবা’র রাণী বিল্কিস এবং হযরত সুলাইমান(আঃ) এর ঘটনা ।
(পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু)
২০) (আর একবার) সুলাইমান পাখিদের
খোঁজ-খবর নিলো । এবং বললো, “কি ব্যাপার, আমি অমুক হুদহুদ পাখিটিকে দেখছিনা যে! সে কি
কোথাও অদৃশ্য হয়ে গেছে?
২১) আমি তাকে কঠিন শাস্তি দেবো অথবা জবাই করে ফেলবো, নয়তো তাকে আমার কাছে যুক্তিসংগত কারণ দর্শাতে
হবে৷”
২২) কিছুক্ষণ অতিবাহিত না হতেই সে এসে
বললো, “আমি এমন সব তথ্য লাভ করেছি যা আপনি জানেন না৷ আমি সাবা সম্পর্কে নিশ্চিত সংবাদ নিয়ে এসেছি ।
২৩)
আমি সেখানে এক মহিলাকে সে জাতির
শাসকরূপে দেখেছি৷ তাকে সবরকম সাজ সরঞ্জাম দান করা হয়েছে এবং
তার সিংহাসন খুবই জমকালো ৷
.
২৪) আমি তাকে ও তার জাতিকে আল্লাহর পরিবর্তে সূর্যের সামনে
সিজদা করতে দেখেছি , শয়তান
তাদের
কার্যাবলী তাদের জন্য শোভন করে দিয়েছে এবং
তাদেরকে সঠিক
পথ থেকে বিচ্যুত করে দিয়েছে এ কারণে তারা সোজা পথ পায় না৷
(এ
জন্য ) যাতে তারা সেই আল্লাহকে সিজদা না করে যিনি আকাশ ও পৃথিবীর গোপন জিনিসসমূহ বের করেন । এবং তিনি সবকিছু জানেন
যা তোমরা গোপন করো ও প্রকাশ করো৷
২৬)
আল্লাহ, ছাড়া
আর কেউ ইবাদতের হকদার নয় তিনি মহান আরশের মালিক৷
২৭)
সুলাইমান বললো: “এখনই
আমি দেখছি তুমি সত্য বলছো অথবা
মিথ্যাবাদীদের অন্তরভুক্ত৷
২৮)
আমার এ পত্র নিয়ে যাও এবং
এটি তাদের প্রতি নিক্ষেপ করো,
তারপর সরে থেকে দেখো তাদের মধ্যে কি প্রতিক্রিয়া হয়৷”
২৯)
রাণী বললো, “হে
দরবারীরা! আমার প্রতি একটি বড়
গুরুত্বপূর্ণ পত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে৷
.
৩১) বিষয়বস্তু
হচ্ছে: “আমার
অবাধ্য হয়ো না এবং মুসলিম হয়ে আমার কাছে হাজির হয়ে যাও৷”
৩২)
(পত্র শুনিয়ে) রাণী বললো, “হে
জাতীয় নেতৃবৃন্দ! আমার উদ্ভুত সমস্যায় তোমরা পরামর্শ দাও ৷ তোমাদের বাদ দিয়ে তো আমি
কোন বিষয়ের ফয়সালা করি না৷”
৩৩)
তারা জবাব দিল, “আমরা শক্তিশালী
ও যোদ্ধা জাতি, তবে
সিদ্ধান্ত আপনার হাতে, আপনি
নিজেই ভেবে দেখুন আপনার
কি আদেশ দেয়া উচিত৷
৩৪)
রাণী বললো, কোন
বাদশাহ যখন কোন দেশে ঢুকে পড়ে তখন তাকে
বিপর্যস্ত করে এবং সেখানকার মর্যাদাশালীদের লাঞ্ছিত করে এ
রকম কাজ করাই তাদের
রীতি৷
৩৫)
আমি তাদের কাছে একটি উপঢৌকন পাঠাচ্ছি তারপর দেখছি তোমার দূত কি জবাব নিয়ে ফেরে৷”
.
৩৬) যখন সে (রাণীর দূত) সুলইমানের কাছে পৌঁছুলো, সে বললো, তোমরা কি
অর্থ দিয়ে আমাকে সাহায্য করতে চাও?
আল্লাহ আমাকে যা কিছু দিয়েছেন তা তোমাদের যা কিছু
দিয়েছেন তার চেয়ে অনেক বেশী৷ তোমাদের উপঢৌকন নিয়ে তোমরাই খুশি থাকো৷
৩৭) (হে দূত!) ফিরে যাও
নিজের প্রেরণকারীদের কাছে আমি তাদের বিরুদ্ধে এমন সেনাদল নিয়ে আসবো যাদের তারা মোকাবিলা করতে পারবে না এবং আমি তাদেরকে এমন
লাঞ্ছিত করে সেখান থেকে বিতাড়িত করবো যে,
তারা ধিকৃত ও অপমানিত হবে৷”
৩৮)
সুলাইমান বললো, “হে সভাসদগণ! তারা অনুগত হয়ে আমার কাছে
আসার আগে তোমাদের
মধ্যে কে তার সিংহাসন আমার কাছে নিয়ে আসতে পারে?”
৩৯)
এক বিশালকায়
জিন বললো, আপনি
নিজের জায়গা ছেড়ে ওঠার আগেই আমি তা এনে দেবো৷ আমি এ শক্তি রাখি এবং আমি বিশ্বস্ত৷”
৪০)
কিতাবের জ্ঞান সম্পন্ন অপর ব্যক্তি বললো “আমি আপনার
চোখের পলক ফেলার আগেই আপনাকে তা এনে দিচ্ছি৷” যখনই সুলাইমান সেই
সিংহাসন নিজের কাছে রক্ষিত দেখতে পেলো অমনি সে চিৎকার করে উঠলো, এ আমার রবের অনুগ্রহ, আমি শোকরগুযারী করি
না নাশোকরী করি তা তিনি পরীক্ষা করতে চান৷” আর যে ব্যক্তি শোকরগুযারী করে তার শোকর তার
নিজের জন্যই
উপকারী৷ অন্যথায় কেউ অকৃতজ্ঞ হলে, আমার রব করো ধার ধারে না এবং আপন সত্তায় আপনি
মহীয়ান৷
৪১) সুলাইমান বললো,
“সে
চিনতে না পারে এমনভাবে সিংহাসনটি তার সামনে রেখে দাও, দেখি সে সঠিক
সিদ্ধান্তে পৌঁছে
যায় কিনা অথবা যারা সঠিক পথ পায় না তাদের অর্ন্তভুক্ত হয়৷”
৪২) রাণী যখন হাজির হলো,
তাকে বলা হলো তোমার সিংহাসন কি এরূপই? সে বলতে লাগলো, “এ তো যেন সেটিই আমরা
তো আগেই জেনেছিলাম
এবং আমরা আনুগত্যের শির নত করে দিয়েছিলাম৷ (অথবা আমরা মুসলিম হয়ে গিয়েছিলাম৷)”
৪৩) আল্লাহর পরিবর্তে যেসব উপাস্যের সে পূজা করতো তাদের পূজাই তাকে ঈমান আনা
থেকে ঠেকিয়ে রেখেছিল৷ কারণ সে ছিল একটি
কাফের জাতির অর্ন্তভুক্ত৷
৪৪)
তাকে বলা হলো, প্রাসাদের
মধ্যে প্রবেশ
করো৷ যেই সে দেখলো মনে করলো বুঝি কোন জলাধার এবং নামার জন্য নিজের পায়ের নিম্নাংশের
বস্ত্র উঠিয়ে নিল৷ সুলাইমন বললো, এতো কাচের মসৃণ মেঝে৷ এ কথায় সে বলে উঠলো “হে আমার রব! (আজ পর্যন্ত) আমি নিজের
ওপর বড়ই জুলুম করে এসেছি এবং এখন আমি সুলাইমানের সাথে আল্লাহ্ রব্বুল আলামীনের
আনুগত্য গ্রহণ করছি৷”
আয়াতগুলো পর্যবেক্ষণ
করলে দেখা যায় যে, সাবা’র রাণী তার শাসনে জ্ঞান,
যোগ্যতা এবং দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন । সফলতা ও দেখিয়েছেন । রাণী বিলকিস ও সাবা’বাসীর ভুল ছিল তারা আল্লাহর পরিবর্তে ‘সূর্যকে
পূজা করতো’ ।
(তাঁদের ভুল এটা বলা হয়নি যে, তারা একজন নারীকে শাসক বানিয়েছে বা মেনে নিয়েছে ।)
বিলকিসের যেসব গুণের কথা এখানে প্রকাশিত হয়েছে তা হলো-
১। সুলায়মান(আঃ)
যখন সাবার রাণীকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আহ্বান জানালেন তখন
সাবার রাণী যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত না নিয়ে
সুলায়মান(আঃ) এর রাজত্ব ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
তিনি যুদ্ধ না করে শান্তির পথে যেতে চেয়েছেন, যদিও তাঁর লোকেরা যুদ্ধের জন্যেও প্রস্তুত ছিল । আর তারাও ছিল যোদ্ধা জাতি । যুদ্ধে না জড়িয়ে শান্তির পথে হাঁটার যে সিদ্ধান্ত বিলকিস নিয়েছিলেন তা নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় যোগ্যতা ।
তিনি যুদ্ধ না করে শান্তির পথে যেতে চেয়েছেন, যদিও তাঁর লোকেরা যুদ্ধের জন্যেও প্রস্তুত ছিল । আর তারাও ছিল যোদ্ধা জাতি । যুদ্ধে না জড়িয়ে শান্তির পথে হাঁটার যে সিদ্ধান্ত বিলকিস নিয়েছিলেন তা নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় যোগ্যতা ।
২।
এককভাবে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিলকিস সবসময় তাঁর পরিষদের সাথে আলোচনা-পরামর্শের
মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতেন । এটা একজন ভালো শাসকের যোগ্যতার পরিচয় দেয় ।
৩। সাবার রাণীর সিংহাসনকে তিনি আসার আগেই সুলায়মান (আঃ) নিজের দরবারে নিয়ে আসেন, এবং বিল্কিস তা দেখেই চিনতে পেরেছিলেন । এখান থেকে বিল্কিসের বিচক্ষণতার পরিচয় পাওয়া যায়।
৪। সুলায়মান(আঃ) এর যে প্রাসাদে রাণী বিলকিস প্রবেশ করেছিলেন তার মেঝে ছিল পানির মত স্বচ্ছ কাঁচের তৈরি । পানি ভেবে বিলকিস তার পা থেকে জুতা খুলেন এবং কাপড় একটু উপরে উঠান । যখন তিনি বুঝলেন তিনি ভ্রান্তির শিকার তখন সাথে সাথেই তিনি অনুধাবন করলেন যে তিনি এতদিন এভাবেই ঠুনকো জাগতিক মোহে ভুলে ছিলেন । ভুল বুঝতে পেরে সাবার রাণী আল্লাহ্র দ্বীন কবুল করলেন। ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে বিল্কিস তাঁর সজাগ বিবেক ও প্রজ্ঞার পরিচয় দেন এবং নিজেদের মিথ্যা অন্ধ বিশ্বাসকে অগ্রাহ্য করার সামর্থ্য দেখান।
৫। রানী বিলকিসের শাসনামলে সাবা খুবই সমৃদ্ধ দেশ ছিল । তাঁদের অর্থনীতি, ব্যবসা ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধ । এছাড়াও তাদের সমৃদ্ধির আরো উদাহরণ হলো ,সেসময়ে তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ নির্মাণ করে পানি সেচের উন্নত ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। ফলে তাদের সমগ্র এলাকা সবুজ শ্যামল উদ্যানে পরিণত হয়েছিল। তাদের দেশের এ অস্বাভাবিক শস্য শ্যামলিমার কথা গ্রীক ঐতিহাসিকরাও উল্লেখ করেছেন ।
৩। সাবার রাণীর সিংহাসনকে তিনি আসার আগেই সুলায়মান (আঃ) নিজের দরবারে নিয়ে আসেন, এবং বিল্কিস তা দেখেই চিনতে পেরেছিলেন । এখান থেকে বিল্কিসের বিচক্ষণতার পরিচয় পাওয়া যায়।
৪। সুলায়মান(আঃ) এর যে প্রাসাদে রাণী বিলকিস প্রবেশ করেছিলেন তার মেঝে ছিল পানির মত স্বচ্ছ কাঁচের তৈরি । পানি ভেবে বিলকিস তার পা থেকে জুতা খুলেন এবং কাপড় একটু উপরে উঠান । যখন তিনি বুঝলেন তিনি ভ্রান্তির শিকার তখন সাথে সাথেই তিনি অনুধাবন করলেন যে তিনি এতদিন এভাবেই ঠুনকো জাগতিক মোহে ভুলে ছিলেন । ভুল বুঝতে পেরে সাবার রাণী আল্লাহ্র দ্বীন কবুল করলেন। ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে বিল্কিস তাঁর সজাগ বিবেক ও প্রজ্ঞার পরিচয় দেন এবং নিজেদের মিথ্যা অন্ধ বিশ্বাসকে অগ্রাহ্য করার সামর্থ্য দেখান।
৫। রানী বিলকিসের শাসনামলে সাবা খুবই সমৃদ্ধ দেশ ছিল । তাঁদের অর্থনীতি, ব্যবসা ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধ । এছাড়াও তাদের সমৃদ্ধির আরো উদাহরণ হলো ,সেসময়ে তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ নির্মাণ করে পানি সেচের উন্নত ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। ফলে তাদের সমগ্র এলাকা সবুজ শ্যামল উদ্যানে পরিণত হয়েছিল। তাদের দেশের এ অস্বাভাবিক শস্য শ্যামলিমার কথা গ্রীক ঐতিহাসিকরাও উল্লেখ করেছেন ।
৬।
সুলায়মান (আঃ) এর চিঠি পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন বিষয় বিশ্লেষণ করে বিলকিস সুলায়মান
(আঃ) এর নবুওত সম্পর্কে বুঝতে পারেন । প্রথম উপকরণটি ছিল
সুলাইমানের চিঠি । সাধারণ বাদশাহী রীতি এড়িয়ে আল্লাহ রহমানুর রহীমের নামে তা শুরু করা
হয়েছিল। দ্বিতীয় উপকরণটি ছিল মূল্যবান
উপহার সামগ্রী প্রত্যাখ্যান। এ থেকে রাণী বুঝতে পারলেন যে, ইনি একজন অসাধারণ
রাজা। তৃতীয়
উপকরণটি ছিল রাণীর দূতের বর্ণনা। এ থেকে সুলাইমানের তাকওয়া ভিত্তিক জীবন, তাঁর প্রজ্ঞা ও
বুদ্ধিমত্তা এবং তাঁর সত্যের দাওয়াত সম্পর্কে অবহিত হন। এ জিনিসটিই তাঁকে
অগ্রণী হয়ে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে উদ্বুদ্ধ করে। নিজের একটি উক্তির মাধ্যমে তিনি
এদিকেও ইংগিত করেন। তিনি বলেন : আমরা তো আগেই জেনেছিলাম এবং আমরা মুসলিম
হয়ে গিয়েছিলাম। চতুর্থ উপকরণটি ছিল এ মহামুল্যবান সিংহাসনটি মুহূর্তের মধ্যে
বাইতুল মাকদিসে পৌঁছে যাওয়া। এর ফলে রাণী জানতে পারেন এ ব্যক্তির পেছনে সর্বশক্তিমান আলাহর
শক্তি রয়েছে। সর্বশেষ উপকরণটি ছিল ,
রাণী দেখলেন যে ব্যক্তি এমন আরাম আয়েশ ও পার্থিব ভোগের
সামগ্রীর অধিকারী এবং এমন
নয়নাভিরাম ও জাঁকালো প্রাসাদে বাস করেন অথচ তিনি আত্মগরিমা ও
আত্মম্ভরিতা থেকে কত দূরে
অবস্থান করেন, তিনি কেমন আল্লাহকে ভয় করেন,
কেমন সৎ হৃদয়বৃত্তির অধিকারী,
কেমন কথায়
কথায় কৃতজ্ঞতায় আল্লাহর সামনে মাথা নত করে দেন এবং পৃথিবী
পূজারী লোকদের জীবন থেকে
তাঁর জীবন কত ভিন্ন ।
এইযে
উপলব্ধি, এটাও বিলকিসের জ্ঞান ও যোগ্যতার কথা তুলে ধরে ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে , ইসলাম গ্রহণ করার পরেও কি বিলকিস সাবা’র শাসক
ছিলেন ? এ বিষয়ে কুরআন স্পষ্ট করে কিছু বলে না । তবে বর্ণনার ধারা অনুযায়ী ধারণা
করা যায় যে , এমন যোগ্য রাণীকে শুধুমাত্র ‘নারী’ হওয়ার কারণে শাসন ক্ষমতা থেকে
সরিয়ে দেওয়া হয়নি । এ সম্পর্কে তাফসীরে মা’আরেফুল কুরআনে আছে - ইবনে আসাকির হযরত
ইকরামা হতে বর্ণনা করেন যে সুলায়মান (আঃ) এর সাথে বিলকিসের বিয়ে হয়েছিল এবং তাঁকে
সাবার রাণী হিসেবে বহাল রাখা হয়েছিল । সুলায়মান (আঃ)
বিলকিসের জন্য তিনটি প্রাসাদ বানিয়ে দিয়েছিলেন এবং মাসে তিনদিন রাণীর কাছে গিয়ে
কাটাতেন । ( মা’আরেফুল কুরআন, ৬ষ্ঠ খণ্ড, ৬৪৯ )
[প্রসঙ্গ
নারী নেতৃত্ব – ১১]
সুন্দর ভাবে ব্যাক্ষা করার জন্যে ধন্যবাদ
উত্তরমুছুন